
UNSPLASH
চলছে এশিয়া কাপ-২০২২। ইউনাইটেড আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এবারের পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ী দল আফগানিস্তান এবং ভারত। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এক অবিশ্বাস্য জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। সেই ম্যাচে তাদের জয় ৮ উইকেটের বিনিময়ে। প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ১০৫ রানের মধ্যেই আটকে দিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০ ওভারেই সেই রাত তুলে নেয় আফগান ব্যাটাররা।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত পাকিস্তান। চরম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে, ২০তম ওভারের নাটকীয়তায় জয়টা নিজেদের করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। এদিন ইন্ডিয়ার জয়ের নায়ক পান্ডিয়া। ব্যাট বলে একাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এই পেইস বলিং অলরাউন্ডার। তবে বহুদিন পর এক জমজমাট ম্যাচ দেখার সুযোগ পেয়েছে ভক্ত সমর্থকরা। ভারত পাকিস্তানের জয়কে ছাপিয়ে, ক্রিকেটের জয় হয়েছে এই ম্যাচে।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে আজ সন্ধ্যা ৮ ঘটিকায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। এবারের এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হলেও আফগানিস্তানের দ্বিতীয়। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর এই ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী দলটি। তাছাড়া তাদের আছে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি বোলিং লাইনঅ্যাপ। রশিদ, মুজিব আর নবিকে নিয়ে তৈরি স্পিন বোলিং লাইনাপ ধ্বসিয়ে দিতে পারে যোকোন দলের ব্যাটিং লাইন-আপকে। তাছাড়া ফাস্ট বোলিং বিভাগেও তাদের উন্নতি চোখে পরার মতো।
অপরদিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও সুখকর নয়। কিছুদিন আগেও চিরচেনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তারা টি-টোয়েন্টি এবং ওডিয়াই সিরিজে হেরেছে বাজেভাবে। দলের একাদশে নেই কোন ভালো কম্বিনেশন। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য নেই বললেই চলে। আধুনিক সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানে ২০০ রানের বেশি চেজ করে জয় তুলে নেয় দলগুলো, সেখানে ১৫০ রানের গন্ডি পেরোতেই বেহাল দশা হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের। তবে বরাবরই ওডিয়াইতে ভালো দল বাংলাদেশ। আর কোন ফরমেটে পারুক আর নাইবা পারুক ওডিয়াইতে তারাই রাজা।
আফগানিস্তান বাংলাদেশের আজকের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিংয় নেওয়ার বিষয়টা বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছে আমার কাছে। ডুবাইয়ের মাটিতে সাধারণত টসে জিতে বোলিং নিতে দেয়া যায়। তবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো ছক কষেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করতে সক্ষম হয়৷ তবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে দল , দলীয় ৫০ রানেই হারায় মূল্যবান পাচ পাচটি উইকেই। একটা সময় দলীয় ১০০ রান করতে করতে পারাটাই কঠিন মনে হচ্ছিলো। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সম্মানজনক স্কোর পায় বাংলাদেশ। ৩১ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকে এই লো মিডেল অর্ডার ব্যাটার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়লেও শেষ হাসিটা আফগানরাই হাসে। শেষ ছয় ওভারে ৬৩ রানের প্রয়োজন ছিলো তাদের। ঠিক সেই সময় একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৭ সালে ৪৩ রানে এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ফলে প্রথম ম্যাচেই পরাজয় বরন করতে হলো বাঙ্গালীদের।
শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচের উপরই নির্ভর করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাউন্ডের ভাগ্য। যদি জয় অর্জন করতে পারে তাহলে সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে, নয়তবা ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাড়ির পথ ধরতে হবে।
মোস্তাফিজের তৃতীয় ওভারটা যদি সাইফুদ্দিনকে দিয়ে করানো যেতো, তাহলে ম্যাচটার চেহারা অন্যরকম হতো এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এই হারটি শুধু অপরিপক্ক ক্যাপ্টেন্সির কারনে বলবো। সাকিব পারফরমার হিসেবে যত ভালো, নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে ততটা নয়৷
মোস্তাফিজের সেই আগুন ঝরা বোলিং এ মরিচা ধরেছে, সেটা খুব ভালোই টের পাওয়া গেল,
পুরোপুরি হতাশ, 😑
ভাই সাইফুদ্দিনের অবস্থা তো আরো খারাপ 😀