প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু শখ বা ইচ্ছা থাকে, যা সুযোগ পেলেই মানুষ পূরন করতে চায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। ছোটবেলা থেকেই আমি ভ্রমনপ্রিয় একজন মানুষ, যখনই সুযোগ পেতাম এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সেই সুযোগটা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এখন চাইলেই বেড়িয়ে পরতে পারি সোন্দর্য উপভোগ করতে। এইতো কিছুদিন আগেও বন্ধুদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছিলাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যা ছিলো আমাদের প্রথম ভ্রমন। খুবই অসাধারণ ছিলো সময়গুলো, যা আজও আমি ভুলতে পারিনি। তাই আজকে কক্সবাজার ভ্রমনের স্মৃতিগুলো নিয়ে লিখতে বসা.....
সময়টা ২০২০ সালের শেষের দিক, সম্ভবত নভেম্বর/ ডিসেম্বর মাস হবে। কিছুদিন হলো আমাদের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়েছে। বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কটা আরো ভালো করতে ও নিজেদের ক্লান্তি দূর করতে ডিশিসন নিলাম কোথাও ঘুরে আসি। আমাদের মধ্যে সবাই সমুদ্রপ্রেমী, তাই সবার মতামতের ভিক্তিতে সিদ্ধান্ত নিলাম পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমুদ্রসৈকত তথা কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসা যায়। সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের পরিকল্পনা করতে থাকি। ভ্রমনের সুবির্ধাতে আমরা আগে থেকেই বাসের টিকেট ও হোটেল বুকিং করে রাকি।
পরিকল্পনামতো সবাই ঢাকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরি, কারন আমাদের সবার বাসাই ছিলো ঢাকার বাহিরে শুধুমাত্র সৌরভ ছাড়া। রাত দশটায় আমাদের বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে তাই আমরা আগে থেকেই আব্দুল্লাহপুর এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। সময়মতো আমাদের বাস আব্দুল্লাপুর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আড্ডা আর দুষ্টুমি মধ্য দিয়ে ভোরেই আমরা পৌছে যাই গন্তব্যে। তারপর হোটেলে ফ্রেশ হয়ে হালকা রেস্ট নিয়ে বেড়িয়ে পরি কক্সবাজারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য আর বিশালতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। একের পর এক বিশাল বিশাল বড় ঢেউ আছড়ে পরছিলো তীরে। এই অপরূপ সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আমরা সবাই গোসল করতে নেমে পরি সমুদ্রের বুকে। প্রায় দুইঘন্টা পর আমরা উঠে পরি সমুদ্র থেকে। রোমে এসে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পরি হিমছড়ি এর উদ্দেশ্যে সূর্যদয় দেখবো বলে। কিছুক্ষন মধ্যেই আমরা পৌছে যাই হিমছড়ি। টিকেট কেটে উঠে পরি হিমছড়ি পাহাড়ে। পাহাড়ের উচু থেকে দেখা যাচ্ছিলো সমুদ্রের এক নতুন রূপ, সূর্যটা যেনো হাড়িয়ে যাচ্ছিলো সমুদ্রের বুকে। এই সুন্দর্য, আসলেই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
রাতে আমরা বেড়িয়ে পড়ি সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার উদ্দেশ্যে। বন্ধু সৌরভ এর পরামর্শে জীবনে প্রথমবারের মতো কাঁকড়া ও অক্টোপাস খাই আমরা সবাই, সাথে নেই বিশাল আকৃতির টুনা মাছ আর কয়েকটা চিংড়ি মাছ। বেশ সুস্বাদু ছিলো সামুদ্রিক খাবারগুলো। খাওয়া শেষ করে সমুদ্রের তীরে বসে রাতের সুন্দোর্য উবভোগ করতে থাকি, সাথে নিজের মধ্যে খুনসুটি আর কথাবার্তা। একে একে সবার গোপন কথাগুলোই বেড় হচ্ছিলো। সবচাইতে মজার বিষয়টি ছিলো সবার মধ্যে একমাত্র আমিই ছিলাম প্রেম না করা ব্যক্তি 😁। কিছুক্ষন পর সবাই রুমে চলে আসি। অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম সবাই, তাই আর দেরি না করে ঘুমিয়ে পরি।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেই, তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করেই আবারো বেড়িয়ে পরি সমুদ্রে গোসলের উদ্দেশ্যে। দুষ্টমি আর বল ছোড়াছুড়ি মাধ্যমে কেটে যায় প্রায় দুইঘন্টা সময়। একবার ঢেউয়ের সাথে দুষ্টুমি করতে গিয়ে নাকানিচুাবানী খেয়েই উঠে পরি 😄। বিকেলের দিকে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরি পরিবারের জন্য কিনাকাটার উদ্দেশ্যে। রাত আটটায় আমাদের বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে, তাই আগে ভাগেই হোটেল ছেরে দিয়ে বেরিয়ে পরি আমরা। পরদিন সকালে সবাই পৌছে যাই নিজ নিজ বাসায়। সমাপ্তি ঘটে আমাদের কক্সবাজার পর্বের।
আবারো যেতে চাই নতুন কোন ঠিকানার উদ্দেশ্যে। এখনই জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই, একটা সময় আসবে যখন টাকা থাকলেও সময় থাকবে না, সময় থাকলেও থাকবে না ভালোবাসার বন্ধুগুলো। আর বন্ধুদের ছাড়া কি কখনো টুর জমে...?
"সবার মধ্যে একমাত্র আমিই ছিলাম প্রেম না করা ব্যক্তি 😁।"--ফাহিম
@sourovafrin ভাইজানও তাহলে প্রেম করেন।
He has to many Girlfriends ....:) :) but i don't have any.
গুজব এগুলা। তুমি ত ভাল করেই জানো।
সবার চেহারা দেখা যায় একজনেরটা দেখা যায় না কেনোঃ)
ওনি পর্দা করে :) :) :)
Congratulations @fa-him! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz: