বিয়ের আগে গিন্নির সাথে দীর্ঘ প্রেম। হঠাৎ একদিন যখন জানে মান আমার লাগতে জিগার পক ছেড়ে চলে গেলো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আত্মহত্যা করবো। কেমনে করবো কিভাবে করবো ভাবতে ভাবতেই আবিষ্কার করলাম হারপিক। এর থেকে সহজ মাধ্যম আর কি হতে পারে। কিনতে গেলেও কেউ সন্দেহ করবে না। কলিমুদ্দি চাচার মুদি দোকান থেকে সব কিছু কেনা কাটা করলেও হারপিক টা অন্য একটা দোকান থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কি জানি কই থেকে উদ্ভট প্রশ্ন করবে। তার থেকে অন্য কোথাও থেকে টাকা দাও মাল নাও।
হারপিক নিয়ে ম্যাচে ফিরতে ফিরতে তোমার কথা ভাবতেছিলাম। দুই দিন আগেই তো এক সাথে কলেজের বনভোজনে গিয়েছিলাম। সেখানে এক সুন্দরী বান্ধবীর সাথে ফোটো খিচার কারণে আমাকে ছেড়ে দিলে তুমি।
আনমনা মনে ভাবতে ভাবতেই ম্যাচে চলে আসে বেডের নিচে হারপিক টা রাখাতেই রুম মেট বলে উঠলো কিরে দুই দিন আগেই তো হারপিক নিয়ে আসলি। আরেকজন ফোরন কেটে বললো এটা খায়ে মরবি নাকি। আরেকজন কইলো হালার চেহারাটা দেখছস গাঞ্জারু লাগছে।
যাই হোক এই হারপিক খাওনের গল্প আরেক দিন বলবো। এখন তিনি আমার গিন্নি, জীবন সঙ্গিনী। গিন্নির সাথে বিড়ি খোরদের রাত কাটানো খুব যন্ত্রনা দায়ক। আমার তো রাতে ছাদে যাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। মাঝে মধ্যেই ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ফেলি চুপি সারে। গিন্নি গভীর ঘুমে থাকলেও মাঝে মধ্যে বেড থেকে উঠতেই গম্ভীর গলায় গায়েবী আওয়াজ আসে কই যাও? বাথরুমে যাই এর একটাই উত্তর। তাছাড়া মুক্তির আর কোন পথ নেই।
তো কাল রাতে খুব ভালো করে লক্ষ করলাম গিন্নি গভীর ঘুমে আছে। ঘুমে থাকবেই বা না কেন বলেন? রাতে কদুর তেল মাথায় দিয়েছে। যাক এটার সদ্ব্যবহার তো করতেই হবে। তারপরেও ভালো ভাবে উঁকি ঝুঁকি মারে দেখলাম, না গিন্নি আসলেই ঘুমিয়ে পরেছে।
তারপরেও গেরিলা যোদ্ধাদের মত কম্বলের ভিতর থেকে আসতে করে বার হয়ে পা চিপে চিপে বার হয়ে সোজা ছাদে। অনেকদিন পরে তৃপ্তি সহকারে ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে উন্মুক্ত আকাশে ধোঁয়া ছেড়ে যে কি প্রশান্তি। তারপর ঘুম।
গিন্নির আবার সকাল সকাল চা খাওয়ার অভ্যাস। এই সাধ সকালে রান্না ঘর থেকে ভেসে আসছে লাইটার কই, লাইটার কই? আওয়াজটা রুমের দরজার গন্ডি পার হয়ে বেড পর্যন্ত চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই আমি বুঝে গিয়েছি কোন গরবর তো আছেই। আমি ঘুমের বাহানা করে আরো কিছুক্ষন থাকার চেষ্টা করলাম। তাতে লাভ হল না।
আমিও একটু গভীর ঘুম ভাঙ্গার বাহানা করে বিরক্তির সরে বললাম আমার কাছে কেন চিল্লি ফাল্লা করছো। যাও গিয়ে রান্না ঘরে খুজো।
এরেই ফাকে একটু দেখে নিলাম পকেটে কোথাও রাখছি নাকি। ধুর ও আমি তো লুঙ্গি পরে আছি। পকেট ফকেট কিছুই নেই।
না পরিবেশ অনেক উত্তপ্ত, বউকে একটু ঠান্ডা করি না হলে আমার কপালে ঠাডা পরবে। আসতে করে রান্না ঘরে গিয়ে বউকে বললাম সোনা বউ পেয়েছো লাইটার? শুধু শুধু তুমি আমাকে চোর ধরছো। কথায় আছে না, যাই ঘটে গিন্নি বলে কেষ্টা বেটায় চোর। আচ্ছা না পেলে আমি দিয়াশলাই আপাতত কলিমুদ্দি চাচার দোকান থেকে এনে দিচ্ছি। বউ ও খুশি হয়ে আহ্লাদে বললো যাও তো সোনা জলদি যাও।
আমিও মনে মনে খুশি হয়ে উম্মা বাবু। দাঁড়াও লুঙ্গিটা টাইট করে নেই। লুঙ্গি গিট খুলতেই ঠং ঠং করে বজ্জাত লাইটার টা টাইলসের উপরে পরলো।
তারপর যা হবার তাই হল। ধুর মিয়া সব কিছুই শুনতে হবে কেন আপনাদের?
আজ নাকি নারী দিবস। সবাই বলছে নারী দিবস। কিন্তু বিবাহিত কাউকে জিজ্ঞাসা করে দেখো বলবে, নারী 'দি বস'।
Hi @steemitwork, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Your level lowered and you are now a Red Fish!