টাইটেলটা ভদ্র সমাজে কিছুটা অমার্যিত অশালীন অশ্লীল হলেও অনেকদিন পর মনে পরলো। এক চাচা প্রায় বলতো।
কালকে হঠাৎ করেই নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। ঠিক মাগরিবের আজানের সময়। সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রসাব খানায় লম্বা সিরিয়াল। শীতকালে এই লাইনটা খুব দীর্ঘ হয়। বুড়া থেকে জোয়ান সবাইকে এই লাইনে খুব অস্থির দেখা যায়। সবারই একটু তারা থাকে। যাক কোন মতে সিরিয়াল পেয়েই কঠের খরম পরেই খট খট শব্দে দুই তিন কদম আগাতে আগাতে নিচের জানালা খুলেই দ্রুত বসে পরলাম। আহ শান্তি। এখন দ্রুত জিপার লাগাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে যেত ভাগ্যিস একটু ধৈর্য্যের আশ্রয় নিয়েছি। এরেই মধ্যে জামাত দাড়িয়ে পরেছে।
মাগরিবের নামাজের জন্য ওজু করতে বসলাম। আমার পাশে দুজন জামাত ধরার জন্য একটু তারাহুরা করে ওজু করে মসজিদের ভিতরে ঢুকলো।
আমার সামনের এক মুরুব্বি আমার দিকে মাথা তাক করে একটু মুখ বাকা করলো। তাদের উদ্দেশ্যে ওজু করতে করতেই একটু ভাব নিয়ে গম্ভীর গলায় আমাকে বলতেছে এই দুজন পাক্কা ওহাবি। এইভাবে তারাহুরা করে ওজু আর তারাহুরা করে নামাজে গেলে নামাজেই হবে না। দুজনেই ওহাবি।
আমি ওজু ধীরে সাস্থে শেষ করে আসতে করে মিষ্টি গলায় চাচাকে বললাম ওজু করতে করতে কথা বলা যায় না চাচা। চাচা থ হয়ে দুই এক সেকেন্ড থমকে সরু গলায় আমাকে বলতেছে ওরা ভূল করতেছে তাই বললাম। আমি আবার আসতে করে বললাম চাচা আপনিও ভূল করতেছেন বলে আশেপাশে আর না দেখেই আমি ভিতরে চলে আসলাম।
পরে দেখি চাচা আমার পাশেই নামাজ পড়লেন কিন্তু শেষ দুই রাকাত নফল নামাজ পড়লেন না। অবশ্য নফল নামাজ তো। মনে মনে ভাবতেছি চাচা আবার আমারে রাজাকার না বানায়া দেয়। ট্রেন্ড তো রাজাকারের চলছে।
ধর্মীয় বিভেদটা এমন ভাবে আমাদের মধ্যে ঢুকে পরেছে যে ইসলামের মূল স্পিরিটটাই হাড়ায় ফেলতেছি। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে গালাগালি করছি। একে একে অন্যের গিবত দোষ নিয়েই পরে আছি। একজন আরেক জনের ভূল ধরতে পারলেই যেন ঈমান চাঙ্গা হয়ে যাবে।
আসলে আমরা কখনোই নিজের ভূলের দিকে তাকাই না। অন্যের ভূল খুঁজতেই খুব সাচ্ছন্দ বোধ করি। হয়তো আমার মধ্যেও এই রোগ থাকতে পারে।
অন্যের পিছনে লেগে থেকেই আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করি। আমাদের জাতিগত ভাবেও এই স্বভাবটা রয়েছে। অনেকেই তো কথার ছলে গল্পের ছলে বলে হা ডু ডু আমাদের জাতীয় খেলা কেন? কারণ আমরা অন্যের পা ধরে টেনে নিচে নামাতে পছন্দ করি।
কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন ধরেই লেখালেখি থেকে বিরত আছি। লেখালিখির মধ্যে সৌন্দর্যটা হাড়িয়ে ফেলছি। শব্দ খুঁজে পাই না। কি বোর্ড ও চলছে না। ছন্দ হাড়িয়ে তালমাতাল হয়ে হ-য-ব-র-ল ভাবেই লিখে ফেললাম লম্বা বিরতির পর।
রাতো কি আন্ধেরে মে ভাটাকতে হুয়ে এক পাগাল। ছবির সাথে পোস্টের কোন সম্পর্ক নাই।