হারিয়ে যাওয়া সময়!

in #life7 months ago

সময়ের সাথে সাথে সত্যিকারে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলতে চলেছি। সারাদিন এদিক সেদিকে দাপিয়ে বেড়ানো, বিকেল হলেই মাঠে খেলতে চলে যাওয়া, বন্ধুদের নিয়ে একসাথে কোথাও ঘুরতে বের হওয়া এখন স্বপ্নের মত। কয়েকদিন আগেও যা ছিলো দৈনন্দিন কাজ, এখন তা হারিয়ে যাওয়া কোন এক গল্প কাহিনী।

যাইহোক কিছুদিন আগে সুযোগ হয়েছিল শেষবারের মতো বন্ধুদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটাকে উপভোগ করার। চাকরিতে জয়েন করে ফেললেও আমাদের ফাইনাল প্রজেক্ট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্টের ভাইবা বাকি ছিলো। তাই সময়মতো অফিস থেকে ছুটি নিয়ে হাজির বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

ভাইবাকে কেন্দ্র করে বাকি সব বন্ধুরাও হাজির ক্যাম্পাসে। কয়েক মাস পর পুরোনো সেই বাসাটা আবারো পূর্ণতা পেয়েছে। সবাই মিলে একসাথে আড্ডা দেওয়া আর খাওয়া-দাওয়াটা জমেছিলো বেশ।

রাত পেরিয়ে সকালে সবাই হাজির ভাইবা দিতে। ভাইবা আর প্রেজেন্টেশনকে ঘিরে সবাই মধ্যেই অনেকটা আতঙ্ক কাজ করছিলো। কি না কি জিজ্ঞাসা করে বসে! পারনো কি পারবোনা! তবে আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালোভাবেই ভাইবার পার্টটা শেষ করি।


received_751740442909837.jpeg
received_1423066445165731.jpeg

এরপর সুযোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে শেষবারের মতো ফুটবল মাঠে নামার। প্রতিবছর এই সময়টাতে আমাদের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক টেক্সটাইল কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। কার্নিভালের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ব্যতিক্রমটা এসেছে শুধু আমার জীবনে।

যাইহোকে সুযোগ হয় দলের হয়ে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ফুটবল ম্যাচ খেলার। দলের প্রয়োজনে এবং নিজের ইচ্ছাকে পূর্ণতা দিতে মাঠেও নেমে পরি। দলগত ভালো পারফরমেন্সে দুই ম্যাচেই জয় পাই আমরা। দলও পৌঁছে যায় সেমিতে। তবে সেমিতে খেলার সুযোগটা আর হয়ে ওঠেনি।

ফুটবল ম্যাচ শেষে আমাদের গন্তব্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। একসাথে ঘুরাঘুরি আর কিছু ভালো সময় কাটাতেই এমন সিদ্ধান্ত। দুই বন্ধুর বাইকে ঘুরে বেড়াই পুরো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সেদিন আড্ডাটা জমেছিলো বেশ!


received_200754355714632.jpeg