[Answered] What is the Easiest Way to Increase our Memory? Question from @hafizullah vai

in Hive Bangladesh3 years ago

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমার এই লেখাটি মূলত হাফিজুল্লাহ ভায়ের (@hafizullah) প্রশ্নের উত্তর। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত পর্যালোচনা। আশা করি আপনার মতামত জানতে দ্বিধা করবেন না কমেন্ট সেকশানে। অনেকেই মূল ভিডিও সম্বলিত পোষ্টে কমেন্টের মাধ্যমে উদাহরণসহ কারণ এবং প্রতিকার বর্ণনা করেছেন। সেগুলো দেখার জন্য মূল পোষ্টটি একবার ঘুরে আসতে পারেন।

হাফিজুল্লাহ ভাই। সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। তবে এর উত্তরও আপনার ভিডিওতেই আছে। আপনি যে কারণগুলো উল্লেখ করেছেন সেই গুলো দূর করলে আমাদের মেমোরি আবার শার্প করার সুযোগ তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ।
4258864.jpg
image source

In fact, আমাদের মাথায় একটা বিশেষ জায়গা আছে যেটা এই মেমোরি-এর সাথে সম্পৃক্ত। এটাকে বলে Temporal lobe of the brain। এই টেমপোরাল লোবের কোন সমস্যার জন্যে কিংবা বুড়ো বয়সের dementia এর জন্য মেমোরি লস হলে সেখানে ডাক্তারের কিছু করার থাকে। কিন্তু আপনি মেমোরির যেই aspect টা নিয়ে কথা বলেছেন, সেটার সমাধানের জন্যে ডাক্তার হবার বা ডাক্তার চেম্বারে যাওয়া জরুরি না বলে আমি মনে করি। একজন সচেতন মানুষ মাত্রই এটা সহজেই বুঝতে পারে।

একটা বিষয় আরেকটু বলতেই চাই। মেডিকেলীও ভাষায়, মেমোরির ৩টা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আছে।

  • ১ম ধাপঃ Learning (নতুন কিছু শেখা, যেটাই হচ্ছে মেমোরি)
  • ২য় ধাপঃ Storage (মেমোরি জমা রাখা)
  • ৩য় ধাপঃ Subsequent retrieval of learned information (প্রয়োজন মতো শেখা ও জমা রাখা মেমোরি দৈনন্দিন কাজে লাগানো)

এখন আসুন, দেখা যাক আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কিভাবে এই প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই আমরা প্রতিদিনই কিছু না কিছু নতুন জিনিস শিখছি এবং তা আমাদের মেমোরিতে জমা হচ্ছে। আগেরকালে এই নতুন নতুন তথ্যগুলো শুধুমাত্র আমাদের মাথাতেই (temporal lobe) জমা থাকতো বা রাখতে হত। Alternative ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন ভুরি ভুরি alternative memory storage এর উপায় আমাদের হাতের নাগালে। এই নির্ভরতাই আমার দৃষ্টিতে আমাদের মেমোরি সমস্যার মূল কারণ বলে আমি মনে করি। অর্থাৎ ৩টা ধাপের দুই নং এ এসেই সমস্যা শুরু।

এর ফলশ্রুতিতে ৩নং ধাপেও আমরাই এই অলটারনেটিভগুলোই ব্যবহার করছি। আমাদের ব্রেইনকে আমরা কাজেই লাগাচ্ছি না। আসুন কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখি।

এই পোস্ট টা আমি অভ্র কিবোর্ড দিয়ে লিখছি। এটার একটা feature হচ্ছে ওয়ার্ড সাজেশান। এক-দুইটা লেটার লিখলেই বেশ কয়েকটা সাজেশন চলে আসছে, সঠিক বানান সহ। তাই আমাদের আর সঠিক বানান মেমোরিতে রাখার প্রয়োজন হচ্ছে না। আমরা স্কুলে হয়তো এই বানানটা মুখস্থ করেছিলাম। মানে ১ নং ধাপ Ok । কয়েক বছর আগেও আমাদের মাথার স্টোরেজ থেকেই এই সঠিক বানান retrieved করে ব্যবহার করা লেগেছে (ধাপ ২ ও ৩)। কিন্তু আজ আর এই ২ ও ৩ ধাপের জন্যে আমাদের মাথার মেমোরি সেল এর প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন নাই brainstorming। কারণ alternative আমাদের হাতের নাগালেই। অভ্র এই কাজ করে দিচ্ছে।

এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। MS word বলেন কিংবা grammarly.com এর browser extension বলেন, এখানে শুধু সঠিক বানানই নয়, বরং একটা sentence এর ভুল গুলোও correct করে দিচ্ছে। তাইতো মাথার মেমোরি সেন্টার কে বিশ্রামে রেখে আমরা চোখ বুজে টাইপ করছি। No tensions । কোন ভুল হলে কারেকশন-এর সাজেশন দিবে, কারেকশন করে নিব (২ ও ৩ ধাপেই সমস্যা)।

মোবাইল এর নাম্বার সেইভ করে রাখার বিষয়টা তো ভিডিওতেও বলেছেন। আমার শুধু মাত্র দুটো নাম্বার মুখস্থ আছে। নিজেরটা (বার বার বলতে বলতে হয়ে গেছে) এবং গ্রামের বাড়িরটা (প্রথম মোবাইল নং আমাদের ফ্যামিলির। স্পেশাল নাম্বার)। তবে চেষ্টা করলে যে অনেকগুলো মোবাইল নাম্বার মনে রাখা সম্ভব তার উদাহরণও আমার কাছেই ছিল। মেডিকেল কলেজে এক ফ্রেন্ড ছিল সে আমাদের সবারই মোবাইল নাম্বার না দেখে বলে দিতে পারত। কথা হচ্ছে যে, আমরা চেষ্টা করা বাদ দিয়েছি। বাদ দিয়েছি আমাদের মেমোরি কে শার্প রাখার প্রক্রিয়া কে। কারণ আমাদের টেকনোলজি নির্ভরতা।

এরকম অসংখ্য উদাহরণ আমরা সবাই জানি। পোস্ট লম্বা করার দরকার নাই। আমরা যদি এই টেকনোলজি কিংবা ডিভাইস নির্ভরতা (dependency) কমাতে পারি, আমাদের ব্রেইনের মেমোরি সেল বা সেন্টার কে stimulate করে এর কার্যক্ষমতা কে বাড়াতে পারি তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। There are no shortcut ways. If we continue our dependency on the modern technologies, no tonic can alter or increase our memories. আমি এটাই মনে করি।

আপনি আরেকটা বিষয় বলেছেন; দুধ খেলে কি মেমোরি বাড়বে? যেহেতু আমাদের আছে একটা actual memory center in our brain, শরীরের অন্য জায়গার মত মেমোরি সেল গুলোর ও পুষ্টি দরকার, ঠিকমত কাজ করার জন্যে। তাই দুধ, ডিম, হরলিক্স ইত্যাদি যেই পুষ্টিকর খাবারই খাবেন, এটার অবশ্যই একটা উপকারীতা আছে। কিন্তু এটা কোন magic potion না যে কেউ দুই গ্লাস খেলেই আইন্সটাইন হয়ে যাওয়া যাবে।

Sort:  

খুবই চমৎকার এবং তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর, ধন্যবাদ ভাই আপনার চমৎকার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য। শুধু আমি নই আশা করছি বাকী যারা উত্তরটির জন্য অপেক্ষায় ছিলো, তারাও সন্তুষ্ট হবেন।
ভালো থাকবেন।