
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই গুুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি সুস্থ্য না থাকেন তাহলে কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করবে না। এখন শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চারদিকে সবারই কমবেশি ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সময়টাতে এজন্য সতর্ক থাকা উচিত। তো আমাদের জীবনে ভালো খারাপ দুটি দিক আছে। আমরা ভালো আবার খারাপ দুটি দিকই বেচেঁ নেই। এই একজন স্টুডেন্ট সে পরীক্ষা দিবে। এখন সে ভালো রেজাল্ট করবে নাকি খারাপ রেজাল্ট করবে সেটা তার পড়াশোনার উের নির্ভর করছে! যদি ভালো করে পড়াশোনা না করে তাহলে সে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না। আর যদি ভালো করে পড়াশোনা করে তাহলে সে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে।
এই একজন স্টুডেন্ট বাস্তব জীবনেই তার ফলাফল হাতে পেয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র রেজাল্টের মাধ্যমে। যখন তার রেজাল্ট হাতে আসে এবং দেখে সে পাশ করতে পারে নি। তাহলে সে বুঝতে পারে এটা তার গাফিলতির জন্যই, সঠিকভাবে পড়াশোনা না করার জন্যই সে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। তখন কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যায় আসলে। হয়ত কারো জীবনে আরও একটা সুযোগ থাকে। আবার কারো জীবনে সে সুযোগটা থাকে না। ঠিক তেমনি মানুষের জীবনটাও এমন। মানুষের জীবনেও কর্মের ফল লক্ষ্য করা যায়। জীবনে কেউ হয়তো অনেক খারাপ করেছিল একটা সময় পরে তার কর্মের ফল ঠিকই পেয়ে যায়। আসলে আপনি যেমন করবেন ঠিক তেমনটাই পাবেন নিজের সাথে।
এই যে আজকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার কার্যকর হল। তাকে মৃত্যুদণ্ড এর আদেশ দেয়া হলো। কিন্তু কেন দেয়া হলো তাকে? কারণ একটাই তিনি একজন শোষক ছিলেন। আসলে নিরপরাধ মানুষকে মারার রাইট কারোরই নেয়। আপনি কাউকে নিরপরাধ কাউকে খুন করতে পারেন। একটা দেশের প্রধান হয়ে যখন মানুষকে মেরে ফেলার আদেশ দেন তাহলে সেটা কোনো ভাবেই ঠিক হয়না আসলে! আপনি কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে মেরে ফেলার আদেশ দিবেন। দীর্ঘ কয়েক বছরের শোষণের পর শোষক হাসিনার পতন হয়েছে। এবং তার ফলটা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। এটাই হওয়ার কথা ছিল। কারণ খুনী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। আসলে মানুষের কর্মের ফল দুনিয়াতেই পাওয়া যায়।
প্রত্যেক ধর্মেই কর্মফল সম্পর্ক বলা হয়েছে। ভালো কর্মফল শুভ কিছু নিয়ে আসে আর খারাপ কর্মফল অশুভ কিছু নিয়ে আসে। এজন্য আপনার কর্মফল যেন এমন না হয়, যেন পরবর্তীতে আপনাকেই ভোগতে হয়। জীবনে ভালো কর্মের মাধ্যমে আপনাকে ভালো কিছু করে যেতে হবে। যেন আপনি মারা গেলেও যেন মানুষ আপনাকে মনে রাখে! আর সেটা সম্ভব আপনার কাজের মাধ্যমেই। আপনার কাজই আপনাকে ডিফাইন করবে!