বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা।
আমি @rasel72. #বাংলাদেশ থেকে।

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার দয়ায় সবাই ভালো আছেন। আপনাদের আজকের দিনটা ভালো কাটুক, আনন্দে কাটুক এই প্রার্থনা করি। চলে আসলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার কিছু আবোল তাবোল ফটোগ্রাফি শেয়ার করব৷ চলুন শুরু করি-


প্রথমে আমি আপনাদের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা ছবি শেয়ার করি। এই ধরনের ফটোগ্রাফি হয়ত আমরা কেউ করি না। যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছে এটা আসলে একটা চুলার মুখ থেকে তোলা। যখন লাকুরি বা খড়ি দিয়ে চুলায় রান্না করা হয়, তখন চুলার মুখের ভিতর দিয়ে তাকালে আমরা এরকম লাল জ্বলন্ত আগুন দেখতে পায়। আমি মাঝে মাঝে যখন রান্না করতাম বাড়ীতে তারই একদিন ছবিটা তুলেছিলাম। ছবিটা আমার কাছে একটু অন্য রকম লেগেছিল, এজন্য ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।


চলে আসি আমার দ্বিতীয় ছবিতে। এটা একটা গাছের মাথায় তৈরি হওয়া ফুলের ছবি। এই গাছগুলো সাধারণত, বিভিন্ন সময় রাস্তার পাশে বা বাড়ীর আঙ্গিনায় আমরা দেখতে পায়। গাছগুলো বেশি বড় হয় না। এক হাতের মতো লম্বা হয়। এর মাথায় হাতির সুরের মতো দেখতে এক ধরনের ফুল তৈরি হয়। সেটা দেখতে অনেক ভালো লাগে। এই গাছগুলো আমাদের এলাকায় শাক হিসেবে খেয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের শাকের সাথে এই গাছের পাতাগুলো মিশ্রিত করে রান্না করে খায়। আমি নিজেও বাড়ীতে খেয়েছি। আমার মা রান্না করে দিয়েছিল। কিন্তু নামটা এই মুহূর্তে মনে না পরার কারণে শেয়ার করতে পারলাম না।


এবার আসি তৃতীয় ছবিতে। এটা হলো চুকাই বা চুকুরি ফুলের বীজ৷ এটা আসলে বীজ বলে না ফুল বলে আমি শিওর জানি না। গাছগুলো অনেক লম্বা লম্বা হয়। আমার বড় চাচীদের বাসায় এই ফুলের গাছ আছে। প্রথমে গাঢ় লাল রঙের ফুল ফোটে।তারপর সেই ফুল শুকিয়ে এটা তৈরি হয়। এটার অনেক উপকারীতা আছে আমি জেনেছিলাম। কিন্তু কখনও খায় নাই। এই ফলগুলো অনেক পুষ্টি সম্পূর্ণ। নেট থেকে তথ্য মিলে। যাই হোক সেদিকে যাচ্ছি না। ফলগুলো এভাবে শুকিয়ে গেলে নিচে পরে যায় তারপর সেগুলো কেটে ভিতর থেকে বীজ বের করে খেতে হয়।


চলুন চতুর্থ ছবিতে যাওয়া যাক। ফুলগুলো আমার অনেক পছন্দের। আমাদের বাড়ীর সামনে একটা ফুলেট গাছ আছে। নিচে অসংখ্য ফুল পরে থাকে। পূরো জায়গাটা যেন সাদা আর কমলা কালার হয়ে যায়। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আমি মাঝে মাঝে ফুলগুলো হাতে নেই। এরমধ্যে একদিন ফুলগুলো হাতে নিয়ে ছবিটা তুলেছিলাম।


পঞ্চম ছবিতে যাওয়া যাক। কমলা ফল তো সবাই চিনে থাকবেন। এটা হলো কমলার উপরের খোসাগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার পরের অবস্থা। বাড়ীতে একদিন কমলা খাওয়ার সময় খোসাগুলো ছাড়িয়ে টেবিলের উপর রেখে ছবিগুলো তুলেছিলাম। মজার ছলে খোসাগুলো বিভিন্ন ডিজাইনে কেটে কমলাগুলেট পাশে রেখে দিয়েছিলাম। যদিও আপনাদের কাছে এটা কোনো ফটোগ্রাফি মনে নাও হতে পারি। তবুও আমার ভালে লেগেছে বলে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

আজকে এই পর্যন্তই। আশা করি আমার আজকের আবোল তাবোল ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নিজের এবং নিজের আশে পাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখুন এই প্রার্থনা করি। আবারও দেখা হবে আমার পরবর্তী পোষ্ট নিয়ে।