বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।প্রকৃতির রুপসী কন্যা আমাদের এই বাংলাদেশ।এ দেশের নদী, পাহাড়, সাগর, অরণ্য আর সবুজ ফসলের রূপ দেখে আমরা মুগ্ধ হই। এদেশ যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। এ দেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। এর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটির মত।
আমাদের সৌভাগ্য আমরা এই রূপসী বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। অপরূপ এ প্রকৃতির বুকে আমরা বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসতি গড়ে তুলেছি। আমাদের একটি পরিচয় আমরা বাঙালি।এ দেশে প্রধানত হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের লোক বাস করে।প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করে।বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও চাকমা, গারো, সাঁওতাল, ত্রিপুরা, মুরং উপজাতি বসবাস করে।এসব উপজাতির নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে।বাংলাদেশের মানুষের পেশা ও বিচিত্র।
এখানে কামার, কুমোর, জেলে, কেউ আবার কাজ করে অফিস-আদালতে।সব পেশার মানুষ অন্য মানুষের সেবা করে।বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। গ্রামগুলোতে আছে নানা প্রকার গাছগাছালি। গাছগুলোতে ফল ও ফলের বিচিত্র দেখা যায়। নানা প্রকার পাখি যেমন :কোকিল, দোয়েল, শালিক, টিয়া, ময়না প্রভৃতি।গ্রামগুলোতে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে বাতাস বয়ে যায়। গৃহপালিত পশু গুলো মাঠে মাঠে চরে বেড়ায়। ঝাঁক বেঁধে পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায়। গ্রামের রাস্তা গুলো কোথাও কাঁচা আবার কোথাও পাকা।গ্রামের মানুষের জীবন অত্যন্ত সাদামাটা।গ্রাম বাংলার যেদিকে তাকানো হয় সেদিকে চোখে পড়ে গাছপালা, বন।নদীমাতৃক বাংলাদেশের উপর দিয়ে অসংখ্য নদ-নদী বয়ে গেছে।নদ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে গ্রাম, গঞ্জ, শহর, বন্দর, নগর। নদীর দৃশ্য মনমুগ্ধকর।
এছাড়া নদীর বুকে চলে পালতোলা নৌকা। নদীতে জেলেরা মাছ ধরে। ছেলেমেয়েরা সাঁতার কাটে। আর এজন্যই এ দেশের শিল্পীদের মনে নদনদী একটি বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে।ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ।একেক ঋতু একেক রকম ফল ফসলের বার্তা নিয়ে আসে আমাদের দারে।প্রত্যেকটি ঋতুই আপন বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। ঋতু পরিক্রমার এই রূপ আমাদের মুগ্ধ করে।
.jpeg)
This post earned a total payout of 0.194$ and 0.097$ worth of author reward that was liquified using @likwid.
Learn more.