আমার এই জীবনে ভাড়া বাসায় থাকতে হয়েছে খুলনাতে তিনটি বাসায়,চট্টগ্রামে ৪টি বাসায় আর ঢাকাতে চলমান সহ ৪টি বাসায়।
হয়তোবা অনেকেই ভাবতে পারে এটা আর কি ব্যপার।আসলে ঠিক সেই কথাটা বলেতে বসিনি।আপ্নি যেই বাসাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে চাইছেন সেটি কেন মনের মতো হয় না।আমার মনে হয় আমরা যারা ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়ি তৈরী করি তারা সেই ভাবে ভাবিনা। কি করে একটি সুন্দর আবাস বানিয়ে কাউকে ভাড়া দিতে হবে। ভাবিনা আমার জন্য বাড়িটি বানিয়ে অন্যকে থাকতে দিবোনা কেনো।আমার নিজের কি কি জিনিস প্রয়োজন হতে পারে যেটা কমনলি সবারই প্রয়োজন হয়।প্রায় সকল বাড়ির মালিকরাই চিন্তা করে কম দামের ফিটিংস লাগিয়ে ভাড়াটিয়াকে বুঝিয়ে দিবে, নস্ট হয়ে গেলে তা ভাড়াটিয়া লাগিয়ে নিবে।কিন্তু আসলেই কি কাজটি সঠিক?
আপনি বাড়ি বানিয়ে যেনোতেনো ফিটিংস লাগিয়ে বাড়ি ভাড়া দিয়ে দিলেন।নস্ট হলে ভাড়াটিয়া লাগিয়ে নিবে। তাহলে আপনি বছর শেষে কেন বাড়ি ভাড়া বাড়াবেন? আপনি কি আবার ও কোন টাকা ইনভেস্ট করছেন?
কথা একটা আছে। ভালো না লাগলে, না পোষালে চলে যান। আসলে এটাই কি সমাধান? খুলনাতে যে বাসায় ছিলাম বাসায় আলো বাতাস ছিলো চেস্টা করেছি ভাড়া নেয়ার সময় তেমন বাসা খুজে বের করতে। আর সেই কারনেই আবাসিক এলাকা ছাড়া বাসা ভাড়া নিতে পারিনি। ঢাকাতে এই আলোবাতাস, বড় কিচেন, বড় বাথ রুম, বড় সাইজের রুম খুজে খুজে বের করতে জীবন টা তেজপাতা হয়ে যায়।
সরকার বাড়ি বানানোর আইন করে দিয়েছে কিন্তু তার প্রয়োগ হচ্ছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন মনে করছে না বা করলেও যারা আছে দেখার জন্য তারা বিনিময় মূল্য তা দেখা থেকে বিরত থাকছে।
আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছেনে ইঞ্চি জায়গাও জেনো খালি পড়ে না থাকে সেখানে ফসল ফলাতে হবে কিন্তু আমাদের শহরের জমির মালিকরা বুঝেছে এক ইঞ্চি জায়গা ও যাতে ফাকা না থাকে, একটি বিল্ডিং এর দেয়ালের সাথে আরেক বিল্ডিং এর দেয়াল লাগিএ দিতে হবে। কোন জায়গা অপচয় করা যাবে না।
ঢাকার আফতাব নগর, উত্তরা সেক্টর গুলোর বাড়ি, বসুন্ধরার বাড়ি গুলো তৈরী করার সময়ই কি সকল আইন মেনে রাজউক অনুমোদন দেয় বাকি গুলো দেখার দরকার নেই?
বসবাসের উপোযোগী একটি বাসা খুজতে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। আসলে আমরা এতোটাই ব্যবসায়ীক হয়ে গেছি টাকাটাই আগে চিন্তা করি।সেবা কি দিতে পারবো তা ভাবি না।
উত্তরা 'সেক্টর-৩' থেকে 'সেক্টর-৭' এ এবং বসুন্ধরার 'এ ব্লক' থেকে 'ই ব্লক'বাসা মান ও ভাড়া প্রায় কাছাকাছি মনে হলো।কিন্তু এভারেজ সুযোগ সুবিধা উত্তরাতেই ভালো বলে মনে হয়।
যাই হোক এক একজনের চয়েস এক এক রকম এর হয়। আমার যা ভালোলাগে আরেকজনের তা খারাপ লাগে এটাই নিয়ম।
তবে রাজউকের সচেতন হওয়া জরুরী। বিল্ডিং কোড না মেনে যেনো কেউ বাড়ি বানাতে না পারে।
আর আমাদের ও সচেতন হওয়া জরুরী আলোবাতাস হীন বাসায় কম ভাড়ায় বাস করে যে টাকা বাচানোর কথা ভাবছেন তা কিন্তু সব ডাঃ এর কাছেই দিয়ে দিচ্ছেন। তাই সব দিক ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
তারিখঃ১৫/১১/২০২২ইং
সময়ঃ সকাল ৯ঃ৫৭