PIXABAY
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ। ইতিমধ্যেই চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়েছে। আর এই চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারন প্রথম তিনদিনে যেখানে পড়েছিল মাত্র তেরো উইকেট, সেখানে আজকের দিনে দুই দলের আট উইকেটের পতন ঘটেছে । যার ফলে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগোতে থাকা ম্যাচেও মিলছে ফলাফলের সম্ভাবনা। তবে এই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন।
টেস্টের শুরুতে বাংলাদেশ টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শ্রীলংকা ভালো শুরু পেলেও বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। তবে শ্রীলংকার হয়ে একাই লেগেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। চান্দিমালকে সাথে নিয়ে করেছেন প্রায় ১৪০ রানের বিশাল জুটি। এই দুর্দান্ত জুটি ভাঙ্গেন ৬ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ নাঈম। নাঈম আর সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলংকা অলআউট হয় ৩৯৭ রানে৷ প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১৯৯ রানে এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। মাত্র ১ রানের জন্য ১২ তম ব্যাটার হিসাবে তিনি ২০০ রান করতে ব্যর্থ হন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় আর তামিম মিলে করেন এক রেকর্ড গড়া পার্টনারশিপ। ১৬২ রানের বিশাল ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। শেষ পাঁচ বছরে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ওপেনিং পার্টনারশিপ। ১৬২ রানে অর্ধশত তুলে নেওয়া আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি। তবে তার পরপরই নাজমুল হাসান শান্ত আর ক্যাপ্টেন মুমিনুল বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তামিমও ইঞ্জুরড হয়ে মাঠ ছাড়েন৷
ফলে দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পরে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাস এর উপর। তারাও রেখেছেন আস্থার প্রতিদান। দুজন মিলে গড়েন ২০০ রানের জুটি, যা বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসায়। লিটনের করে ৮৮ রান আর অন্যদিকে প্রায় দুই বছর আর ১৮ ইনিংস পর মুসফিকুর রহিম পায় শতকের দেখা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ৩৬৫ রানে। যার ফলে ৬৮ রানে লিড পায়।
দিনের শেষদিকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় তাইজুল ইসলামের দূর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ওসাডা ফার্নান্ডো। তার কিছুক্ষন পরেই তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে লাসিথ এমবুলডেনিয়া ২ রান করে সাজঘরে ফিরলে শেষ হয় চতুর্থ দিনের খেলা। দ্রুত দুই উইকেট তুলে নেওয়াতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দল।
ESPNCricinfo
ESPNCricinfo
ম্যাচের শেষদিন যে কোন কিছুই ঘটা সম্ভব । ড্রয়ের দিকে যাওয়া ম্যাচ এখন তার রুপ ফিরে পেয়েছে। তবে সবদিক বিবেচনায় বাংলাদেশরই জয়ের পাল্লা ভারি দেখা যাচ্ছে । কাল দ্রুত লঙ্কানদের বাকি ৮ উইকেট তুলে নিতে পারলে পাওয়া যাবে তুলনা মূলক ছোট টার্গেট । পরবর্তীতে তা খুব সহজেই চেজ করা সম্ভব হবে ।
এখন সবকিছুই নির্ভর করবে বাংলাদেশের বোলাররা কতটুকু ভালো বোলিং করতে পারে। অসাধারন কিছু করে দেখাতে পারলে হয়তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় জয় পেতে যাচ্ছি আমরা।
ICC