Asian Cricket Council
আর মাত্র একদিন পরে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়ার সবচাইতে বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটিতে মুখোমুখি হয় এশিয়ার সেরা ক্রিকেট দলগুলো। ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু হয় টুর্নামেন্ট টি জনপ্রিয়তার সাথেই অনুষ্ঠিত হয় প্রতি দুই বছর পরপর। এবারও তারা ব্যতিক্রম নয়। ছয় দল নিয়ে ওয়ান ডে ফরমেটে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হয় ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবেএশিয়া কাপের লড়াই। তবে কে হয়ে চলেছে এবাবেরে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন দল?
এবারের এশিয়া কাপের ফাইনাল রাউন্ডে জায়গা পাওয়া দল ছয়টি। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়া কাপে জায়গা পাওয়া বাকি দুই দল নেপাল এবং আফগানিস্তান। নেপালকে এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে খেলতে হয়েছে কোয়ালিফাইং রাউন্ড। যেখানে দলটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে নিজেদের সক্ষ্যমতার প্রমান দিয়েই এসেছে। তবে এশিয়া কাপের বাকি পাচটি দলের তুলনায় নেপাল শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
এবারের এশিয়া কাপে সবচাইতে ফেভারিট দলের বিবেচনায় সবচাইতে এগিয়ে ভারত। কেননা ভারতের আছে একটি শক্তিশালী দল। সব পজিশনেই তাদের আছে সেরা খেলোয়ার। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিলিং তিন ফরম্যাটেই তারা সমানভাবে ক্যাপাবল। ভারত এশিয়া কাপ ছাড়াও বৈশ্বিক সবগুল সবগুলো টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামে। একাধিক ডাইভারসিফাইড প্লেয়ার তাদের দলে থাকায় সব কন্ডিশনেই তারা সেরা দল। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ও সবচাইতে সাফল্য মন্ডিত দল ভারতে। সর্বমোট ১৫ টি আসরের সাতটিতেই শিরোপা জয় করেছে মাইটি ভারত দল।
এবারের এশিয়া কাপের ফেভারিটের তালিকায় উপরের দিকে থাকা আরেকটি দলের নাম পাকিস্তান। শক্তিমত্তার বিচারের ভারতের চাইতে কোন অংশে কম নয় পাকিস্তান। দলটির রয়েছে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামানের মতো বিশ্বমানের ব্যাটার। পাশাপাশি দলটির আছে শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হেরিস রউফের মতো বোলিং তারকা। তবে পাকিস্তান আনপ্রেডিক্টেবল দল। প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচে হারা এবং প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে জয় পাওয়ার বহু রেকর্ড আছে দলটির। তাই এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব।
ভারত এবং পাকিস্তানের পর এবারের এশিয়া কাপে সবচাইতে বেশি এগিয়ে থাকবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। দলটির বিগত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স আপ টু দা মার্ক নয়। দলের সিনিয়র প্লেয়ারদের বিদায়ের পর পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ তরুন খেলোয়ারেরা। তবে এবারের এশিয়া কাপ নিজেদের মাটিতে হওয়াতে অনেকটাই সুবিধা পাবে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারতের পর ২য় সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল শ্রীলঙ্কা কি পারবে নিজেদের মাঠে জ্বলে উঠতে?
ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার পর বাকি রইলো আর বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং নেপাল। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের এবং আফগানিস্তানেরও ভালো সুযোগ রয়েছে শিরোপা জয়ের। কেননা বাংলাদেশ ওডিয়াইয়ে অন্যতম ধারাবাহিক দল। বিগত কয়েক বছরে দলটি প্রমান করেছে তারা ওডিয়াইতে কতটা ক্যাপাবল। এবারের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের দলটিও যথেষ্ট শক্তিশালী। বিশেষ করে দলটির বোলিং ইউনিট প্রশংসা পাওয়ার মতো!
Congratulations @fa-him! You have completed the following achievement on the Hive blockchain And have been rewarded with New badge(s)
Your next target is to reach 30000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out our last posts: