হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি ভাল আছি। আজ অনেক দিন পর ব্যাতিক্রমধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে প্রথম ঋতু গ্রীষ্মকাল। বছরের প্রথম দুই মাস বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাস নিয়ে গ্রীষ্মকাল। এসময় গরম পরা শুরু হয়। মূলত চৈত্রের শেষের দিক থেকে গরম পরা শুরু হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে চলছে সূর্যের প্রখর তাপ আর সূর্যের এই প্রখর তাপে তাপমাত্রা দিন দিন অসাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে মাঠ ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। পুকুর, ডোবা, খাল শুকিয়ে গেছে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের আবাদে দেখা দিয়েছে চরম বিপত্তি। বিশেষ করে ভূট্টার ক্ষেতে দেখা দিচ্ছে পানি শুন্যতা। ভূট্টার ক্ষেতে দু-একবার সেচ দিলেই হয়ে যেত কিন্তু এবছর কয়েকবার সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
সূর্যের প্রখর অগ্নি ঝরা তাপে ভূট্টার আবাদকে রক্ষা করতে কৃষকদের বেহাল অবস্থা।
অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে ভূ গর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার কারনে অনেক কৃষক তাদের অনেক কষ্টের ভূট্টার ক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় গাছ মরে এরকম হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত খরা এবং সূর্যের তাপে আম গাছেও আশানুরূপ ফল ধারণ করেনি । প্রথম অবস্থায় অনেক মুকুল দেখা গেলেও পরবর্তীতে তাহা নষ্ট হয়ে গেছে।
আবার কোন কোন গাছে সব মুকুল ঝরে গেছে।
লিচুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কোন কোন গাছে একটিও লিচু ধরেনি আবার কোন কোন গাছে দু একটি করে লিচু দেখা যায় যাহা অন্যান্য বছরের তুলনায় অতি নগন্য।
আজকে আর বেশি কিছু নয়। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আবারও হাজির হব অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ততদিনে সবাই ভালো থাকবেন।