শিল্প যখন জীবিকা !!

in BDCommunity3 years ago
আমরা আমাদের সন্তানের প্রতিভা দেখলে খুশিতে পাগল হয়ে যাই। কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতিভার পরিচর্যা করি খুব কম। তাই বেশীর ভাগ সন্তানেরা তাদের নিজ গুনে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখে। আবার প্রতিভার পরিচর্যার অভাবে অনেক ছেলেমেয়ে হারিয়ে যায়। বাবা মার অবহেলা ও অদূরদর্শিতার কারণে ছেলে মেয়েরা তাদের সঠিক প্রতিভা থেকে ছিটকে পরে। সকল বাবা মা চায় তার সন্তান ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। তাই ছেলেমেয়েদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় মোটা মোটা সাইন্সের বই। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছুই হতে পারেনি বরং লেখাপড়া শেষে চাকরি পাওয়াটা মুশকিল হয়ে পরে।

11.jpg

অবশ্য আমাদের দেশের মানুষদের জন্য সকল প্রতিভা সব সময় মঙ্গল বয়ে আনেনা। কারণ প্রতিভার কদর করতে আমরা পারিনা। যে দেশের মানুষ ৮০% কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে সে দেশের মানুষ কিভাবে শৈল্পিক প্রতিভাকে মূল্যায়ন করবে। সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া মানুসগুলি খাদ্য বস্ত্র আর বাসস্থানের চিন্তা ছাড়া অন্য কোন চিন্তা তাদের মাথায় আসেনা। তবে হয় এই বৃত্ত থেকে আমরা কিছুটা হলেও বেড়িয়ে আসতে পারছি। ধীরে ধীরে আমরা আমাদের জীবন জীবিকার সাথে, আমাদের ঐতিহ্যের সাথে নানা রকমের শৈল্পিক ধারনাকে সমন্বিত করার সুদৃঢ় চেষ্টা চলছে।

লেখাপড়া নিয়ে একটা কথা আছে, আনন্দহীন শিক্ষা শিক্ষা নয়। তেমনি কর্মক্ষেত্রেও অনেকটা এমন যে, আনন্দহীন কাজও কাজ বলে মনেকরা উচিত নয়। পেইন্টিং এর কথাই ধরুননা, সবাইকে ভিন্সি কিংবা পিকাসো হতে হবে এমনতো কোন কথা নেই। কিন্ত যার কাজে আনন্দ আছে সে তার সেই কর্মটাকে বড় করে সকলের কাছে উপস্থাপন করতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশে এখন ফ্যাশনের বড় একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পেইন্টিং। সারাবিশ্ব যেখানে ডিজিটাল পেইন্টিং নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে হ্যান্ড পেইন্টিং অনেক বড় একটা জায়গা দখল করে আছে। আমাদের দেশের অনেক তরুণ যুবক যুবতীরা এখন তাদের শখের পেইন্টিংকে নিয়ে এসেছে ফ্যাশনে। তাই বড় একটা কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এই হ্যান্ড পেইন্টিংকে কেন্দ্র করে।

10.jpg

এমনি করে আমরা হয়ত এগিয়ে যেতে পারব, আকাশ ছুঁতে পারব। তাই আমাদের পরিবারের প্রধান হিসেবে আমাদের উচিত হবে আমারা যেন আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেই। যাতে করে তারা তাদের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে জীবন চলার পথকে সচল রাখতে পারে।