রূপকথার এক গল্প লিখলেন নাসিম শাহ।

in BDCommunity2 years ago

নাসিম শাহ পাকিস্তান ক্রিকেটের তরুন ফাস্ট বোলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০১৯ সালের দিকে৷ সেই অভিষেক ম্যাচের আগে তার মা মারা গিয়েছিল সেই খবর শোনে তখন সে ভেঙ্গে পরেছিল। তখন সে দলের সাথেই ছিলো। প্রিয় মাকে শেষ দেখা দেখতে না পারার আক্ষেপ এবং মায়ের চির বিদায়ের শোক নিয়েই তখন খেলেছিলেন সেই সিরিজ।

সেই তখন থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাসিম শাহার যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে টেষ্ট দলে অভিষেক হলেও টি-টুয়ান্টি দলে অভিষেক হয় দেরিতেই৷ সদ্য অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। সেই ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ফেলেন তিনি। তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ইনজুরি নিয়েও যেভাবে বুক চিতিয়ে বল করেছিলেন পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের সুনজর কেড়ে নিয়ে ছিলেন তিনি।

প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা। এবং বড় বড় সাবেক ক্রিকেট স্টার রাও তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে। তবে সেদিন তবু ম্যাচ হারার আক্ষেপ ছিলো। কিন্তু এবার যেন সব আক্ষেপেই মুছে ফেলেন এক ম্যাচে। এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এটাই ছিলো নকআউট ম্যাচ। যেই জিতবে সেই ফাইনালে চলে যাবে সমীকরণ এটাই ছিলো।

সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে টস জিতে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু বাবর আজম প্রথমেই ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তানকে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ বোলিংয়ে আফগানিস্তান ১২৯ রানেই থেমে যায়। জবাবে পাকিস্তান ব্যাটিং করতে নেমে তাদেরও সেই ভরাডুবি অবস্থা। কিন্তু তারপরও ম্যাচ টা পাকিস্তানের দিকেই ছিলো। কিন্তু লাস্ট দুই ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান মহা বিপদেই পরে গিয়েছিলো। শেষ ভরসা ছিলো তখন আসিফ আলী।

তখন লাস্ট দুই ওভারে দরকার ছিলো ২১ রানের মতো। তখন ১৯ তম ওভারে ১০ রান আসলেও শেষ বলে আসিফ আলীর উইকেট পরে যাওয়ায় পুরো ম্যাচ টাই চলে গিয়েছিল আফগানিস্তানের পক্ষে। গ্যালারিতে পাকিস্তানের দর্শকরাও নিশ্চুপ হয়ে যায়। তখন আফগানিস্তানের জয় একদম নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল। কারন নাসিম শাহই ছিলো যে পাকিস্তানের শেষ উইকেট ।

লাস্ট ওভারে লাস্ট উইকেটে দরকার ছিলো তখন ১১ রান। নসিম শাহ ছিলেন তখন স্ট্রাইকে। বোলিংয়ে আসলেন ফারুকী। ফারুকীর প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান নাসিম শাহ। তারপরেও ৫ বলে তখন দরকার ছিলো ৫ রান। তখনো জয় টা যে ছিলো অনিশ্চিত। সেই পরের বলেও ছক্কা মেরে বসেন নাসিম শাহ। বুক উচু করে ব্যাট, গ্লাভস ফেলে চিৎকার করে দৌড়ে জয় উদযাপন করতে শুরু করেন তিনি। এবং পাকিস্তানের সকল খেলোয়াড়রা যেভাবে জয় উদযাপন করেছিলো দেখে মনে হবে যেন এটা ফাইনাল ম্যাচ ছিলো। পাকিস্তানের এই রূপকথার জয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় তারা।

তবে এর আগেও নাসিম শাহ আরেক টি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন তিনি। ফাস্ট বোলার হিসেবে সবচেয়ে কমবয়সী বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটর কীর্তি গড়েন তিনি। যেন গতকাল রাতটিই ছিলো নাসিম শাহার। তার এই অতি দানবীয় পারফরম্যান্সে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

FB_IMG_1662656850637.jpg
IMG

Sort:  

দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের হাল ধরতে হয়,কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা তেমন একটা ভূমিকা রাখতে পারে না বলেই,হয়তো বাংলাদেশ বেশিদূর যেতে পারে না।

বাংলাদেশের ক্রিকেটার দের নিয়ে আর কি বলবো? কিছু বলার নেই।

Hi @imam-hasan, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!


Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.

JOIN US ON