এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়।🏏

in BDCommunity2 years ago

এশিয়া কাপের বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল আফগানিস্তানের সাথে। সেই প্রথম ম্যাচেও হেরে বসেছিল বাংলাদেশ৷ যার ফলে গতকাল শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচটি ছিলো বাংলাদেশের বাঁচা মরার লড়াই। এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে সেই ম্যাচেও জিততে জিততে হেরে যায় বাংলাদেশ। আর সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হারার সাথে সাথে এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

গতকাল শ্রীলঙ্কার সাথে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাটিং না নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায়৷ এর আগে বাংলাদেশ ১১ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে। স্কোয়াডে প্রথম ম্যাচের সাথে তিন জনের পরিবর্তন এনেছিলো বাংলাদেশ। সাব্বির, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন শ্রীলঙ্কার সাথে খেলার সুযোগ পান। আর এটাই ছিলো এবাদত হোসেনের ডেবু ম্যাচ।

শুরুতে বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমান। ওপেনিং সমস্যায় ভুগতে থাকা বাংলাদেশ তাই এই দুইজনকেই চমক হিসেবে ওপেনিংয়ে নামায়। কিন্তু শুরুতেই সাব্বির রহমানের উইকেট হারাই বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও শুরুর বর্থতা ভুলে মেহেদী হাসান মিরাজ সাকিব কে সঙ্গী করে নতুন করে দাপুটে খেলার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। তারপর আবার সাকিবের উইকেট হারাই বাংলাদেশ৷ কিন্তু এর মাঝে মেহেদী হাসান মিরাজ বাংলাদেশকে তাও একটা ভালো শুরু এনে দেয়।

তিনি ২৬ বলে ৩৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন। তারপর মুশফিক, মিরাজের বিদায়ের পর দল অনেক টাই বিপদে পরে যায়। সেখান থেকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আফিফ হোসেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেন ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস। আর আফিফ হোসেন খেলেন ২২ বলে ৩৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস৷ তার স্কোরেই ছিলো দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। শেষে মোসাদ্দেক আর তাসকিনের উপর ভর করে বাংলাদেশ টার্গেট দেয় ১৮৪ রানের।

জবাবে শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে। তারপরেও কুসাল মেন্ডিসের ক্যাচ তুলেছিলেন তাসকিন আহমেদ এর বলে। যদিও সেই ক্যাচটি মিস করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এর পর তিনি আবার আরেকটি সুযোগ পান। মেহেদীর নো বলে তিনি আবারো জীবন ফিরে পেয়েছিলেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩৭ বলে ৬০ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন তিনি৷ তার উপর ভর করেই শ্রীলঙ্কা জয়ের দেখা পায় গতকাল। এবাদতের এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নেওয়ার পর আরো দুই উইকেট হারালে শ্রীলঙ্কা অনেকটা চাপেই পরে গিয়েছিলে৷ তখন ম্যাচ অনেক টা বাংলাদেশের দিকে ঝুলে যায়।

কিন্তু শেষে মুহুর্তে জিততে থাকা ম্যাচ টা এবাদতের বেহিসেবী বোলিংয়ে বাংলাদেশ শেষ মুহুর্তে ম্যাচ টা হেরেই বসে৷ নো বল, হোয়াইট বলের ছড়াছড়ি ছিলো তার শেষ দুই ওভারে। ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া মোস্তাফিজও শেষের দিকে বাজে বোলিং করেন৷ আর সেই জিততে থাকা ম্যাচটিও হাত ছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের৷

লাস্ট ওভারে দরকার ছিলো ৮ রানের। কিন্তু সেখানে মেহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দেয় সাকিব আল হাসান৷ তারপর দুই বলেই ৮ রান দিয়ে দেয় মেহেদী৷ আর শ্রীলঙ্কাও সেই সাথে দুই উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ টা জিতে নেয়৷ আর তখন শুধু বাংলাদেশ ম্যাচটি হারেনি সেই সাথে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়। সাথে এশিয়া কাপ থেকেও বিদায় ঘন্টা বেজে যায় বাংলাদেশের।

asiacup-1661610072.jpg
IMG

Sort:  

তবু ভারত,পাকিস্তান বড় দলের সাথে হেরে বিদায় নিলে মনকে স্বান্তনা দেওয়ায যেতো,কিন্তু এখনতো....

শ্রীলংকার সাথে যখন ১৮৩ রান করলো, মনে একটা আশা জাগছিলো যে আজকের ম্যাচ টা জিতবে বাংলাদেশ। সব কিছু বাদ দিয়ে খেলা দেখলাম জেতার আশা নিয়ে। কিন্তু সেই আশা টাও পূরণ হইলো না।

You post has been manually curated by BDVoter Team! To know more about us join our Discord.


Delegate HIVE POWER to us & earn HIVE daily.

FOLLOW OUR HIVE AUTO CURATION TRAIL