ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেটা কোনো সাধারণ ম্যাচ হোক বা বড় কোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচ হোক। সব ম্যাচেই উত্তেজনায় ঠাঁসা থাকে। তবে সেটা যদি টুর্নামেন্ট শিরোপা ছোঁয়ার হাতছানি থাকে তাহলে তো আরো বড় মহারণে পরিনতি হয় ভারত পাকিস্তান ম্যাচ।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে তাদের নিজেদের প্রথম ম্যাচে দেখা হয়েছিলো দুই দলের। তখন সেই ম্যাচ টাও জেতার জন্য খুব কঠিন হয়েছিল দুই দলের জন্য। তারপরেও শেষ মুহুর্তে ভারত জিতে নিয়েছিলো ৫ উইকেট হাতে নিয়ে। সেদিন হার্ডিক পান্ডিয়ার অসাধারণ ব্যাটিং ভারতকে জিততে অনেক টায় সহজ করে দিয়েছিলো।
তবে গ্রুফপর্বের ম্যাচে হারার পর সুপার ফোরে পাকিস্তান খুব ভালো ভাবেই ঘুরে দাড়িয়েছে। গ্রুপ পর্বে ভারত পাকিস্তানের সাথে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিলো আর সুপার ফোরেও ঠিক উল্টোটা হয়েছে। সেখানে পাকিস্তান ভারতের সাথে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয়। গতকালের ম্যাচে প্রথমে টস জিতে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু বুদ্ধিমান অধিনায়ক বাবর আজম প্রথমে ব্যাটিং দিয়ে দেয় ভারতকে।
প্রথম ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে ভারত। ওপেনিংয়ে রহিত শর্মার সাথে রাহুল নামেন ব্যাটিংয়ে। শুরু থেকেই পাওয়ার হিট খেলতে দুই ব্যাটসম্যানেই। প্রথম ওভারেই রহিত শর্মা ১১ রান তুলে নেন। এক চার আর এক ছয়ের সাথে লাস্ট বলে এক রান নেন। তার পরের ওভারও পুরোটাই রহিত শর্মা ব্যাটিং করে। তৃতীয় ওভারে রাহুল ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে সেও মারকুটে ব্যাট চালায়। এভাবে তারা পাওয়ার প্লে তে ৬০ রানের ওপরে রান তুলে নেয়।
তার পর উইকেট চলে যাওয়ায় দৃঢ় গতির রান উঠে কয়েক ওভার। কিন্তু তখন একমাত্র বিরাট কোহলি ছাড়া আর কেউ ভালো করতে পারেনি। কোহলি সেই ম্যাচেও ফিফটি করেছেন। সর্বশেষ দলীয় স্কোর দাঁড়াই ১৮১ রান।
১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বাবর আজমের উইকেট হারাই পাকিস্তান। কিন্তু তখন বাবর আজমের উইকেটের শুন্যতা বুঝতে দেয়নি রিজওয়ান। এর পর রিজওয়ান কে রেখে যখন ফকর জামান সাজ ঘরে ফিরে যান তখন পাকিস্তান অনেকটাই চাপে পরে যায়। এত রানের ভোজা আর উইকেট হারানো তখন পাকিস্তান অনেক টাই ম্যাচ হারার শঙ্কায় পরে যায়। কিন্তু তখনেই রিজওয়ানের সাথে পাকিস্তানের ত্রাতা হয়ে আসেন নাওয়াজ শরীফ। নাওয়াজের ২০ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস পাকিস্তানের জয় মুখ দেখাতে শুরু করে। এর মাঝে রিজওয়ানও ফিফটি তুলে নেয় তিনি ৭১ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। কিন্তু এর পর নাওয়াজ শরীফ আর রিজওয়ান আউট হওয়ার পর পাকিস্তান আবারো চাপে পরে গিয়েছিল।
কিন্তু তখন কোনো অঘটন ঘটতে দেয়নি আসিফ আলী। তার শেষ মুহুর্তে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এক বল হাতে রেখেই পাকিস্তান জয় তুলে নেয়। ভারতের সাথে পাকিস্তানের এই জয়ে পাকিস্তানের দর্শকদের মাঝে আনন্দ উচ্চাসের কোনো কমতি ছিল না। কারন জয় টা যে ছিলো চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে।
প্রথম দিকে ভারতই জিতবে বলে মনে হচ্ছিলো,
কিন্তু শেষে খুবি উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচ হয়।
এই আসরে হয়তো আরও দুইবার তাদের দেখা হবে,হয়তো ফাইনালেও।
আবার দেখা হবার সম্ভাবনা এখন আর নাই বললেই চলে। ভারত এখন এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিবে।