মমতাময়ী মা

in BDCommunity5 years ago (edited)

আমার মায়ের নাম হাসনা। বাবা আহ্লাদ করে ডাকেন হাসু। শুধু বাবা না সবাই।শুধু দাদী ছাড়া। দাদী মায়ের নামটা যতভাবে ব্যাংগ করে ডাকা যায় ততোভাবেই ডাকেন।মা রাগ করেন না। শুধু তৎক্ষনাৎ মায়ের হাসিমাখা আলোকিত মুখ টা নিকষ অন্ধকারে ছেয়ে যায়।ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি।আমার দাদী কখনোই আমার মায়ের সাথে হেসে দুটো কথা বলেননি।যদি কোনো কাজে দরকার পড়ে তো ডাকেন তাও আবার কোনো না কোনো ভাবে ব্যাংগ করে। যদিও আমার জেঠি চাচিদের দাদী আদর করে বউমা বলে ডাকেন।অথচ ওনারা দাদীকে কাছে রাখা টা পছন্দ করেন না বিধায় দাদী আমাদের সাথে থাকেন।
pexels-photo-3270224.jpeg
আমার মায়ের দোষ হলো, মা বাবাকে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। আমার মা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। আর আমার বাবার আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়।মধ্যবিত্ত বলা চলে। মা সব জানতেন।তবুও বাবার হাত ধরে সব ছেড়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন। এতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো আমার নানাভাই।কিন্তু আমার জন্মের পর মা বাবাকে তিনি কাছে টেনে নেন। এসব কথা আমি আমার নানাভাই এর কাছ থেকেই জেনেছি।কিভাবে মায়ের বিয়ে হয়েছিলো। কিভাবে সবকিছু মেনে নেওয়া হয়েছিলো এসব কিছু নিয়ে নানাভাই বেঁচে থাকতে আমার সাথে গল্প জুড়তেন।বেশ রসাত্মকভাবে বলতেন তিনি।আমি সব শুনতাম বুঝতাম আর খিলখিল করে হাসতাম।আবার যেতে যেতে আমাকে বলতেন, খবরদার! তুমি কিন্তু এমন করবেনা! মা বাবাকে কষ্ট দিয়ে কখনো কোনো সন্তান ভালো থাকেনা ।

কথা টা বেশ গম্ভির ভাবে বলতেন আমার নানাভাই।তখন বুঝতাম না বড় হতে হতে বুঝতে পারছি। মায়ের আরো একটা দোষ আছে। সেটা হচ্ছি আমি। দাদী আমার মাকে যেমন পছন্দ করেন না আমাকেও তেমনি পছন্দ করেন না। আমি দাদীর কাছে গিয়ে বসি। পান মুড়ে দেই।একটু মন পেতে চেষ্টা করি।কিন্তু দাদী আমার হাতের বানানো পান খান না।কখনো খান নি আজ পর্যন্ত। ওনার কাছে গিয়ে একটু বসলেই ক্ষেপে যান। শুধু বলেন,
এ মেয়ে জন্মের সময় বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হলোনা কেন? কি জ্বালায় না পড়তে হয় ওকে নিয়ে।
আমার চোখ ভরে আসে। একটু পর টপ টপ করে পানি পরতে থাকে। আমি মুখ ফুটে কিছু বলতে পারিনা। কারন সে ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেন নি।কিন্তু আল্লাহ আমাকে অদ্ভুদ এক ক্ষমতা দিয়েছেন।মানুষের ঠোঁটের নাড়াচাড়া আর মুখের ভংগি দেখেই আমি বুঝতে পারি তারা কি বলছে। শুধু দাদী না এ বাড়িতে কেউই আমাকে পছন্দ করেনা।এমনকি আমার বাবাও না।কারন আমি প্রতিবন্ধী। বাক প্রতিবন্ধী। সবার নানাধরনের কথায় ব্যাথিত হয়ে আমি আড়ালে গিয়ে গোপনে কাঁদতে থাকি। কেউ টের পায়না।অথচ কি করে যেন আমার মা জেনে যান। আমার নিরব কান্না মায়ের হৃদয়ে সশব্দে আঘাত করে। আমার মা আমাকে কাছে টেনে নিয়ে হৃদয় ভরে আদর করে দিয়ে শান্ত করেন। আর তাতেও আমার দাদী ভিষণ রেগে যান। আমার মা তখন মুখটা শক্ত করে বলেন, আমার মেয়েকে আমি ভালোবাসবো।বাধা দেওয়ার আছে কেউ?
দাদী দু কদম পিছিয়ে যান। মুখ বাঁকিয়ে চলে যান।আমি তখন মাকে দেখে অবাক হই। ভীষণ কোমল এই নারী ভীষণ কঠিন হওয়ারও ক্ষমতা রাখেন।চাইলেই সবাইকে দমিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু না।মা শুধু তখনি এই রূপ ধারন করেন যখন কেউ আমাকে কিছু বলে। সবাই আমাকে ছুড়ে ফেললেও আমার মমতাময়ী মা আমাকে ফেলে দিতে পারেননি। কতোটা মহান আমার মা। আমার ছোট একটা ভাই আছে। দুবছরে পা দিলো সবে। ও সবার মতো করে আমাকে তাচ্ছিল্য করেনা। খুব ভালোবাসে। কিন্তু ভিষণ দুষ্ট ও। আমার মা সারাবাড়ির কাজ সেরে সবার খাওয়ার শেষে যখন খেতে বসেন তখনই আমার ছোট্ট ভাইটা ওর কাপড় নোংরা করে ফেলে।সারাবাড়ি দূর্গন্ধ ছড়িয়ে যায়।মা খাওয়া রেখে উঠে আসেন। ওকে পরিষ্কার করে দিয়ে পেটে খুব বেশিই ক্ষুদা থাকলে আবার খেতে বসেন।মাঝে মাঝে আবার খেতে বসার সুযোগ ও পান না। আমি আবার আমার মাকে দেখে অবাক হই।

আমার বাবা রাত আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। আর গরমের দিনে তখন চুলো জ্বলতে থাকলে বাবা ভীষণ রেগে যান। আর বলেন, এখন রাজ্যের রান্না সব একত্র হয়েছে? কি করেছো টা কি সারাদিন? কি কর বাড়িতে বসে? সারাদিন খাটা খাটনি শেষে বাড়ি ফিরে শুধু তোমাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যাই! ভোরে উঠে অফিস যেতে হয় আমার! সারা বেলা পড়ে পড়ে ঘুমোও। কস্টের বুঝবে কি?
মা এসব শুনতে শুনতে আনমনে তরকারির গরম পাতিলটা ন্যাকড়া ছাড়াই ধরে ফেলেন। ব্যাথা বোধ হয় মায়ের। তবুও পাতিলটা সাবধানে না রাখা পর্যন্ত ছেড়ে দেন না। ঝলসানো হাত নিয়ে মুখে হাসির রেখা টেনে রান্নাঘর থেকে বেরোন।বাবাকে সযত্নে ভাত বেড়ে খাওয়ান। খাওয়ার টেবিলে বাবার রাগ ভাংগান।আর এমন হবে না কথা দেন। বাবা তরকারির খুঁত ধরে আরক দফা মাকে বকাবকি করেন।দাদীও সুযোগ পেয়ে যান। ব্যাস শুরু! মা চুপচাপ শুনতে থাকেন। আমি তখনও মাকে দেখে অবাক হই।

আমার বাবার একটা ভালো দিক আছে। বাবা মাকে বকেন ঠিকি। কিন্তু কেউ বকলে তা খুব কমই সহ্য করেন।বুঝতে পারি, বাবা মাকে খুব ভালোবাসেন।শুধু এজন্যই আমি আমার বাবাকে এতো ভালোবাসি।শুক্রবারে বাবার অফিস বন্ধ থাকে।বাবা সারাদিন নাক ডেকে ঘুমোন।যেদিন আমি আবিষ্কার করেছি শুক্রবার সবার ছুটির দিন সেদিন মায়ের কাছ থেকে সাপ্তাহিক ছুটি নিয়েছি। পড়তে বসিনা! সারাদিন ভোরে রিদুর সাথে খেলি।
কিন্তু হঠাৎ একদিন এটাও আবিষ্কার করে বসি, সবাই শুক্রবারে ছুটি পায় শুধু আমার মা পান না।প্রতিদিন যা যা কাজ করেন শুক্রবার তার দ্বিগুণ করেন। বাবা সারাদিন বাসায় থাকেন। বাবার জন্য এটা ওটা করতে হয় মাকে। বেশিরভাগ শুক্রবারে তো নানা জায়গা থেকে অতিথি আসে। আমি মাকে জিগেস করেছিলাম ইশারা ইংগিতে মায়ের ছুটির দিন কোন দিন?
মা মুচকি হেসে বলেছিলেন, আসবে।
আমিও শুনে খুব খুশি হই।আর দিন গুণি কবে আমার মা ছুটি পাবে।

তার বেশ কদিন পর মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লেন।ডাক্তার দেখালেন বাবা খুব গুরুত্ব দিয়ে। দাদী মুখ বাঁকালেন। বাবা পাত্তা দিলেন না। ডাক্তার মাকে এনজিওগ্রাম করাতে বললেন।মা করালেন না। মা বললেন, কিছুই হয়নি আমি ঠিক আছি ।
দাদীও সুযোগ পেয়ে প্রসংগ পালটে দিলেন একদম। আগের নিয়মেই মা পরিবারের সব কাজ, ভাই এর দেখাশোনা, দাদীর সেবা আর বাবার সব টুকিটাকির খেয়াল রাখতে লাগলেন। আমাকে কেউ কস্ট দিলো কিনা, আমি কোথাও বসে কাঁদছি না তো! এসব নিয়েও চিন্তার শেষ নেই মায়ের। শুধু চিন্তা করলেন না নিজেকে নিয়ে। তারই ফলসরূপ মায়ের শরীর দিন দিন আরো খারাপ হতে লাগলো। বাবা আর কারো কোনো কথা শুনলেন না। মা কে ঢাকায় নিয়ে গেলেন।সাথে মায়ের দেখাশোনার করার জন্য আমাকেও নিলেন।রিদু দাদীর কাছে রইলো।
মায়ের এনজিওগ্রাম করানো হলো। ডাক্তার বললেন,
আমার মায়ের হার্ট নাকি শতভাগ ব্লক।
আমি কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না।শুধু একেকবার একেকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছিলাম। ঢাকায় ফুপুর বাসায় আমরা উঠলাম।আমাকে ফুপাতো বোন টা বুঝিয়ে বললো, আমার মায়ের বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। আমি তো এসবের কিছুই বুঝিনা।আমার তো এখন মাকে দরকার। মা ই তো আমার মনের কথা বুঝতে পারে।আর আমাকে আমার মন মতো করে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে পারে। আমি দুপুর বেলা মায়ের জন্য ভাত বেড়ে নিয়ে গেলাম।মায়ের চেহারা দেখে যেন চিনতে পারছিলাম না।আমার রূপবতী মায়ের একি হাল?
মা খেতে চাইলেন না।আমি মা কে ইশারা ইংগিতে জিগেস করলাম, কি খাবে তুমি মা?
মা হঠাৎ করে অজস্র ধারায় কেঁদে উঠলেন।বললেন, কি খাবো রে আমি তিথি? আমি কি করে খাবো? আমার তো শতভাগ ব্লক।
আমি অবাক হয়ে যাই।খুব বেশি অবাক হয়ে যাই। মমতাময়ী মাকে আমার এ প্রথম কাঁদতে দেখছি।এ প্রথম ভেংগে পড়তে দেখছি!
আমার হৃদয় ছিঁড়ে যায়। বলতে ইচ্ছে করে,
মা গো চাইলে তোমাকে আকাশের চাঁদটা এনে দেবো।তবু তুমি কেঁদোনা।
pexels-photo-256807.jpeg

মাকে জড়িয়ে ধরি।পিঠ চাপড়ে বড়দের মতো স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করি।মা আমাকে খেয়ে নিতে বলেন।আমি জোর করে মাকে দুগাল খাওয়াই।
সন্ধ্যায় রুমা আপুর বিজ্ঞানের স্যার পড়াতে আসেন।রুমা আপু স্যার কে জিগেস করেন,
বাইপাস সার্জারি কি?
স্যার বলেন, কেন? কেউ অসুস্থ?
রুমা আপু বলেন, আমার চাচী।
স্যার বলেন, তাহলে মানসিক ভাবে প্রস্তুত মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকো।ডাক্তার রা জিরো পারসেন্ট সম্ভাবনা নিয়ে বাইপাস সার্জারি করাতে যান।
সংগে সংগে রুমা আপু আমার দিকে তাকায়।আমি কিছু বলিনা।ওরা ভাবে আমি কিছু বুঝতে পারিনি।কিন্তু আমি জানি জানে আমার রব, কথাগুলো আমার হৃদয়টা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।

এক সপ্তাহ পর মায়ের সার্জারী সম্পন্ন হয় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে। তার দশ দিন পর মা হাসপাতাল থেকে ফুপুর বাড়িতে ফিরে আসেন। আমাকে কাছে টেনে খুব আদর করেন। আমি খেয়াল করে দেখি মায়ের সামনের দুটো দাঁত পড়ে গেছে। আমি কিছু বলিনা। শুধু দুচোখ ভরে মাকে দেখি। মা একা একা কিছুই করতে পারেন না এখন।পায়ে আর বুকে তার বিশাল ক্ষত।আমি মায়ের যাবতীয় সব কাজ করি। আর যেগুলো আমি পারিনা সেগুলো ফুপু করেন।

একদিন খুব সকালে আমি চিতকার শুনে ঘুম থেকে উঠি। গিয়ে দেখি ফুপুর অসাবধানতার কারনে মা পড়ে গেছে। দ্রুত ডাক্তার কে ফোন করা হয়। ডাক্তার বলেন, ওনাকে ঘুমুতে দিন। ঘুম থেকে উঠে যদি উনি সবকিছু স্বাভাবিক দেখেন তাহলে সবকিছু ঠিক আছে।আর যদি মাথা ঘুরায় বা সবকিছু ডাবল দেখেন তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবেন।

ঘুম থেকে উঠে মা বেশ স্বাভাবিক হয়ে যান। তাই আর হাসপাতালে নেওয়া হয়না।কিন্তু রাতের দিকে মায়ের শরীর খারাপ হতে থাকে। মা পরপর দুবার বমি করেন। তখন বাজে রাত এগারো টা।হাসপাতাল এখান থেকে বেশ দূরে। সিদ্ধান্ত হয় রাত টা পোহালেই ভোরে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি মনে মনে দোয়া করতে থাকি।রাতের বেলা ফুুপু মায়ের সাথে থাকেন।আমাকে ড্রইংরুমে বিছানা পেতে দেন। আমি থাকতে চেয়েছি মায়ের কাছে কিন্তু ফুপু থাকতে দেননি। সারারাত ঘুমোলাম না যাতে মায়ের কোনো দরকার হলে এক দৌঁড়ে যেতে পারি। রাত তিনটে নাগাদ মায়ের কাশির আওয়াজ শুনতে পেলাম৷ ফুপু জোরে বাবা কে ডাকলেন।সবার আগে আমি দৌঁড়ে গেলাম। ফুপু একা মা কে শোয়া থেকে তুলতে পারছিলেন না।আমি বাবাকে পাশের ঘর থেকে ডেকে আনলাম।মা আর ফুপু মিলে তুললেন।ফুপু মায়ের মুখের কাছে ছোট বালতি ধরলেন। মা আবারও বমি করলেন।সারা মাথা ঘেমে গেলো মায়ের।আমি গামছা দিয়ে নিজ হাতে মুছে দিলাম।মা একটাবার আমার দিকে চোখ তুলে তাকালেন।তারপর মাথা টা সামনের দিকে ঝুকিয়ে নিলেন।আর একবারো নড়লেন না।বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলো। এবার সবাই ভিষণ ভয় পেয়ে গেলো। বাবা মায়ের নাড়ি পরীক্ষা করলেন।আর তারপরই বাবার চোখগুলো লাল হয়ে গেলো।আমি স্পষ্ট দেখলাম।একটা অজানা আশংকায় আমি ঝলসে গেলাম প্রায়।
pexels-photo-3978594.jpeg
বাবা ফোন করে এম্বুলেন্স ডাকলেন। কাছের কোনো হাসপাতালে নেবেন বললেন।আমাকে নিলেন না সাথে । আমি বার বার রুমা আপুর মোবাইল দিয়ে ফোন করি। ধরেন না বাবা।বেশ কিছুক্ষন পর রুমা আপু আমাকে বলেন, চাচিকে এই হাসপাতালে ডাক্তার নেই বলে অন্য হাসপাতালে নিচ্ছে।তোমাকে কাপড় চোপড় গোছাতে বলল।
আমি দৌঁড়ে এসে সব গোছালাম। কিন্তু কেন? জানিনা! আমার মায়ের কোথায় কি আছে সব খুঁজে খুঁজে নিলাম। ফুপু একটু পর ফিরে এলেন। আমাকে নাস্তা দিলেন।আমাকে বাবা নিতে এলেন একটু পর। আমি যেতে যেতে বুঝলাম। আমার মা কে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না। আমার মাকে লাশবাহী গাড়িতে করে গ্রামে নেওয়া হচ্ছে।আমার মা লাশ হয়ে আমার সাথেই বাড়ি ফিরছেন।
আমি তখনও কিচ্ছু বলতে পারিনা।শব্দগুলো একত্র হয়ে পরিণত হয় আমার নিরব কান্নায়!
মা! তুমি কি আর টের পাচ্ছ না?আর কেউ কি তাহলে টের পাবে না?
মা! তোমার ছুটির দিন তাহলে এসেই গেলো!
Pictures are taken from pexels.com

সমাপ্ত .....

Sort:  

Well written, keep it up.

thank you so much

We all should love our mother. Nice story.

Congratulations @jannat287! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :

You distributed more than 10 upvotes. Your next target is to reach 50 upvotes.

You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP