আলপনা গ্রাম

in BDCommunity4 years ago

20200803_162600.jpg
তিনি আলপনা আর্ট করেছেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

জেলার নাচোল উপজেলার ছোট্ট একটা গ্রামের নাম টিকইল ((Tikoil)। আর টিকইল গ্রামের প্রতিটি দেয়াল যেন উন্মুক্ত ক্যানভাস। সেই ক্যানভাসে টিকইল গ্রামের মানুষগুলো ফুটিয়ে তোলেন নান্দনিক সব আলপনা। তাই গ্রামটি দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষের কাছে আলপনা গ্রাম (The Alpona Village/A village of alpona) নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

20200803_162728.jpg
রান্না ঘরে আলপনা

আলপনাগুলো মূলত গ্রামের গৃহিণী ও মেয়েরা অঙ্কন করে থাকে৷ বছরের পর বছর ধরে বংশ পরম্পরায় বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে তারা তাদের ঐতিহ্যকে লালন করে চলেছেন৷ তুলির আঁচড়ে রঙিন হয়ে উঠে মাটির তৈরী প্রতিটি বাড়ির দেয়াল এমন কি আল্পনার ছোঁয়া থেকে রান্নাঘরও বাদ যায় না। মাটির ঘরে আল্পনাগুলো আঁকা হয় নিজেদের তৈরি করা রঙ দিয়ে এবং আলপনা আঁকার প্রধান কাঁচামাল আসে মাটি থেকেই।

20200803_163514.jpg
ঘরের ভিতর দেয়ালে আলপনা

এক সময় এসব আলপনা আঁকার জন্য চক (খড়িমাটি), গিরিমাটি, রং এবং তারপিন তেল ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সেইসব আলপনার স্থায়িত্ব ছিল কম, তাই বর্তমানে গিরিমাটি, শুকনা বরই চুর্ণ আঠা, আমের পুরাতন আঁটির শাঁস চুর্ণ, চকগুঁড়া, বিভিন্ন রং, মানকচু ও কলা গাছের কস দিয়ে তৈরি মিশ্রণকে ৪ থেকে ৫ দিন ভিজিয়ে রেখে আলপনা আঁকা হয়। আর এই আল্পনা টিকে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময়।

20200803_162627.jpg
ঘরের প্রতিটা দেয়ালে আলপনা

স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এসব আল্পনায় বাড়িঘরে পবিত্রতা আসে এবং পরিবারের সকল সদস্যদের মন প্রফুল্ল থাকে। তবে কিভাবে টিকইল গ্রামে এমন ঐতিহ্যের জন্ম হল সেই সম্পর্কে গ্রামের মানুষের তেমন সুনির্দিষ্ট কোন ধারণা নেই। তবুও বিভিন্ন উৎসব, পার্বণে এবং আনন্দময় উপলক্ষ্যে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য রক্ষা করে চলেছেন।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দূরত্ব ৩১৭ কিলোমিটার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে আলপনা গ্রামের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। ঢাকা হতে কেবলমাত্র সড়ক পথেই সরাসরি চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়া যায়। ট্রেন কিংবা আকাশ পথে যেতে হলে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে হয়। ঢাকার কল্যাণপুর এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, মডার্ণ এন্টারপ্রাইজ, ন্যাশনাল ট্রাভেলস সহ বেশকিছু পরিবহণের বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে নিয়মিতভাবে যাত্রা করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হতে ট্রেনে চড়ে নাচোল উপজেলায় যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাস, ট্যাক্সি এবং সিএনজি ভাড়া করে আলপনা গ্রাম যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

নাচোলে থাকার তেমন জায়গা নেই, থাকতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে চলে আসতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটামুটি মানের হোটেল এর মধ্যে রয়েছে হোটেল রোজ, হোটেল আল নাহিদ, হোটেল স্বপ্নপুরী, নবাবগঞ্জ বোডিং, হোটেল রংধনু উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

চাপাইনবাবগঞ্জে খাবারের জন্য বেশ কিছু বিভিন্ন মানের হোটেল/রেস্টুরেন্ট পাবেন। তবে শিবগঞ্জের আদি চমচম খেতে ভুলবেন করবেন না।

About Me

My name is Md. Jony Dewan
Father's name: md Moslem Dewan. mother's name jinara Begum
I am a sports lover, writer, horticulturist, traveling photographer.

My Facebook link https://www.facebook.com/jony.dewan.31508

Sort:  

👋 Hi @jonydewan, I was flipping through the blockchain and stumbled on your work! You've been upvoted by Sketchbook / a community for design and creativity. Looking forward to crossing paths again soon.

Join the Sketchbook Community