তুমি নারী?

in BDCommunity4 years ago

received_1711750735785115.jpeg

বাস্তবতা.

১৮ থেকে ২৫ বছর মেয়েদের জন্য জীবনের সবচেয়ে কঠিন বয়স। সামনে কি আছে জানা নেই আবার পিছনে ফিরে যাবারও উপায় নেই।এই বয়সে পায়ের উপর পা তুলে নাটকের চ্যানেলও দেখা যায় না আবার কার্টুন চ্যানেল দেখাটাও বাচ্চামী হয়ে যায়।

বয়স

এই বয়সে যতই কষ্টে থাকুক না কেন মুখে হাসি থাকবেই।কয়েক বছর আগে যে পাশের ফ্লাটের আন্টিরা ঈদের সালামি হিসেবে একশ টাকার কচকচে নোট ধরিয়ে দিতেন তারাও একসময় খুব গম্ভীর মুখ করে জিজ্ঞেস করেন,বাচ্চা কবে নিবা/ বিয়ে করবানা না কি?? পরিবার নিয়ে কি ভাবলে..??

এই বয়সে খাবার টেবিলে বসে তরকারি পছন্দ না হলেও শান্তভাবে খেতে হয়।এই সময় জ্বর - সর্দি-কাশি হলে সেটা কারো চোখে পড়েনা।এই ধরনের অসুখগুলো নীরবে সহ্য করে যেতে হয়।এই বয়সটা কিছুই না পাওয়ার।
এই বয়সটা পুরনো মানুষদের হারিয়ে ফেলার। এই বয়সটা অনিশ্চিতয়তার, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত কাঁধে নেয়ার।যে দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর ভুলে যেতে হয় কে আমি...?

মানুষ যা ভাবে

ঘরে ১৭/১৮ বছর বয়সী মেয়ে আছে।
আশেপাশের মানুষজন বলবে, "মেয়ে তো বড়
হইছে, বিয়ে দিবেন না?
ঘরে ২৫/২৬ বছর বয়সী মেয়ে আছে।
আশেপাশের মানুষজন বলবে, "মেয়ের কি
কোন সমস্যা? বিয়ে হয় না কেন?"
ঘরে ১৫/১৬ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়ে
আছে। আশেপাশের মানুষজন বলবে, "মেয়ের
তো বয়সই হয় নাই, এই বয়সে বিয়ে দিলেন?
প্রেম টেম করছিল? নাকি পালায়া
গেছিল?"
ঘরে চাকরিজীবী অবিবাহিত মেয়ে আছে।
আশেপাশের মানুষজন বলবে, "শেষ বয়সে
মাইয়ার কামাই খাইতেছেন ঠ্যাংয়ের উপর
ঠ্যাং তুইলা।"
ঘরে চাকরিজীবী বউ আছে। আশেপাশের
মানুষজন বলবে, "ঘরের বউরে ঘরে রাখতে হয়,
বাইরে পাঠায়া বউ খারাপ বানাইয়েন না।"
ঘরে ডিভোর্সি কিংবা বিধবা মেয়ে
থাকলে তো কথাই নাই। একেবারে সোনায়
সোহাগা। তাদের মুখ থেকে রসের আলাপ
আর মাটিতে পড়ে না।
ঢাকা শহর আর কিছু বড় শহর বাদ দিলে পুরো
বাংলাদেশের চিত্র এইটাই। মফস্বল শহর
কিংবা গ্রামের অবস্থা আরো খারাপ।
সমাজের কিছু কিছু মানুষই থাকে যারা
নিজের খাইয়া আরেকজনের মাইয়া নিয়া
পইড়া থাকে।
মাঝেমাঝে তারা বাসায় ডাইকা নিয়া
পাত্র দেখায়, রেস্টুরেন্টে খাইতে নিয়া
যাইয়া পাত্র দেখায়, স্কুল-কলেজের সামনে
পাত্রের বাপ চাচারে নিয়া দাঁড়ায়া
থাকে। অথচ দেখা যায় মেয়ের পরিবারের
বিয়ে নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই।
এই আশেপাশের মানুষগুলারেই তখন খুইজা
পাওয়া যায় না যখন ইভটিজিং এর জ্বালায়
মেয়েটা স্কুলে যাইতে পারে না। তখন
তারা দরদ দেখায় না।
দেনা পাওনা বনিবনা না হওয়ার যখন বিয়া
ভাইংগা যায় তখন তাদের পিরিত জাগে
না। তারা শো দেখে, মজা নেয়।
অমুকের বাড়ির বউ যখন প্রেগন্যান্ট হইয়া
হাসপাতালে ভর্তি থাকে তখন এক ব্যাগ
রক্ত নিয়া তারা ছুইটা আসে না।
অথচ আমরাই সামাজিক জীব, এদের নিয়াই
আমরা সমাজ বানাইছি।
আমাদের সমাজের ম্যাক্সিমাম মানুষ
আরেকজনরে খোঁচাইয়া মজা পায়। সবসময়
মজা নেয়ার আশায় বইসা থাকে।
এই সমাজে,
মেয়েমানুষ হইল কটন বাডসের মত।
তাদেরকে দেখলেই সবাই শুধু খোঁচাইতে
চায়!

পরিবর্তন

তাই বলছি দৃষ্টিভঙ্গি একটু পরিবর্তন করি।
তাইলে সমাজে শান্তি আসতে বেশি সময়
লাগবে না....

নির্মম বাস্তবতা...!

About Me

My name is Md. Jony Dewan
Father's name: md Moslem Dewan. mother's name jinara Begum
I am a sports lover, writer, horticulturist, traveling photographer.

My Facebook link https://www.facebook.com/jony.dewan.31508

Sort:  

Congratulations @jonydewan! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :

You got more than 10 replies. Your next target is to reach 50 replies.

You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP