চায়ের দোকানে দুই চাচা চা খাচ্ছে আর গল্প করছে! গল্পের বিষয় বরাবরের মতই রাজনীতি নিয়ে শুরু হেয়েছে, দেখা যাক এ গল্প কোথায় যেয়ে ঠেকে। ওই যে লাল দাড়িওয়ালা চাচা কে দেখছেন মুখে পান আর হাতে বিরি ইনি আমাদের গ্রামের মানু চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই, কাদের । লোকটি বড়ই অদ্ভুত ভঙ্গিকে পান আর বিরি একসাথে খাই! সারাদিন এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াই আর ভাই এর নাম ভাঙিয়ে এই দোকান সেই দোকানে বাকি খাই আর ঘন্টার পর ঘন্টা খোশগল্প করে। তবে চাচা বড়ই রসিক মানুষ, সবার খোজ খবর নেয়া, বিপদ আপদে সবার আগে এগিয়ে আসে।
গালে পাকা দাড়ি আর কপালে মাঝ বরাবর তিলওয়ালা লোকটি হচ্ছে রসুন মন্ডল। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে দিনে, আর সময় পেলে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়। চাচার নেশা হচ্ছে চা খাওয়া, দোকানে গল্প করতে করতে এক বসায় ৪-৫ কাপ কখন যে শেষ হয়ে যায় খবরই থাকেনা। চাচার নাম রজব মুন্সি।
দুজনে গল্প করছে, হঠাৎ কাদের মিয়াঁ বলে উঠল ভাই দেখেনতো গতকাল রাতে কি এক ঘটনাটা না ঘটল, রজব মুন্সি চায়ে চুমুক দিতে দিতে কি হয়েছে জানতে চাইল। আরে মাতবর বাড়ির সাথে তালুকদার বাড়ির কি জামেলাটাই না হলো। রজব মুন্সি আবার কি যেন ভেবে, কি বলেন ভাই একটু খুলে বলেন তো কি হয়েছে? কাদের মিয়াঁ : কুতুব মাদবরের ছোট ছেলে রমিত আর মুন্সি বাড়ির মেজ ছেলের সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়, সেই কথা কাটকাটি পরে তুমুলঝগড়া, এরপর রাতের বেলা কি মারামারি টাই না হল। রজব মুন্সি : বলেন কি সামান্য খেলা নিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। কাদের মিয়াঁ : আর বলবেন না এই চুটকি চুটকি পুলাপানের কি সাহস, এখনও নাক টিপলে যাদের দুধ বের হয় ওরা নাকি বাস, লাঠিশাটি নিয়ে মারামারি করতে তেরে যায়। রজব মুন্সি : ঠিকই বলছেন ভাই ছোটবেলা শাসন না করলে যা হয় আরকি!
রজব মুন্সি: তাও ভালো, ভাই আমাদের পাশের বাড়ির বল্টুর বড় ছেল ঝন্টুরে তো পুলিশ ধইরা নিয়া গেছে। কাদের মিয়াঁ : কি কন?? ছেলেটারে ধরে নিয়া গেছে?? ছেলেটা তো ভালোই ছিল দেখছিলাম নামাজ কালাম পড়তো, মুরব্বী দেখলে সালাম দিতো। রজব মুন্সি : হে ছেলে পড়ালেখাই ও অনেক ভাল, কিন্তু কি সব বিতকয়েন ফিতকয়েন এর খপ্পরে পরেছিল নাকি। পুলিশ তো তাই বলল যে অবৈধ টাকা পয়সা পেয়েছে ছেলেটির কাছে। কাদের মিয়াঁ : বিটকয়েন?? এ আবার কি এটা খাই না মাথায় দেই??
রজব মুন্সি : অতশত তো বাপু আমি বুঝিনা তবে শুনলাম ছেলেটা নাকি সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতো আর কি সব করতো আর কম্পউটার থেকে অনেক বড় বড় কয়েন বের হতো, ওইসব কয়েন নাকি আবার মানুষের কাছে বিক্রি করত, মাসে নাকি বস্তা বস্তা টাকা এনে বাসায় রাখতো।
কাদের মিয়াঁ : একদম ঠিক আছে এবার জেলে বসে বসে বিটকয়েন, ফিটকয়েন নিয়ে থাকুক। টাকা কামানো কি এত সহজ??? আর যাই বলেন সব দোষ ঝন্টুর বাপের বেটা তুই খেয়াল রাখবিনা ছেলে কি করে না করে, এখন বুঝ ঠেলা। এজন্য বলি ছেলেমেয়েদের সবসময় চোখে চোখে রাখতে।
এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে এখানে কিছু কথা না বললেই নই, যেখানে উন্নত দেশগুলো ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারে মনোনিবেশ করছে সেখানে আমাদের দেশ এখনো এসব দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। সবশেষে সবার গুপ্তধন (এউ গপ্তধন সম্যন্ধে সব খুলে বলা যাবেনা, বললে চাকরি থাকবেনা) সাবধানে রাখবেন কে জানে কখন কি হয়ে যায়। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
#posh
Congratulations @linco! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 39000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz:
ভাই আপনে সাবধানে থাইকেন। কফে না আমাদের দেখতে হয় প্রথম আলোতে আপনার ছবি সাথে বিট কয়েন 😂