নগ্নতা শালীনতা নয় তবুও ধর্ষণের কারণ পোশাক নয় ...

in BDCommunity2 years ago

প্রথম কথা হচ্ছে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এক হাতে তালি বাজে না , ব্যাতিক্রম উদাহরণ হতে পারেনা , তেমনই নগ্নতা শালীনতা নয় এটা নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নাই।

এখন ধর্ষণের একাধিক কারণ থাকতে পারে ।মনে করেন আপনার পাশের বাড়িতে বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে , এখন সেটার ঘ্রাণ তোর রুমে আসবেই।তো ঘ্রাণ আসলে তো কিন্তু বিরিয়ানি খাওয়ার একটা ইচ্ছা মনে জাগবে।কিন্তু এই ইচ্ছা জাগার কারণে তো এখন আর পাশের বাড়িতে যেয়ে বলা যাবেনা যে আমাকে বিরিয়ানি দেন।এখানে নিজের একটা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আবার বিরিয়ানি খাওয়ার যে ইচ্ছা জাগতেসে সেই জন্য কিন্তু পাশের বাসায় বিরিয়ানি রান্না করা বন্ধ হবে না যার ফলে এখন সে বিরিয়ানির ঘ্রাণ তো রুমে আসবেই।

এখন ধর্ষণের কথায় আসি।একটা ধর্ষক বিভিন্ন কারণে ট্রিগার হতে পারে । যেমন মেয়ের পোশাক, মেয়ের চাল চলন, কথাবার্তা ইত্যাদি। এখন ধর্ষক ট্রিগার হয়েছে কিন্তু ধর্ষককে নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখা প্রয়োজন।

একটা ধর্ষক কে ইসলামের বিধান অনুযায়ী চিন্তা করা উচিত যে বিষয়টা কতটা পাপের, এটা করলে মেয়ের জীবন শেষ আবার আমার জীবনটাও তো শেষ, আমার এই কারণে আমার পরিবার আমি নিজে সমাজের সামনে মুখ দেখাতে পারবো না, পরকালে কঠিন বিচার তো আছেই!

আবার একটা মেয়ের ও কিন্তু নিজের সুরক্ষার জন্য, নিজের ভালো নিজে বুঝার জন্য নিজে ইসলামের আইন অনুযায়ী চলা উচিৎ।বিষয়গুলা দুই জায়গা থেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।দোষ এক পক্ষের একার না।

InShot_20220911_000309336.jpg
পোশাক টা শুধু একটা ফ্যাক্টর... বাকি ফ্যাক্টর গুলার ক্ষেত্রেও আমি বলবো সেটা কারণ আবার কারণ না..
কারণ ওইযে প্রথম কথা.. "এক হাতে তালি বাজে না"

এখন বলতে পারেন শিশু কেনো ধর্ষণ হয়, বৃদ্ধা কেনো ধর্ষণ হয়..এই ক্ষেত্রে বলবো যে "exception can't be an example"
ঐগুলা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রাণী... ওগুলার কথা জেনেরালাইজ ভাবে চিন্তা করে লাভ নাই।

মাদকের ইনফ্লুয়েন্স ও আছে।আসলে নিজের নিরাপত্তা টা নিজের কাছে এটা কিন্তু একটা ফ্যাক্ট।এখন একজন মানুষ নিজেকে কিভাবে নিরাপদে রাখবে এটা তার একটা ব্যাপার।আমি মুসলিম , নগ্নতা তো ইসলামে সমর্থন করে না।কিন্তু একটা মেয়ে যদি নগ্নতা করেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে তাহলে তো ফাইন।কিন্তু খারাপ দৃষ্টিটা তার দিকে পরবেই।

আসলে খারাপ দৃষ্টি পর্দা করলেও পরে আবার বেপর্দা করলেও পরে ।পর্দা করলে দিন শেষে নিজের কাছে আর নিজের খোদার কাছে তো জাস্টিফাই করা যাবে যে আমি আমার নিরাপত্তার পূর্ণ চেষ্টা করেছি ।

ফ্যান্টাসি থেকে কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষ ধর্ষণ করে। যা পোশাক কিংবা নগ্নতা থেকে নয়। তাদের চিন্তা চেতনার জন্য ছোট ছোট শিশুদের ও ধর্ষণ করে শুধু মাত্র কল্পনার জন্য।

ধর্ষণ এর জন্য যেমন আমি পোশাককে দায়ী করিনা , করতে পারিনা তেমনই নগ্নতাকে শালীনতা হিসেবেও আমি মানতে পারিনা ।সবাই পূর্ণ পর্দা করবে তা আমি বলিনা কিন্তু বস্ত্র পরিধান করেও নগ্ন লাগবে এমন কিছুকেও আমি সমর্থন করতে পারিনা ।

আজকের মতন বিদায় নিচ্ছি , লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , নিরাপদ থাকবেন , আশা করছি ভালো থাকবেন৷

Sort:  

Hmmmmm☹️☹️☹️☹️

Thanks for reading

এইদিক দিয়ে চিন্তা করলে এমনও বলা যায়,ধরলাম আমাদের দেশের মেয়েরা সবাই পর্দা করে চলে,এখন একজন বিকৃত মানসিকতার পুরুষ সে ইন্টারনেটে খারাপ কিছু দেখে ট্রিগার হয়ে আশপাশের কাউকে ধর্ষণ করলো,তাহলে এর দায় এখন কার,কারণ দেশের মেয়েরা সবাইতো পর্দা করে চলে।

আসলে ধার্মিক যদি হতেই হয়,সবার আগে ধার্মিক হতে হবে পুরুষকে,পুরুষকে আগে নৈতিকতা শিখাতে হবে তারপর বাকি যেসব কারণ আছে পোশাক বা অন্য কিছু সেগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

ঠিক
ধর্ষণের সাথে পোশাকের নাম জুড়ে দিয়ে ধর্ষণকে জাস্টিফাই করা বিরাট বড় ভুল ....পর্দার বিধান এর ক্ষেত্রে নারীর পর্দার বিধান যেমন আছে ঠিক তেমন ভাবে পুরুষেরও পৰ্দা আছে তা হলো চোখের পর্দা ...যেটা মানুষজন ভুলে যাচ্ছে !