আসসালামু আলাইকুম ,
কেমন আছেন আপনারা সবাই ?
আসলে আমি কিছুদিন আগে লিখেছিলাম আমরা নিরব দূর্ভিক্ষ পালন করতেছি আমরা প্রকাশ করতেছি না এই জিনিসটা আমার ভেতরে কয়েকদিন থেকে আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল তাই আমি আপনাদের মাঝখানের শেয়ার করেছিলাম আমি চুপ থাকতে না পেরে আমি আমার অনুভুতি আপনাদের কাছে প্রকাশ করে আমি একজন সবজি বিক্রেতার অনুভূতির কথা তার কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম এই লোকটি আমাদের বাসায় প্রতিদিন সবজি দিতে আসে এই লোকটি খুব ভালো একজন মানুষ পূর্বপরিচিত তো চলেন এই নীরব দুর্ভিক্ষের অনুভূতিটা আমরা তার মুখে শুনে আসি ।
বন্ধুরা আশাকরি আমার ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন এবং সবজি বিক্রেতার কথাগুলো শুনেছেন আপনারা যদি ভিডিওটি দেখে ক্লিয়ার না হতে পারেন তাহলে আমি সংক্ষেপে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি আমি যেমন চোখে লজ্জা নিয়ে কথা বলতেছি মুখ দিয়ে ঠিক লোকটিও কিন্তু আদৌ গলায় কথা বলছে সে আমাকে প্রথমেই রিকোয়েস্ট করছে যে আমার চেহারাটা দেখাবেন না ।
সে আসলে ক্যামেরা দেখে ভয় পাচ্ছিল তাকে আমি বললাম ভয়ের কোন কারণ নেই আমি আপনার চেহারা দেখাবো না আমি শুধু আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব যে এই যে সবকিছুর দাম বেড়েছে এটা নিয়ে আপনার অনুভূতি কি আপনি আপনার সমস্যাটা কিভাবে চালাচ্ছেন আর কিছুই না লোকটি প্রথমে রাজি হয়নি পরে রাজি হয়েছে সে কিছু কথা বলেছে আপনারা শুনেছেন সে আরো কিছু কথা বলতে চাচ্ছিল কিন্তু সে আসলে কেন জানি একটা ভয়ের কারণে সে বলতে চাচ্ছিল না সেটা হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন ।
যে কে কিভাবে বিষয়টিকে নেয় আসলে আজকাল আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর এত বেশি ঝুঁকে গেছি কিছু একটা হলেই আমরা সেটা ভিডিও করে আপলোড করে মানুষকে ভাইরাল করে দেই হয়তোবা সেই ভয় হতে পারে সে হয়তো বা সবজি বিক্রি করেই এত টুকুতেই সন্তুষ্ট সে প্রকাশ করছে সেটা কিন্তু সে আরো অনেক কথা বলতে চেয়েছিল কিন্তু সে বলতে পারেনি আমি আসলে বুঝিনি সে কোন ভয় বলতে চাইনি আমি আপনাদেরকে এতোটুকুই বলতে চাই যে নিরব দূর্ভিক্ষ পালন করে আসলে কতদিন আমরা চলতে পারব একটা সময় তো সবকিছু শেষ হবার তাই না বসে খাইলে তো রাজার ভান্ডারে কুলায় না তাহলে আমি তো সাধারন একজন মানুষ এখানে আসলে আমারও আসলে কিছু বলার নাই তো চলেন ধৈর্য ধরে দুর্ভিক্ষ পালন করতে থাকি ।
আমার যা মনে হয় খুদ্র ব্যবসায়ীরা,শ্রমিকরা অনেক ভালো আছে। আগে রিক্সা ভাড়া ১০ টাকা দিলেই হতো এখন ২০ টাকা, সবজির দাম যে দামে কিনে আনে তার ২/৩ গুন বেশি দামে বিক্রি করে।
৮ পিস ফুসকা রোড সাইডে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। একজন শ্রমিক এর মুজুরি ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০০ টাকা হয়ে গেছে। তাই তাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
যাদের হচ্ছে তারা মিডেল স্টেজের চাকুরীজীবিদের।তাদের বেতন বাড়েনি কিন্তু বেশি দিতে হচ্ছে পদে পদে। নিরবে কাদছে মন কেউ দেখছে না।
আপনি ঠিকই বলেছেন। মরে তো মধ্যবিত্তরাই।