Day 05
Theme: Deer
হরিণ নিয়ে তেমন কোনো memory নাই, তাই আঁকায় বেশি সময় দিলাম 💙

Day 06
Theme: Pierce
আমি কান ফুটা করেছিলাম ক্লাশ ৫ এ হয়তো। আম্মু একটা আন্টির খোঁজ পেয়েছিল, যিনি সুই সুতা দিয়ে কান ফুরাতে পারতেন৷ খুব বেশি ডিটেইলস মনে নাই, যতটুকু মনে পরে ফুরাবার দিন আমি খুবই ভয়ে ছিলাম। ওই আন্টির বাসায় যাওয়ার পর উনি একটা বরফ আনলেন যেটা কানের লতির পেছনে ধরেছিলেন। বরফ দিয়ে কান হালকা যখন অবশ হয়ে আসলো তখন সুই ঢুকায় দিল। আমি ব্যথার থেকে ভয়ে বেশি কান্না করেছিলাম। এখনও মনে আছে বরফ দেয়ার কারণে টের পাই নাই কখন ফুটা করেছে। আমি যখন কান্না করে বলছিলাম না না ফুরাবো না... তখন আন্টি বলে -তুমি টেরও পাও নাই কখন তোমার কান ফুরানো হয়ে গেছে! 😄
আমার কাছে মনে হয় এখনকার পার্লারে piercing machine দিয়ে ফুরানোর চেয়ে আগেকার দিনে সুই ই ভালো ছিল। পরিবারের নানি দাদিরাই আগে বাচ্চাদের কান ফুরিয়ে দিতো। পেকে যাওয়া বা ইনফেকশন হওয়ার ঝামেলাও কম হতো। দিন দিন আমরা যত indigenous পদ্ধতি থেকে বের হয়ে commercial হচ্ছি তত সমস্যা বেশি হচ্ছে। দেখা যাবে ঘুরে ফিরে আবার সেই আদিকালের প্রথাতেই মানুষ ফিরে যাবে। minimalist lifestyle এখন যাকে বলছে!

Day 7
Theme: starfish
আমাদের বাসায় দুইটা স্টারফিশ ছিল। জ্যান্ত না, কক্সবাজারে গেলে শোপিস হিসেবে যে শামুক ঝিনুক কিনে আনে ওরকম আরকি। তো ছোট থাকতে কেউ একজন বিটলামি করে বলেছিল "এই স্টারফিশ কিন্তু মরা না, জ্যান্ত। যেকোনো সময় উঠে হাটা দিবে, সাবধান! সমুদ্রের প্রাণী তো, সবসময় নড়াচড়া করে না।"
তখন বিশ্বাস না করলেও মাঝে মধ্যে আসলেই মনে হতো হয়তো ওইটা জীবিত। এভাবেই চুপচাপ শুয়ে থাকে। মাঝে মাঝে স্টারফিশটার কাছে গিয়ে বসে থাকতাম। যদি একটু নড়ে উঠে! কিন্তু ধরার সাহস পেতাম না। আবার কামড় দিয়ে দিলে! বাসায় অন্যান্য পিচ্চিরা আসলেও স্টারফিশের এই সিক্রেট কথা ওদের শুনাতাম। তখন স্মার্টফোন ছিল না বলে এই ইনফরমেশন সত্য না মিথ্যা এটা যাচাই করাও ওদের জন্য সহজ ছিল না। হায়রে সাধাসিধা জীবন!

Day 8
Theme : Reckless
সকালে ত্বহাকে গুতাচ্ছিলাম, আজকের টপিট তো reckless. কি আঁকা যায় বলোতো।
ত্বহা বলে - তোমার লাইফের সবচেয়ে রেকলেস ডিসিশন কি ছিল? এই যে অচেনা একজনকে পরিচয়ের একমাসের মাথায় বিয়ে করে ফেলেছো। এরচেয়ে রেকলেস কিছু আছে নাকি?
এভাবে ভাবলে আসলেই তাই। তবে লাইফ পার্টনারের থেকে আমার যেই এক্সপেকটেশন, সেগুলা ত্বহার মধ্যে পেয়েছিলাম, আমাদের চিন্তা ভাবনা, আইডিওলজি, পছন্দ-অপছন্দ সবকিছুতেই কমন গ্রাউন্ড বেশি। তাই আর বেশি ভাবি নাই।
কিন্তু মাঝে মধ্যে এই ভাবনাগুলা মাথায় আসে যে বিয়ের আগে পার্টনারকে কতটা জানা উচিত। আমি এটার প্যারামিটার বের করতে পারিনা। ৭/৮ বছর প্রেম করেও বিয়ের পর টিকে না আবার বিয়ের দিন প্রথম দেখা মানুষের সাথে দিব্বি আরামসে জীবন পার হয়ে যায়।
এখনকার মানুষদের মধ্যে ধৈর্য্য জিনিসটার অভাব খুব বেশি। আর রিলেশনগুলা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো নির্ভর হয়ে উঠে তখন সম্পর্কের মধ্যেও কিছুটা ফেইকনেস চলে আসে। আমার কাছে মনে হয় পার্টনার, পরিবার সবাইকে নিয়ে হাসিখুশি থাকা খুব কঠিন কাজ না। সবাই মিলে একটু ইফোর্ট দিলে, সময় দিলে আর নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা জেনুইন রাখলে এমনিই দিন চলে যায়।
আশপাশের সবাইকে দেখে আমরা জিনিসটাকে কমপ্লেক্স করে ফেলি। আগে থেকেই একটা নেগেটিভ মাইন্ডসেট হয়ে যায়। সমস্যাটা বাড়ায় দিচ্ছে মিডিয়া, আর কিছু করপোরেট সেক্টর। পরিবারতান্ত্রিক সমাজে অনেক ধরণের নেগেটিভ ব্যবসাই হয় না। ইয়াহিয়া আমিন যেই জিনিসগুলা নিয়ে প্রায়ই তার ভিডিওতে বলে।
আমি ভাবতাম ভালো একটা পার্টনার, পরিবার পাওয়া হয়তো লাকের বিষয়। ত্বহা বলে লাক না, এটা তোমার রিজিক। আসলেই হয়তো তাই!
