বহুত দিন পর এক্রেমিন রঙের কাজ ধরলাম। অ্যাক্রেলিক বা ফেব্রিকের যত কালার আছে তার মধ্যে এক্রেমিন দিয়ে কাজ করা আমার মতে সবথেকে কঠিন। কারণ এখানে রেডিমেট ১২ টা কালারের সেট দেয়া থাকে না। কয়েকটা কেমিকেল আগে মিশিয়ে নিয়ে তিনটা বেসিক রঙ দিয়ে সব শেড বানিয়ে নিতে হয়। এক্রেমিনের মেইন দুটো কম্পোনেন্ট হলো binder আর NK. Binder কাজ করে আঠা হিসেবে আর NK রঙকে পাতলা করে। সবার আগে NK আর binder (৪০% আর ৬০%) মিশিয়ে নিয়ে একটা সল্যুশন তৈরি করে নিতে হয়। এর মধ্যে তিনটা মৌলিক রঙ (লাল, নীল, হলুদ) প্রয়োজন মত মিলিয়ে নিতে হয়। কালো বাকগ্রাউন্ডে কাজ করলে সাথে white paste এর প্রয়োজন হয় যেটা সাদা রঙ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া রঙ যদি পাকা করতে চাইলে oxal ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার আমরা অনেক সময় দেখি কিছু পেইন্ট নরমাল সারফেস থেকে অনেকটা উঁচু হয়ে থাকে, এটা করা হয় ওই সল্যুশনে ambush মেশানোর মাধ্যমে।
এত সব প্রসেসের মধ্যে আমার সবথেকে ভালো লাগে শুধু মাত্র ৩ টা রঙ দিয়ে সব ধরণের শেড বের করে আনা। আর ড্রইং শেখার সময় এই ধারণা থাকাটা খুবই জরুরি।
এক্রেমিনে শুরুর দিকে যেই সমস্যাটা বেশি হয় তা হলো রঙ ছড়ায় যাওয়া। এখানে কেমিকেলগুলো খুব পাতলা হওয়ার কারণে এ সমস্যাটা হয়, যার জন্য কয়েক ধরণের কাপড়ে আগে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে এরপর মূল পেইন্টিং এ যাওয়া উচিত।
এই ড্রেসে কোনো ধরণের কালার শেডিং ছাড়া হালকা ডিজাইনের মধ্যে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কাপড়টা অনেকটা মিক্সড সুতি হওয়ায় খুব সুন্দর করে রংগুলো বসেছে।
এক্রেমিন রঙ কোথায় পাওয়া যাবে বা আঁকার প্রসেস সম্পর্কে আরও যদি ডিটেইলস জানার জানার থাকে তাহলে নিচের লিংকগুলো থেকে ভালো আইডিয়া পেতে পারবেন।
NK. Binder আমি প্রথম শুনলাম। আমি সাধারণত binder আর পেস্ট মিশিয়ে কাজ করে ফেলতাম।
কিন্তু ভাই NK ছাড়া তো সল্যুশনটা পাতলা হয় না, ওভাবে ফেব্রিকে কাজ করতে পারতেন?
পানি মিশিয়ে পাতলা করে ফেলতাম।
তবে আমার মনে হচ্ছে NK দিয়ে ভালো হবে।
হ্যাঁ অবশ্যই ভালো হবে ভাই! ইউজ করে দেইখেন।
আপুতো দেখি বাইন্ডার আর ফিক্সার দিয়ে পুরা টেক্সটাইল প্রিন্টিং ই করে ফেলছেন 😀
হেহে, থ্যাংকু!