My YouTube Channel👉👉:https://www.youtube.com/@UnveilFacto
আপনি কি জানেন—ডোরেমন-এর গল্পটা আসলে ভুলবশতই তৈরি হয়ে গিয়েছিল?
📅 ১৯৬৯ সাল। ফুজিমোটো নামের এক জাপানি লেখক তাঁর নতুন মাঙ্গা সিরিজের জন্য আইডিয়া খুঁজছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি পড়ে যান ভয়ংকর এক সমস্যায়—Writer’s Block। যত ভাবছেন, নতুন কোনো গল্প মাথায় আসছে না।
হতাশ হয়ে তিনি মনে মনে ভাবলেন—
“যদি এমন কোনো রোবট থাকত, যে আমাকে আইডিয়া দিতে পারত!”
কাকতালীয় তিনটি ঘটনা 👀
ঠিক সেই দিনই ঘটে যায় তিনটি অদ্ভুত ঘটনা—
1️⃣ বাড়িতে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ তাঁর পা ধাক্কা খায় মেয়ের রোলি-পোলি খেলনার সঙ্গে। 2️⃣ আশপাশে তিনি শুনতে পান বিড়ালদের ঝগড়ার শব্দ। 3️⃣ আর তাঁর মাথায় ঘুরছিল—একটা রোবটের চিন্তা।
এই তিনটি ঘটনাকে একসাথে মিলিয়েই জন্ম নেয় এক নতুন চরিত্র!
জন্ম নিল ডোরেমন 🐱
ফুজিমোটো এমন এক রোবট কল্পনা করলেন—
- দেখতে বিড়ালের মতো,
- শরীর রোলি-পোলি খেলনার মতো গোলাকার।
জাপানি ভাষায় রাস্তার বিড়ালকে বলা হয় “দোরানিকো”। সেখান থেকেই নাম রাখা হলো ডোরেমন।
মজার ব্যাপার হলো—এই নামটি জাপানের জনপ্রিয় মিষ্টি ডোরায়াকি-র সঙ্গেও মিলে যায়। তাই গল্পে ডোরেমন-এর প্রিয় খাবার হিসেবেই দেখানো হয়েছে ডোরায়াকি 🍡।
কেন নোবিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র? 📚
গল্পটির মূল দর্শক ছিল চতুর্থ শ্রেণির বা তার আশপাশের শ্রেণির শিশুরা। তাই ফুজিমোটো নায়ক হিসেবে বেছে নিলেন একজন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র—নোবিতা।
সে সময় জাপানে চতুর্থ শ্রেণির একজন ছাত্রের গড় উচ্চতা ছিল 📏 ১২৯.৩ সেন্টিমিটার
এই সংখ্যাটিই হয়ে ওঠে ডোরেমন-এর চরিত্র নির্মাণের ভিত্তি!
১২৯.৩ — ডোরেমন-এর ম্যাজিক সংখ্যা 🔢
ডোরেমন-এর প্রায় সব বৈশিষ্ট্যই রাখা হয় এই সংখ্যার আশেপাশে—
- উচ্চতা: ১২৯.৩ সেন্টিমিটার
- ওজন: ১২৯.৩ কেজি
- পাওয়ার আউটপুট: ১২৯.৩ হর্সপাওয়ার
- মাথার পরিধি: ১২৯.৩ সেন্টিমিটার
একটি সংখ্যা—একটি সম্পূর্ণ চরিত্র!
ভবিষ্যতের গ্যাজেটের ভাবনা 🔮
ডোরেমন-এর সব গ্যাজেট তৈরি করার সময় ফুজিমোটো—
- সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা পর্যবেক্ষণ করতেন
- তারপর কল্পনা করতেন এমন ভবিষ্যৎমুখী গ্যাজেট, যেগুলো সেই সমস্যাগুলোর সহজ সমাধান দিতে পারে।
আর এভাবেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় 👉 আমাদের প্রিয় ডোরেমন-এর জাদুকরী জগৎ ✨
🧠 এমন আরও অজানা, মজার ও তথ্যভিত্তিক গল্প পেতে আমাকে ফলো করুন। আপনার সমর্থনই আমাকে আরও ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করে 💙