মানুষ সম্পর্কে মানুষের জানার ইচ্ছা চিরকালের
কিন্তু মানুষের পূর্বপূরুষ কে বা কারা তা আজও অজানা। ডারউইন তার Descent of man গ্রন্থে বলেছেন কোন লুপ্ত কোয়াদ্রুমান (হাত পায়ে ভর দিয়ে চলা আদিম প্রানী) থেকে মানুষের উদ্ভব ঘটে ছিলো।কিন্তু আজও সেই আদিম প্রািমেটের সনাধান মেলে নি। তবে দক্ষিন আফ্রিকার কিছুু আদিম পানীর মাথার খুলি পাওয়া গেছে যা লুপ্ত নরবানরের যার সাথে ডারউইনের সেই আদিম পানীর কিছু মিল আছে। কিন্তু এরাই যে মানুষর আদিম পূর্বপূরুষ তা বলা যাবে না।
অনেকে মনে করেন বিবর্তনের ধারায় ancestral hominoid stok থেকে নরবানর ও মানুষের পূর্বপূরুষের আবির্ভাব। মানুষ এবং নরবানর আলাদা সতন্ত্রধারায় বিবর্তন ঘটেছে। নরবানর pongidea আর মানুষ Hominidie গোত্রের। এই দুটিই Hominoidea অধিগোত্রের মধ্যে পরে। তাই বলা যায় নরবানর মানুষের খুব কাছের আত্মীয়। প্রত্নতাত্ত্বিক ও জৈবরাসায়নিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে গরিরা আর শিম্পাঞ্জীর সাথে মানুষে সম্পর্ক খুব নিবিড়।মিনুষের পূর্বপূরুষ ছিল বহুলাংশে গরিলা আর শিম্পাঞ্জীর ন্যায়। তাই বলে বানর বা নরবানর থেকে মানুষের উৎপত্তি এই ধারনা টি একেবারেই ভুল।
নরবানর ও মানুষের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে
মানুষের মগজ নর বানরের চেয়ে অনেক বড় তাই বুদ্ধিমত্তায় মানুষ অনেক গিয়ে।
মানুষের পায়ের চেয়ে হাত অনেক ছোট । হাতের বুড়আন্গুল অনেক বিকাশিত। সে কারনেই আমরা যেকোন জিনিস খুব ভালোভাবে মুঠ করে ধরতে পারি । আর একারনেই আমাদের কাজ এতি নিপুন। আর বানরেরে পেছনের চেয়ে সামনের পা বেশি লম্বা।
মানুষের পায়ের পাত্ মোটামোটি সমতল মাটিতে ভর দিয়ে চলার উপযোগী, কিন্তু নরবানরের গোড়ালির হার বাকা গাছে উঠার উপযোগি। আর সে কারনেই মানুষ সোজা হয়ে হাঠতে পারে, কিন্তু বারন/নরবানর সোজা হয়ে হাঠতে পারে না।
মানুষের দৃষ্টি সমনের দিকে করে চলতে পারে, সেই তুলনায় বানর/ নরবানর সেটা পারে না।
শরীরের দিকে দেখা যায় বনারন শিম্পাঞ্জী, গোড়িলার মতো মানুষের শরীর লোমে আবৃত নয়।
এরকম অসংখ্য পার্থক্য বিদ্যমান নরবানর আর মানুষের মধ্যে। আমরা অনেকেই বলে থাকি আমাদের আদি পূরুষ বারন, কিন্তু সেটা সম্পুর্ন ভুল। মানুষ ভেবে নেয় যে আমাদের জন্ম বানর থেকে হয়েছে কিন্তু এটার কোন ভিত্তি নাই। আমাদের সাথে শিম্পাঞ্জী আর গোড়িলার আনেক মিল আছে। তাই বলে এ ধারনাও সম্পুর্ন সঠিক নয়।
মানুষের সাথে বনমানুষের আনেক টা মিল থাকলেও পার্থক্য আছে অনেক বেশি। যমন মানুষের হাত ছোট পা লম্বা। আবার বনমানুষে হাত পায়ের চেয়ে বেশি। মানুষের চেয়ে বনমানুষের মস্তিকের আয়তন আনেক কম। মানুষ পায়ে ভর দিয়ে চলে, আর বনমানুষ হাত ও পায়ে ভর দিয়ে চলে। মানুষের বুড় আন্গুল অনেক বিকাশিত তাই আমরা সব ধরনের কাজ করতে পারি খুব সহযে।
তাই মানুষে বিবর্তনের ইতিহাস টা বেশ জটিল। সঠিক ধারনা পাওয়া টাও কঠিন বেপার। তবে যেটা ধারনা করা হয় সেটা হলো শিম্পাঞ্জী থেকেই হয়তে মানুষে সৃষ্টি বা শিম্পাঞ্জী থেকেই বিবর্তনের ফলে আজকের এই মানুষ। যেহেতু শিম্পাঞ্জীর dna সাথেই মানুষে Dna সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে।
এখন আসি ধর্মের কথায় :
ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের কথার মিল হয় না। সকল ধর্ম মতেই সৃ্ষ্টিকর্তাই সৃ্ষ্টি করেছে সকল প্রাণীদের। মানুষও তাদের মধ্যেই একটি। মানুষকে দিয়ে ছে অসংখ্য জ্ঞান ও বুদ্ধি । আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করার জন্যই।
যাই হোক আমরা যে যার ধর্ম পালন করব। বিজ্ঞান তার নিজের গতিতে আর ধর্ম তার নিজের স্থানেই পারন করব। উপরের সকল তথ্য বিজ্ঞান সম্মত।
সহায়ক : বিবর্তন বিজ্ঞান
লেখার উদ্দেশ ছিল কিছু ভুল ধারনা থেকে বেরিয়ে আসা। যেটা আমরা প্রায় বলে থাকি। যদি কোন ভুল পেয়ে থাকেন যানাবেন। কিছু ভুল থাকতে পারে।
twitter share :