ভোজনরসিক বাঙালি আমরা।যাদের আড্ডাই শুরু হয় চায়ের দোকানে।কাপের শব্দ ছাড়া যেন আড্ডাই জমে না।আবার আমরা ভাতে মাছে বাঙালিও বটে! তবে এখন বিভিন্ন খাবারের সংমিশ্রণ ও ঘটেছে!ভাত মাছে এসেছে ব্যাপক ভিন্নতা। এই রকমই একটি, আমার পছন্দের রান্নার রেসেপি সবার সাথে ভাগাভাগি করব।
আমার মেজ খালামনি বেশ কয়েক বছর বাহারাইন ছিলেন।মাঝে মাঝে দেশে আসতেন।তখন আমাদের ওই দেশীয় কিছু খাবার রেঁধে খাওয়াতেন।ব্যাপার টা যে হুবুহ হতো, তা না।দেশী উপকরণ এর সাথে সেটা নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন হতো আর কি! যেটা পরবর্তীতে আম্মু নিজের মতোই রান্না করতো।এখন আমি ও টুকটাক পারি 🙂 তাদের মধ্যে আমার পছন্দের ডিশ হালো ,"রঙিন ভাতের সাথে ভাজা মাছ"। কি চমকে গেলেন! আসলে ইংরেজি কাটখোট্টা একটি নাম দেয়া যায় বটে! কিন্তু এই নামটাই আমার বেশ লাগে!তাছাড়া স্বল্প আয়োজনে,একেবারেই সুলভ মূল্যে পাওয়া এমন কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই রেঁধে ফেলা যায়।
উপকরণ :
মাছ (আমি তেলাপিয়া মাছ নিয়েছি)
চাল ( ভাতের চাল,তবে কেউ চাইলে পোলাউ এর চাল নিতে পারে)
লেবু
টমেটো
গাজর
ধনিয়া পাতা
হলুদের গুড়ো
মরিচের গুড়ো
পেয়াজকুচি
গোল মরিচ
সরিষার তেল
লবণ (পরিমাণ মতো)।
প্রস্তুত প্রণালি :
মাছের জন্য :
প্রথমে মাছ আস্তভাবে কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে টমেটো, পেয়াজ কুচি কেটে তা লেবু, হলুদের ও মরিচের গুড়ো,সরিষার তেল এবং লবণ দিয়ে মেখে তা মাছের পেটের ভিতরে ভরে দিতে হবে।তারপর সবগুলো মাছে একসাথে লেবু, হলুদের ও মরিচের গুড়ো এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে
রাখতে হবে ৪/৫ ঘন্টা।এতে মাছটি ভাজলে মচমচে হয়।এবার খাবারের পূর্বে গরম গরম ভেজে তা দিলে তা বেশি সুস্বাদু হয়।
রঙিন ভাতের জন্য :
ভাত আধাসিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।তারপর একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে,পেয়াজ ভেজে নিতে হবে,এখানে আমরা পেয়াজ কুচি ও গোটা করে কাটা দুইটাই নিবো। এবার একে একে গাজর,টমেটোর মিহি কুচি ,লেবু, হলুদের ও মরিচের গুড়ো,গোলমরিচের গুড়ো এবং লবণ দিয়ে নাড়তে হবে।
মশলা ঘন হয়ে আসলে এবার সিদ্ধ ভাত অল্প অল্প করে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। কারন সব ভাত যদি একসাথে মিশিয়ে দেই ,তাহলে ভাত টা ঝরঝরে হবে না।
চুলায় অল্প আঁচে সবুজ ধনিয়াপাতা দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে, সবশেষে পেয়াজের বেরেস্তা উপরে ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আপনার রেসিপি ও ভাজা মাছের ছবি দেখে জিভে রীতিমত জল চলে এলো । নিশ্চয়ই খুব টেস্টি হয়েছিল?