শহরের মানুষের স্বভাব হচ্ছে, তারা কিছুতেই রাত বারোটা বাজার আগে ঘুমাতে যাবে না।যারা চাকরী বাকরী করে তারা রাত বারোটার দিকে ঘুমাতে গেলেও,শহরের স্টুডেন্টগুলো আরো লেইট করে।তারা প্রায় সারারাত জেগে থাকে।কেউ হয়তোবা পড়ালেখা বা এই জাতীয় কোনো কাজকর্ম করার কারণে জেগে থাকে।
ক্রিয়েটিভ কাজগুলো আসলে নিরিবিলি পরিবেশ ছাড়া করা যায় না।যার কারণে সৃজনশীল কর্ম করা মানুষ গুলো রাতকেই তাদের কাজের সময় হিসাবে বেঁচে নেয়।
কিন্তু, এমন অনেক মানুষ আছে,বিশেষ করে ইয়ং জেনারেশন।যারা বিনা কারণে রাতে জেগে থাকে।হয়তো মোবাইল টিপাই,গেমস খেলে,পিসি নিয়ে পরে থাকে,ভিডিও দেখে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের কাজের কাজ কিছু হয় না,উল্টো শরীরের ক্ষতি হয়।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দিনের বেলায় চোখের মাঝে ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায়।কারণ দিনে ঘুমের পরিবেশ খুব একটা পাওয়া যায় না।আর প্রকৃতির নিয়মের উল্টো পথে চললেতো প্রকৃতি ছেড়ে দিবে না।সুতরাং সারা রাত জেগে থাকা শরীরের জন্য নেতিবাচক।
আমিও ছোট থেকে শহরে থাকি।বিনাকারনে রাত জাগা মানুষগুলোর মতোই সাড়া রাত জেগে থাকি।পড়ালেখা করার জন্য রাত জাগার অভ্যাস হলেও বেশিরভাগ সময় বিনাকারণেও রাত জেগে থাকি।
ফজরের আযানের পর ঘুমাতে যায়।আর এই জন্য ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠা বেপারটার সাথে পরিচয় হয়ে উঠে না।আরে ভোর বেলাইতো ঘুমাতে যায়।সূর্য উঠার দৃশ্য দেখা হয় না।সবসময় সূর্য মাথার উপর থাকার সময় ঘুম থেকে উঠি।
কিছু কারণে তিন মাস যাবৎ গ্রামে আছি।দেখি গ্রামের মানুষ খুব সকাল সকাল ঘুমাতে চলে যায়। রাত নয়টার পর সমস্ত গ্রাম নিস্তব্দ হয়ে পরে।আবার তারা নাকি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়ে।সত্যি বলতে আমি প্রায় সময়ই চেষ্টা করি,যে ভোরে ঘুম থেকে উঠবো।এর জন্য কতো প্ল্যান প্রোগ্রাম করেছি,কতো টিপস এন্ড ট্রিকস ফলো করেছি।কখনো কাজ হয় নি।
গ্রামে আসার পরও চেষ্টা করছিলাম,সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে।কিন্তু পারছিলাম না।তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলেও, সেই ঘুম থেকে উঠতে দশটার বেশি বেজে যাচ্ছিলো।
তো একদিন কি হলো কিছু ব্যক্তিগতো টেনশন আর পড়ালেখার কারণে সারারাত ঘুমাতে পারি নাই।পাঁচটার দিকে ঘুমাতে যাবো।এমন সময় চিন্তা করলাম যাই,দেখে আসি মানুষ জন যে সকালে উঠে, সকালের পরিবেশটা আসলে কি রকম।এখন গরম কাল দিনের বেলা প্রচন্ড গরম লাগে।তো বিছানা ছেড়ে উঠে পুকুরপাড়ের দিকে গেলাম,শরীরে অসম্ভব একটা আরাম লাগছিলো।আর এটা হচ্ছিলো,বাতাসের কারণে,এই ধরনের আরামের বাতাস,এর আগে আমার শরীর অনুভব করে নাই।
শুনেছিলাম,ফজরের পর পর নাকি বেহেশতের দরজা খুলে দেওয়া হয়,আর বেহেশতের বাতাস নাকি তখন পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।এর সত্যতা সম্পর্কে আমার ধারনা না থাকলেও, ঐ ভোরের বাতাস,পরিবেশ আমার কাছে বেহেশতের বাতাসের মতোই মনে হয়েছিলো।
এর পরের দিন,ঘটলো সেই অসম্ভব ঘটনা।হলো কি,ভোর পাঁচটার সময় আমার ঘুম ভেঙে গেলো।যেখানে দুই তিন ফোনে এলার্ম দিয়ে ঘুম ভাঙাতে পারি না,সেখানে বিনাএলার্মে ঘুম ভেঙে গেলো।আর ঘুম পাচ্ছে না।আমি উঠে পড়লাম।আসলে ঐ দিনের সকালের আরামের প্রতি শারীরিক, মানসিক এক আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিলো,সেই আকর্ষণই ঘুম থেকে আমাকে জাগিয়ে দিলো।
এর পর থেকে প্রতিদিন কোনো প্রকার এলার্ম, কারো ডাক দেওয়া ছাড়াই ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে পড়ছি।আজ একসপ্তাহ হলো।
আশা রাখি,সবসময় এইভাবে সকাল সকাল উঠতে পারবো,শহরে ফিরে যাবার পরও।
একটা সময় আমিও চিন্তা করতাম ভোরের সূর্যদয় দেখব কিন্তু তার আর কখনোই দেখা হয়ে উঠে নি ।
জ্বী,ভাই।যদি দেখতে পারতেন তাহলে,ভালো লাগতো।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা খুবই ইতিবাচক।গতো দুই বছর যাবৎ ঊঠে আসছি।
ধন্যবাদ পোস্টটা শেয়ার করবার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আসলেই ভোরের শিতল বাতাস মনকে শান্ত করে। তাছাড়া ভোরে উঠলে মন আর শরীরে একটা ফুরফুরে ভাব কাজ করে। যা সারা দিনের শরীরের অলসতাটাকে কাটিয়ে তুলে।
ধন্যবাদ, আপনার কথায় যুক্তি আছে।
Hi @shaonashraf, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @simplifylife!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Smart technology making us late riser. It is not healthy. Village People still now rises earlier. It is very good.
Yes, you are right.
আমি সারা রাত জেগে থাকি এবং কয়েক ঘন্টা ঘুমাই। আমি শীঘ্রই আমার আচরণের জন্য অর্থ প্রদান করব
Congratulations!
Curated by
@sourov
Join us on Discord
A Youth Run Community Organization from Bangladesh
50SP100SP200SP500SP1000SP2000SP5000SP10000SP