আজ বিকেলবেলায় সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম।বিকেলটা খুবি সুন্দর ছিলো।কারণ,বসন্তের বিকেল বলে কথা।বসন্তকালের এই সময়টাই গ্রামের পরিবেশ, আবহাওয়া খুব আরামদায়ক থাকে।শীতও না, আবার গরম না,নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া।
গ্রামের মেঠোপথ।মাটির রাস্তার দুইপাশে ফসলের জমি।বেশিরভাগ জমিতেই ধানের চাষ হচ্ছে।ধান গাছ মাসখানেক হলো লাগানো হয়েছে।এখন গাছগুলো গাঢ় সবুজ রঙের।যতদূর চোখ যায় ধানের খেতই চোখে পড়ে,সবুজ আর সবুজ।কিছু কিছু খেতে গম,ভুট্টার চাষও করা হয়েছে।
আলু খেতের আলু তুলার সময় যাচ্ছে।যেসব আলু একটু দেরি করে চাষ করা হয়েছিলো,সেগুলো তুলা হচ্ছে এখন।
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ডিজাইন আর রং মনে হয় একই।বর্তমানে সেগুলোর রং খয়েরি।চলার পথে তিনটা প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখলাম সবগুলোই দেখতে একই রকম।
রাস্তার মধ্যে অনেক শিমুলগাছ চোখে পড়লো।গাছে কোনো পাতা নেই,শুধু লাল শিমুল ফুল,দেখতে কি যে অপূর্ব লাগে,অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে মন চাই।
যেহেতু কোনো গন্তব্য ছিলো না, ভেবেছিলাম যেদিকেই যাই না কেনো,সেই পথে আর ফিরবো না অন্য পথে বাড়ি ফিরবো।কিন্তু সেই প্ল্যান মতো যেতে পারিনি, কারণ কয়েকবার রাস্তা শেষ হযে গিয়েছিল।রাস্তা আবার শেষ হয় নাকি?হ্যাঁ গ্রামের এইসব ছোট রাস্তার শেষ আছে।একবার রাস্তা শেষ হয়েছে একটি বিলের পাড়ে গিয়ে,তখন আর সামনে এগোনোর পথ নেই,তাই একি পথে ফিরতে হয়েছে।আরেকবার,এক বাড়ির ভিতরে প্রায় ঢুকে পড়েছিলাম,অনেক রাস্তা বাড়ির উঠোন দিয়ে গিয়েছে তাই বুঝার উপায় নেই।তখন এক বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করলাম,বাবু এইদিকে আর রাস্তা নেই? বাচ্চা বললো,না নাই,আপনি যাবেন কোথায়?
আমি বললাম,আমারও গন্তব্য নাই।