জীবনে কত হাজারো বার স্কুল না যাওয়ার জন্য বাহানা করেছি কিন্তু জীবনের প্রথমদিনটা কে কি কেউ মনে করতে পারবেন। আসলে জীবনের সব কিছুই আমার মোতে মনে রাখা দরকার। কারণ আপনি যে সময় গুলোকে হারাবেন সেই গুলোকে তো আর কখনই খুঁজে পাবেন না। আর সেই কারণে সব কিছুকেই আমি সব সময় মনে রাখার চেষ্টা করি। আর আজকে আমি আমার জীবনের স্কুল জীবনের প্রথম দিনের কথা বলার চেষ্টা করবো , চেষ্টা করবো বলার কারণ হচ্ছে আমার সব কিছু একদম স্পষ্ট মনে নেই। আসলে আমি ছোট বেলায় গ্রামে থাকতাম আর সেই জন্য সর্ব প্রথম গ্রামে এ ভর্তি হই !
আচ্ছা , এখন আশা যাক আমার স্কুল এর কথা নিয়ে। আসলে আমি যে স্কুলএ পড়তাম ঐটার এখন কোনো অস্তিত্ব ও নেই। সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমার মামত্ম বোন ঐখানে খানে পরে , বাড়িতে গেলে যখন মাঝে মাঝে অনেক আনতে বা দিয়ে আসতে যাওয়ার সময় দেখি , এখন কেমন আর আগে কেমন ছিল , সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তণ হয়ে যায়। এখনো মাঝে মাঝে সেই কথা গুলো মনে পরে।
আচ্ছা , আমি এখন একটা কথা বলি , আমি যখন স্কুল এ ভর্তি হই তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৩.৫ বছর। আসলে সমস্যা ছিল আমার আম্মু আমাকে নিয়ে অনেক সিরিয়াস ছিল। আর সত্যি বলতে বয়সের কথা যদি হিসাব করি তাহেল আমিই ক্লাস এর মধ্যে সব থেকে ছোট। মানে , বয়সে ছোট। যদি তেমন আটক বেশি পার্থক্য থাকেনা ৭-৮ মাসের। তবুও আমিই সব সময় ছোটই থাকি। যদিও অনেকে বলে যে এটা আমার জন্য একটা ভাল খবর , আবার অনেকেই বলে যে বয়সের অনুযায়ী পড়ালেখার চাপটা একটু বেশিই হয়ে যায় !
আসলে আমার জীবনে আমি প্রায় ৪-৫ বার স্কুল প্ৰতিবর্তন করেছি। তাও আবার এই ১২ বছরে। প্রথমে যখন আমি ২ বছর বাড়িতে এ পড়া শুনা করি। তারপর আমাদের ঢাকায় চলে আসি আর সেখানে ক্লাস ১এ ভর্তি হই। আসলে যখন ওই স্কুল ছেড়ে আসি তখন আমার কত যে খারাপ লেগেছিলো সেটা বলে বুঝতে পারবোনা। আর ছোট বেলা থেকে তো সেখানেই বড় হয়েছি তাই সব থেকে বেশি কষ্ট হয়েছিল !
আচ্ছা যাইহোক , একটা কথা মানতেই হবে যে যদি আমি এখন ঢাকায় না থাকতাম তাহলে হয়তো জীবনে অনেক পিছিয়ে থাকতাম। আমাদের গ্রাম এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা আর শহুরে এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা রাত দিন পার্থক্য। মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ যা করে সব ভালোর জন্যই করে। তাই আমাদের সব সময় সন্তুষ্ট থাকা উচিত !
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই।
Thank you , vai :)
The first day of school life always be remembering. Anyone can't forget this day easily. By remembering these days makes our face smile.