প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই মোটামুটি ভালোই আছেন, আর অবশ্যই সাবধানে আছেন।
করোনার কারণে আমরা প্রত্যেকে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে আছি ঠিকই,পাশাপাশি আজকাল গরমও ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে।
টানা ৩-৪ দিন বৃষ্টি হলে তবেই একটু শান্তি। কালকে সন্ধ্যাবেলা যে ২-৪ ফোঁটা বৃষ্টি হলো,তাতে কাল কিছুক্ষন একটু ঠান্ডা লাগলেও,আজ যেন গরমের মাত্রা আরও দ্বিগুণ করে দিলো।
সে যাইহোক, কাল সন্ধ্যাবেলা এমনিতেই একটু
মুখোরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল।দুপুরে খেতে বসেই আলোচনা হচ্ছিল সন্ধ্যাবেলা একটু চাউমিন/এগরোল এই ধরনের কিছু খাবো। বেশ অনেক দিন এই ধরনের কিছু খাওয়া হয়না।গরমের কারণে যদিও বা একটু পিছিয়ে আসছিলাম, তবে ওই ২-৪ ফোঁটা বৃষ্টির কারণে সেটা আর করতে পড়লাম না।
আমি সন্ধ্যাবেলা পুজো দিতে গেলাম, পূজো শেষ করে চা করলাম।ভাবলাম চা করে দিয়ে তবেই অন্য কিছু রান্না বসাবো। শুভর চা দিতে ওপরে গেলাম,সেখানে কথায় কথায় একটু দেরি হলো, নীচে এসে দেখি মা নিজেই পাস্তা করতে শুরু করেছে।
পাস্তা গুলো অনেকদিন ঘরে আনা ছিলো, চাউমিনের প্যাকেট বার করতে গিয়ে মায়ের চোখে পড়েছে, তাই ওটাই আগে রান্না করলো।মায়ের রান্না পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই যেহেতু আমি চলে এসেছিলাম,তাই শেষমেশ ফিনিশিং টাচ আমিই দিলাম। শুভ অনেকটা বেশি ঝাল খায় তাই ওর প্লেটে আলাদা করে গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলাম।
তারপর ওপরে গিয়ে জমিয়ে খেলাম।এরপর নীচে এসে আমি ফোনে কিছু একটা দেখছিলাম হটাৎ শুভ ডাকলো,আমি বাইরে বেরিয়ে দেখি ওর হাতে একটা fruti (cold drinks) এর বোতল।
দেখেই মনটা খুশী হয়ে গেলো, এই গরমে মাঝে মধ্যে একটু cold drinks হলে, মন্দ নয় না।কি বলেন?
যাইহোক,বাপি মা যেহেতু পাস্তা খায়নি,তাই ও গিয়ে fruti নিয়ে এলো। সমস্ত দোকান যদিও বন্ধ, কিন্তু আমাদের পাশে যে মুদির দোকান আছে, তারা cold drinks গুলো ঘরে রাখে তাই ওই বাড়িতে গিয়ে নিয়ে আসা যায়।
যাইহোক,গ্লাসে ঢেলে নিয়ে যখন প্রথম চুমুকটা দিলাম,বিশ্বাস করুন সে যে কি শান্তি অনুভব করলাম তা মুখে বলে বোঝাতে পারবো না।
যাইহোক,এই ভাবেই বেশ ভালই কাটলো সন্ধ্যাবেলা। আর হ্যাঁ,আমাদের পিকলু বাবুও কিন্তু একটু fruti খেয়েছিলেন।বেশ চেটেপুটে,আনন্দ নিয়ে।
আপনারাও ভালো থাকুন,পরিবারের সাথে সময় কাটান।সবাই সাবধানে থাকুন, বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন আর বাড়িতে থাকলে মাঝে মাঝে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোবেন।🙏