ইসলামিক হাদিস পোস্ট- ৫

in #islam6 years ago

b1 - Copy - Copy.PNG

৫. ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘ওয়াহী দ্রুত আয়ত্ত করার জন্য আপনি ওয়াহী নাযিল হওয়ার সময় আপনার জিহবা নাড়বেন না।’’ (সূরাহ্ কিয়ামাহ ৭৫/১৬)-এর ব্যাখ্যায় ইবনু ‘আববাস বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াহী অবতরণের সময় তা আয়ত্ত করতে বেশ কষ্ট করতেন এবং প্রায়ই তিনি তাঁর উভয় ঠোঁট নড়াতেন।’ ইবনু ‘আববাস (রাযি.) বলেন, ‘আমি তোমাকে দেখানোর জন্য ঠোঁট দুটি নাড়ছি যেভাবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নড়াতেন।’ সা‘ঈদ (রহ.) (তাঁর শিষ্যদের) বলেন, ‘আমি ইবনু ‘আববাস (রাযি.)-কে যেরূপে তাঁর ঠোঁট দুটি নড়াতে দেখেছি, সেভাবেই আমার ঠোঁট দুটি নড়াচ্ছি।’ এই বলে তিনি তাঁর ঠোঁট দুটি নড়ালেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলা অবতীর্ণ করলেনঃ ‘‘ওয়াহী দ্রুত আয়ত্ত করার জন্য আপনি ওয়াহী নাযিল হবার সময় আপনার জিহবা নড়াবেন না, এর সংরক্ষণ ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমার’’- (সূরাহ্ ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৬)।

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, ‘‘এর অর্থ হলোঃ তোমার অন্তরে তা হেফাযত করা এবং তোমার দ্বারা তা পাঠ করানো। ‘‘সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন’’- (সূরাহ্ কিয়ামাহ ৭৫/১৮)। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ মনোযোগ সহকারে শুন এবং চুপ থাক। ‘‘তারপর এর বিশদ বর্ণনার দায়িত্ব তো আমারই’’- (সূরাহ্ কিয়ামাহ ৭৫/১৯)। অর্থাৎ তুমি তা পাঠ করবে, এটাও আমার দায়িত্ব। তারপর যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট জিবরীল (‘আ.) আসতেন, তখন তিনি মনোযোগ দিয়ে কেবল শুনতেন। জিবরীল চলে যাবার পর তিনি যেমন পাঠ করেছিলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ও তদ্রূপ পাঠ করতেন।

(৪৯২৭, ৪৯২৮, ৪৯২৯, ৫০৪৪, ৭৫২৪; মুসলিম ৪/৩২ হাঃ ৪৪৮, আহমাদ ৩১৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪-এর শেষাংশ)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)


প্রিয় পাঠক,

আপনারা জানেন ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। আর এই শান্তির ধর্ম আমরা যেনো সঠিক ভাবে পালন করতে পারি আল্লাহ যেনো আমাদের সেই তৌফিক দান করেন আমিন।
আমি আমার ব্লগে আমার সাদ্ধমত ভালো ভালো হাদিস এবং কোরানের কিছু কথা উল্লেখ করবো। আপনাদের যদি ভালো লাগে অবশ্যই আপভোট দিবেন ,
শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন।

আসুন ইসলাম মেনে চলি, বুঝে চলি, ইসলামের দাওয়াত দিই, নিজে নামাজ পড়ি এবং অন্যকে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করি।