ইচ্ছা শক্তি দিয়ে পৃথিবী জয় সম্ভব

in #self6 years ago

অদম্য ইচ্ছেশক্তি আর পরিশ্রম মানুষকে সফলতার
দ্বার-প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে, তবে আপনাকে
সফলতার দেখা পেতে হলে কষ্ট তো একটু
করতেই হবে। কথায় আছে না "কষ্ট না করলে
কেষ্ট মিলে না" !!
.
প্রসব বেদনা ছাড়া যেমন কেউ মাতৃত্ব পায় না ঠিক
তেমনি পরিশ্রম ছাড়া কেউ সফলতা পায় না।
কে কবে শিক্ষক হয়েছে লেখাপড়া
ব্যাতিত,কে কবে হাটতে শিখেছে আছাড় খাওয়া
ছাড়া !
তাহলে আপনি কেন ইচ্ছেশক্তি, পরিশ্রম আর
কঠোর সাধনা ছাড়াই সফলতা আশা করেন ??
.
একটা গল্প মনে পড়ে গেলঃ-
একটা ঈগল একবার বনমুরগীর বাসায় ডিম পেড়ে
রেখে গেল। বনমুরগী ডিমে তা দিল। একদিন ডিম
ফুটে বাচ্চা বের হলো। ঈগলের বাচ্চাটি বন
মুরগীর বাচ্চা হিসেবে পালিত হতে লাগল। তার
স্বভাবও হয়ে উঠল মুরগীর মত। বনমুরগীর মতই
ডাকে।
একদিন সে দেখল আকাশে ডানা মেলে উড়ে
যাচ্ছে ঈগল। সে বিস্ময়ের সাথে প্রশ্ন করল, এটা
কি ? বনমুরগীরা উত্তর দিল, ওটা ঈগল। অসাধারন পাখি।
তুমি ওর মত দেখতে হলেও তুমি বনমুরগী হয়ে
গেছো। ওর মত কখনো হতে পারবে না।
ঈগলের বাচ্চা এই কথা বিশ্বাস করে কোন দিন উড়ার
চেষ্টাও করল না। এভাবেই সে কাটিয়ে দিল তার
পুরোটা জীবন। একসময় তার মৃত্যু হল। সে
জানতেও পারল না তার জন্ম হয়েছিলো আকাশের
উঁচুতে উড়ার জন্য, আকাশকে শাসন করার জন্য!!
আমরা অধিকাংশ মানুষই এরকম। আমরা অসীম ক্ষমতা
নিয়ে জন্মাই কিন্তু বেশীরভাগই তা কাজে লাগাতে
পারি না। কাজে কিভাবে লাগাবো আমরা তো চেষ্টাই
করি না।
শুনছি,সাফল্য থাকে মানুষের ৩ হাত দূরে। শুধু হাত
বাড়িয়ে ধরতে হয়। আমরা কষ্ট করে এই হাতটাই
বাড়াতে চাই না অই যে বললাম আমরা হলাম অলস জাতি ।
যেথায় কষ্ট আছে সেথায় আমরা নেই।
আমার কথাই ধরা যাক, আমি যখন স্ট্যাটাস লিখায় ব্যস্ত
আমার বন্ধুরা তখন লেখাপড়া করায় ব্যস্ত। তারা আমার
চেয়ে বেশি পরিশ্রম আর কঠোর সাধনা করছে তারা
আমার চেয়ে এগিয়ে থাকবেই এটাই স্বাভাবিক।
আমি যতোটা মরিয়া হয়ে ফেইসবুক চালাই, ততোটা
মরিয়া হয়ে পড়ালেখা করলে, আমার লক্ষের
অর্ধেক রাস্তা পার হয়ে যেত অনেক আগেই।
যাই হোক, আসুন সফলতার কিছু সুত্র দেখে নেই যা
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সফল ব্যাক্তি বিল
গেটসের থেকে পাওয়া।
.
যত দ্রুত সম্ভব, শুরু করুন: বুড়ো বয়সে ‘যৌবনে
কী-ই না করতে পারতাম!’—এই আফসোস যেন
আপনাকে না ভোগায়। তাই বিল গেটস সব সময়
বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায়
নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো
কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে।
ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্নপূরণের শুরুটা হলে
আপনার সফলতার সম্ভাবনা যতটুকুই থাকুক, অন্তত হাল
ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
.
প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে: বিল গেটস
বলছেন, ‘জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করা
নেই, যে দশ সপ্তাহ পর পর আপনি ভুলগুলো শুধরে
নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে “ব্রেক”
বলেও কিছু নেই।’ অতএব, প্রতিদিন আপনাকে
আপনার সেরাটাই দিতে হবে।
.
নিজেই নিজের বস হোন: আপনি নিজেই যদি নিজের
স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তাঁর
স্বপ্ন পূরণে আপনাকে নিয়োগ করবে। তার
চেয়ে বরং এই শ্রম নিজের স্বপ্নপূরণের
পেছনে খরচ করুন।
.
‘না’ বলা শিখুন: আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন,
দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আপনি পাচ্ছেন না। এই ২৪
ঘণ্টা কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটাই সফল এবং
অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল
গেটস বলেছিলেন, ‘জীবনের সেরা উপদেশ
আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ
থেকে। সে বলেছিল, তোমাকে “না” বলতে
জানতে হবে।’ বিল গেটস মনে করেন, কখনো
কখনো ‘না’ বলতে পারা আপনাকে লক্ষ্যে অবিচল
থাকতে সাহায্য করবে।
.
প্রতিজ্ঞ হোন, প্রত্যয়ী হোন: সব সফল
উদ্যোক্তাই জোর দিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন।
যে কাজটি করছেন, তার প্রতি ভালোবাসা থাকতেই
হবে। সফল মানুষেরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই কঠিন
কাজটাকে সহজে করেন।
.
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, জীবনই সেরা স্কুল: যত বই-ই
পড়েন না কেন, শিক্ষাজীবনে যত পরীক্ষাই
দেন না কেন—এসব কখনোই পুরোপুরি আপনাকে
সত্যিকার জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা
শেখাবে না। নিজের জীবন থেকে শিখেই তৈরি
হতে হবে।
.
আশা হারাবেন না: লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী
হলে চলবে না। বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে।
২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের বিল গেটস বলেছিলেন, ‘আশাবাদ
অনেক সময় মিথ্যে আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে
রাখতে হবে, “মিথ্যে হতাশা” বলেও কিছু আছে।’
.
সমালোচনাকে স্বাগত জানান: বিল গেটস তাঁর
বিজনেস অ্যাট দ্য স্পিড অব থট বইয়ে সমালোচনার
প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বিশ্বাস
করেন, অভিযোগ আর অসন্তুষ্টি আপনাকে আরও
ভালো করার সুযোগ করে দেয়। তিনি লিখেছেন,
‘আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার
শেখার সবচেয়ে বড় উৎস।’
.
সাফল্যের হিসাব করুন: ২০০৩ সালে বিল গেটস দ্য
মোস্ট পাওয়ারফুল আইডিয়া ইন দ্য ওয়ার্ল্ড নামে একটা
বই থেকে তাঁর শিক্ষা কী, তা বলেছেন। ‘আপনি যদি
একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সব সময় হিসাব করেন,
আপনি কতটুকু এগোলেন, তাহলেই লক্ষ্যে অবিচল
থাকতে পারবেন।’ সঙ্গে তিনি এ-ও যোগ
করেছেন, ‘এটা বলা যত সহজ, করা ততটাই কঠিন।’
.
জীবনটা সহজ নয়, এটা মেনে নিন: আপনি যতই
কঠোর পরিশ্রম করেন না কেন, এমন একটা সময়
নিশ্চয়ই আসবে, যখন সবকিছু আপনার মনমতো হবে
না। সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আপনি পড়ে
যাবেন, কিন্তু আপনাকে আবার দাঁড়াতে হবেimages (3).jpegimages (3).jpeg

Sort:  

right....tnx for nice post

@oli11 Great Yaar, Dont Give Up