oh no

in #vote6 years ago

আজকের এই
ঘটনা টি উপেক্ষা করেছের একজন
এম্বুলেন্স ড্রাইবার । তার নাম
মানিক । বাকিটা শুনুন মানিকের
কাছ থেকেঃ
!! আমি মেডিকেলে যাত্রী আনা নেওয়া করি ।
হয়তো সে রোগী আবার হয়তো সে লাশ
। আমি রাত নয় টা পর্যন্ত কাজ
করি । একদিন আমি রাত নয় টায় সব
কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে ডিনার
করে ঘুমিয়ে পড়লাম । দিনটি ছিল মঙ্গলবার । হঠাত্
আমার
পোনে একটা কল এলো এক
অচেনা নাম্বার থেকে । কল রিসিভ
করলাম ।রাত তখন ১১ টা বেজে ২২
মিনিট । আমাকে বললো মেডিকেল
থেকে একটা লাশ নিয়ে যেতে হবে । যে
জায়গার নাম
বললো সেটা এখানে থেকে অনেক দুর

আমি রাজি হলাম না । কিন্তু যখন ও
বললো আমাকে দিগুন
টাকা দিবে আমি আর আপত্তি করলাম না । আমি
এম্বুলেন্স
নিয়ে রওয়ানা দিলাম ।
মেডিকেলে আরো দুজন লোক
বসে আছে লাশের পাশে । আমি লাশ
টা এম্বুলেন্সে তুললাম । আর
বললো শশ্মান ঘাটে এক লোক আছে । আমাকে
রিসিভ করবে । লাশ টি ছিল
একটি মেয়ের ।
জানা গেলো প্রেমিক
হারিয়ে আত্বহত্তা করেছেন ।
বুঝলাম স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ।
আমাকে যেতে হবে শশ্মান ঘাটে এখানে
থেকে প্রায় ৬ মাইল
দুরে একটি গ্রাম্য এলাকায় ।
আমা লাশ নিয়ে যেতে লাগলাম ।
রাত এখন বারো টা । আমি কিছুক্ষন
পর গ্রামে পৌছে গেলাম । সময়
আনুমানিক ১২ টা ৪০ হবে । আমি ঘাটে পৌছে গেলাম
রাত
বাজে একটা । কিন্তু আমি তো শশ্মান
ঘাট ছিনিনা । এক
বিয়ে বাড়ীতে ঢুকে পড়লাম । এক
লোক কে জিগ্গেস করলাম ঘাট
কোথায় । সে বললো দক্ষিণের বাগানের
ভিতরে। দক্ষিন
দিকে একটা বাগান আছে । আমি আর
একলা ভিতরে না গিয়ে এম্বুলেন্সের
ভিতরে বসে রইলাম বিয়ে বাড়ীর
গেটের পাশে।আমার কখন যে ঘুম
এসে গেল নিজেও জানিনা।আমার ঘুম ভেঙ্গে
গেল একটা আওয়াজে ।
কে যেন ঘাড়ি টা সরাচ্ছে।হঠাত্
কেন জানি আমি পিছনে তাকালাম ।
আমি অনেক অবাক হয়ে গেলাম
এম্বুলেন্সের ভিতর লাশ না দেখে ।
আমি বাহিরে বেরিয়ে দেখতে লাগলাম কে
নাড়াচ্ছে গাড়ি । কেউ নেই
পাশে । আমি এম্বুলেন্সের
ভিতরে গিয়ে দেখি লাশ টা ঠিক
মতই আছে । আমি আবার বসে রইলাম ।
কিচুক্ষন পর একটা লোক
এসে বলতে লাগলোঃ লোকঃ কি ভাই কেমন
আছেন ।
আমিঃ জী ভালো আছি ।
ভিতরে এসে বসবেন নাকি ?
লোকঃ দিলে তো বসি ।
লোক টি ভিতর বসলো।ভাবলাম
একসাথে গল্প করবো আর ভয়টাও দুর হবে ।
লোক টার হাতে একটা প্লেট
কি যেন খটস খটস করে খাচ্ছে ।
আমাকে বললো নিতে আমি চাইলাম
না । দেখলাম প্লেটে আপেল । অনেক
জোর সত্বে আমি এক টুকরা তে হাত
দিলাম । আমার গাঁয়ে একটা শীতল বাতাস বয়ে গেল ।
আমার হাত
টা হিল হয়ে গেল ।
আমি মুখে নিলাম । আমার
মুখে আঁটছে না । কারন এগুলো আপেল
নয় কোন জন্তুর হাঁড় ।
আমি রেখে দিলাম । লোকটা আমাকে বাহিরে নিয়ে
গেল।
আমি লোকটার সাথে হাঁটতে লাগলাম
। আমি শশ্মান ঘাটে আসলাম
লোকটার সাথে ।
কথা বলতে লাগলাম । আমরা বসলাম
। আমি পকেট থেকে একটা সিগারেট ধরালাম । হঠাত্
লোকটা উধাও । আর
কিছু মনে নেই । সকালে ঘুম
থেকে উঠে দেখি আমি খাটে শুয়ে আছি ।
পরে জানতে পারলাম ঐ শশ্মান
ঘাটে নাকি আমি শুয়ে আছি ।
আমাকে সেখান থেকে কয়েকজন লোক নিয়ে
আসে।আজ চারবছর পর
আমি আপনাদের কাছে ঘটনা শেয়ার
করলাম । এবং ঘটনার পরদিন
থেকে আমি ঐ কাজ ছেড়ে দিলাম ।