সর্বনাশের ইয়াবা।দয়াকরে সবাই শেয়ার করবেন।

in #esteem6 years ago

এটা আমার জীবনে কলঙ্কিত অধ্যায়,
একটা সময় ভালো ছিলাম। পরিবারের সাথে ভালোই সময় কাটতো। আমার বাবা গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি করতো। বর্তমানে যেটা( ডিবি) পুলিশ নামে পরিচিত। বাবা মায়ের এক মাত্র আদরের ছেলে তাই যখন যা চাইতাম বাবা আমার সব চাহিদা পুরন করতো। বন্ধুদের নিয়ে ইচ্ছা মতো টাকা খরচ করতাম, একটা সময় নেসার জগতে চলে গেলাম। প্রতিদিন আমার ১০ থেকে ১৫ টা ইয়াবা না হলে চলতোই না। আমার বাবা বিষয়টা যেনে গেছে তাই আমার হাত খরচ বন্দ করে দিছে। তারপরে বন্ধুদের উপরে ভর করে কিছুদিন চললাম, কিন্তুু টাকা দিতে না পারায়, ওরা ও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করলো। যাহোক ও দিন মাথা খুব গরম।গরম মাথা নিয়ে বাসায় গেলাম, বাসায় গিয়া মায়ের কাছে ১০০০০ টাকা চাইলাম।
মা বললো আমি টাকা কোথায় পাবো। তোর বাবা আসুক তার কাছ থেকে নিস। রাগ করে আমি বাসার চেয়ার, টেবিল ভাঙ্গা শুরু করলাম, ইতিমধ্যে বাবা অফিস থেকে বাসায় ফিরলো।
বাবা: কিরে অপু কি হয়েছে এগুলো কি শুরু করছো।
আমি: আমার টাকা লাগবে
বাব : টাকা দিয়ে কি করবি ইয়াবা নেশা করবি। মাদক সেবনের তালিকায় তোর নাম আসছে, লজ্জায় অফিসে আমি মুখ দেখাতে পারছিনা।
আমি: বাবার সামনে টেলিভশন উঠিয়ে একটা আচার দিলাম।
বাবা আমাকে চর মেরে, থানায় নিয়ে গিয়ে জেলে ভরে দিলো।
তখন আমার মনে হচ্ছে লো, এখান থেকে বের হতে পারলে বাবা কে মেরে ফেলবো।
যাহোক থানায় বসে বসে মশার কামর খেতে খেতে মাথাটা একটু ঠান্ডা হলো।
পরের দিন সকাল বেলা মা থানা থেকে আমাকে ছারিয়ে নিলো।
রাতে বাবা অফিস থেকে বাসায় ফেরলো, বাবা আমাকে দেখে রেগে আম্মাকে বললো ও আমার বাসায় কেন, ওকে আমার সামনে থেকে চলে যেতে বলো।
আমি: তুমোর বাসা নিয়ে তুমি থাক, আমি গেলাম।
বাব: যা, যেখানে মন চায় যা, আমার বাসা থেকে আগে বেরহ।
আমি: বের হতে গেলাম, তবে মার জন্য আর বের হতে পারলাম না। কিন্তু আমার রাগ মনে মনেই থেকে গেলো। ওইদিন রাতে, আলমারি ভেঙ্গে ৫০০০০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম।
এবং খুলনাতে এক বড় ভাই ইয়াবার ডিলার তার বাসাতে উঠলাম। বড় ভাইয়ের সাথে অন্দকার জগৎতে ব্যবসা শুরু করেদিলাম। আস্তে আস্তে বড় মাপের মাফিয়া হয়ে গেলাম, রাজা একনামে সবাই চিনে, তবে ভালো মানুষ নয় খারাপ মানুষ হিসাবে।
এভাবে চলতে ছে, মায়ের সাথে যোগাযোগ করতাম, আম্মা প্রতিদিন ফোন দিয়ে আমার সাথে কান্নাকাটি করতো, আমাকে এ পথ থেকে বেরিয়ে আসতে বলতো কিন্তু নিজেকে এমন ভাবে জরিয়ে নিয়েছি, ফিরতে চাইলে ও ফিরতে পারছিলাম না।
হঠাত একদিন বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বললো,
বাবা: রাফছান সারাদেশে মাদকের বিরদ্দে অভিযান চলতেছে, মাদক ব্যাবসাহি দের ক্রোজ ফায়ারের অডার আছে।
তুই বারিতে আয়, ছেলেন্ডার কর, আমি তোকে যতো তাড়াতাড়ি পারি ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবো।
আমি: তুমি আমার ব্যাপারে কথা বলবে না, তোমার জন্য আজ আমার এই অবস্থা। আমি বাবা কে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোনটা কেটে বন্দ করে দিলাম।
২ দিন পরে......
আমি চালানোর কাজে বাইরে গেলাম, ২ দিনের জন্য, চালানের কাজে সমস্যা হয়ছে মাথা পুরাই গরম, তখনি ছাইফুলের ফোন,
ছাইফুল: ভাই আমাদের বাসায় নিচে একজন লোক আসছে, আপনার কথা জানতে চাচ্ছে আপনার নাকি আব্বা। জানতে পারছি লোকটা ডিবি, বাসায়তো ১০০০ হাজার পিস ইয়াবা আছে, মাল সহো ধরা খাইলে তো ক্রোজ ফায়ার দিয়ে দিবে আমাদের।
আমি: শুন টাকা দিয়া মেনেজ কর, আর যদি বারা বারি করে খালাশ করে দিবি।
কিছু সময় পরে মা আমাকে ফোন দিলো,মাঃ অপু তোর আব্বা গেছে তোর সাথে দেখা করতে, বাবা তুই তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করিশ না। আর শোন তুই তোর বাবার সাথে বাসায় চলে আয় কত দিন তোকে দেখি না বাবা।
আমি মায়ের ফোনটা কেটেই ছাইফুলকে ফোন দিলাম।
আমি: হ্যালো ছাইফুল
ছাইফুল: কাহিনি শেষ ভাই, শেষ করে দিছি।
আমি: আরে তুই কি করছিস,
আমার বাবাকে মেরে দিলি।
ছাইফুল: ভাই কি বললেন ভাই।
আমি: আমার বাবার লাশ কোথায় রাখছো।
ছাইফুল : ভাই পুকুরে মাগুর মাছরে খাওয়ে দিছি।
আমার, ভিতরটা যন্তনায় সেষ হয়ে যাচ্ছে।
এখোন বুঝতেছি আপন মানুষ হারানোর ব্যাথা কতোটা কষ্টের। কত মানুষকে
অকারনে মেরে ফেলছি। সে মানুষ গুলোর আপন মানুষের,অভিসাপে আজ আমি বেচে থেকে ও মরা লাশ হয়ে বেচে আচি।
গল্পটা পুরোটাই কাল্পনিক,
তবে এরকমটা না হলে ও মাদক আমাদের দেশ সমাজ নষ্ট করে ফেলছে, অনেক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু মাদক থেকেই শুরু বিষেশ করে,বাবা মায়ের সাথে খারাপ সম্পর্কের মূল কারনই মাদক।

Sort:  

আমাদের দেশ থেকে মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল করা দরকার।

Your post has been selected to be presented in "Steemit Bangladesh curation competition episode # 10" . If you are from Bangladesh and would like to present the article in voice hangout during the competition, Please join the hangout on discordapp

Steemit Bangladesh curation competition episode # 10
Time : 10 PM BDT
Date: 27/07/2018 (Friday).


আপনার লেখাটা ভালো হলেও বানান ভুলের কারনে লেখার মান খারাপ হয়েছে।বানানের প্রতি যত্নশীল হওয়ার অনুরোধ রইলো।