দেখতে দেখতে ছুটির সময়গুলো শেষের পথে। কিন্তু মনে হচ্ছে এইতো দুদিন আগেই মাত্র বাড়ি ফিরলাম।এখন আবার ঢাকায় ফিরতে হবে; কিছুতেই মনকে মানাতে পারছিলাম না!
রোযার একেবারে শেষেদিকে দীর্ঘদিনের সেমিষ্টার ক্লান্তি শেষে ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়ি ফিরা। অনেকদিন পর পরিবারের কাছে ফিরার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়৷ পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারাটা বড়ই সৌভাগ্যের ব্যাপার বলা চলে৷ এবারের ঈদটাও অনেক ভালো কেটেছে৷ এলাকার সবার সাথে দীর্ঘদিন পর পর এক হয়ে আড্ডা দেওয়া থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের বন্ধুদের সাথে দেখা করা ; পাশাপাশি হয়েছে ছোটখাটো ঘুরাঘুরিও।
এইতো দুদিন হলো নিজেদের গাছের আমও পাকতে শুরু করেছে। বর্তমানে নিজের গাছের ফল ছাড়া ফরমালিনমুক্ত ফল বাজারে পাওয়াটাও দূর্লভ। তাছাড়াও নিজের গাছের পাকা আমের স্বাদ কি আর অন্য আমে পাওয়া যায়! ছোটবেলা থেকেই যে আম খেয়ে অভ্যস্ত আমি৷ কিন্তু ইচ্ছেমতো নিজের গাছের পাকা আম খাওয়ার আগেই ঢাকা ফিরতে হবে ; ভাবতেই মনটা খারাপ লাগছিলো। কি আর করার, তাও ফিরতে হবে যে! আরো দু-একটা দিন সময় পেলে মন্দ ছিলোনা!
রাতে একটু তারাতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে উঠতে হবে বলে৷ সাধারনত আমি সকাল ৯/১০ টার আগে ঘুম থেকে উঠি না। কিন্তু আজ সকাল সকাল বের হতে না পারলে ঢাকা শহরের তীব্র যানযট আমাকে আকড়ে ধরবে। সেই ভয়ে সকাল আটটার মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে পরি।
একটু ঘুরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়ার করতে করতে সেই বেলা এগারোটা বেজেই গেলো। এবার ব্যাগ গুছানোর পালা। ব্যাগ ঘুছিয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বেরে হতে হতে বেলা ১২ টা বেজেই গেলো। যেজন্য ওকটু তারাতাড়ি ঘুমানো আর ঘুম থেকে উঠা তা আর কোন কাজে দিলোনা।
সবাইকে বিদায় জানিতে ফিরতে খুব খারাপ লাগছিলো বটে! তাও কি আর করার ফিরতে তো হবেই ; বেলা যে ফুরিয়ে এসেছে। ঈদে বাড়ি ফিরার আনন্দের চাইতে, আজ বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কষ্টের পরিমানটা ভাড়ি মনে হচ্ছে।
যাইহোক কোনরকমে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে বেড়িয়েই পড়লাম ক্যাম্পসের উদ্দেশ্যে। এবার সেমিষ্টার নাকি দুই মাসে হবে। তীব্র এক প্যারাময় দুই মাস আমার জন্য অপেক্ষা করছে। সেটা ভাবতে ভাবতে পৌছে যাই বিআরটিসি বাস কাউন্টারে। যেই স্টুডেন্ট হাফ ভাড়া দিলাম; ওমা তিনি তো রেগেই উঠলেন। স্কুল কলেজ সব খুলে দিছে, কিন্তু তাদের নাকি ঈদ ই শেষ হয়নি৷ কি আর করার পুরো ভাড়া দিয়েই রওনা হলাম ঢাকার পথে।
গোমতী, মেঘনা পেরিয়ে ঢাকা জেলায় ঢুকয়েই শুরু প্রবল বর্ষনের। চারদিক অন্ধকার করে ভাড়ি বৃষ্টি বইতে শুরু করে দিয়েছে। গাড়ির স্বচ্ছ জানালা দিয়ে তা দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো। তবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই পৌছে যাই সেই পুরোনো রূপ ফিরে পাওয়া ব্যস্ত নগরী ঢাকায়।
তারপর লোকাল বাস, লেগুনা আর রিক্সা করে আরো তিন ঘন্টা যার্নির পর একেবারে ক্যাম্পাসে।
Hi @fa-him, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON