
পা' চাটা তোষামোদ
মানুষের ভিতরে অহংকার কাজ করে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্ত কিছু অহংকার একেবারেই অবান্তর যা মানুষকে আরও বেশী অহংকরী বানিয়ে ফেলে। আপনি যতই টাইম মেন্টেইন করেন না কেন সে আসবে অফিস টাইম শুরু হওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে। মেইন গেইট দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে সে কাশি দিবে যেন তার অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সচিব তার কাশি শুনে তাকে সালাম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পায়। আপনি যতই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন না কেন, কাজ ফেলে এসে আপনাকে আগে তার সাথে কুশল বিনিময় করতেই হবে। স্যার স্যার বলতে বলতে মুখের থুথু যত ফেনায় পরিণত হবে আপনি তত তার প্রিয় ভাজন হতে পারবেন। এমন কি আপনি যদি মুত্র নির্গমনেও যাওয়া সময় তার কাছে বলে যান তাতেও সে অনেক খুশি বলে মনে হয় ।
মুখভরা সুন্দর দাঁড়ি, আমাদের নবী রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কে নাকি দু'দুবার স্বপ্নে দেখেছে। কথায় কথায় হাদিস কোরআনের রেফারেন্স দেওয়া আমার এই স্যার মহোদয় একজন নির্লজ্জ ঘুষখোর। সারাজীবন শুনে এসেছি যারা কাজের বিনিময় ঘুষ গ্রহণ করে থাকে তারা নাকি একটু নির্লজ্জ ও বেহায়া প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে মানুষ এমন নির্লজ্জ হতে পারে তা আমার জীবনকালে আমি আর দেখিনি।

কথা শুনলে মনে হবে একজন আউলিয়া। অথচ এ দেশের মানুষের সাথে কত যে প্রতারনা সে করে চলেছে তার হিসেব আল্লাহর কাছে। একটা রেগুলেটরি ল্যাব মানে হল আমাদের দেশের খাদ্যের মান সম্পূর্ণ এই ল্যাবের উপর নির্ভরশীল। আমার দেশের খাদ্যের ভেজাল নিয়ন্ত্রণকারী একটা গুরুত্বপূর্ণ ল্যাবের মেরুদণ্ড যদি ভেঙ্গে পরে তাহলে সে দেশের জনগণ কিভাবে নিরাপদ থাকবে। যে খাবারটা সারা বাংলাদেশের মানুষ খায় সেই ভেজাল খাবারটা যদি টাকার বিনিময়ে ভাল বলে চালিয়ে দেয় তাহলে এদেশের মানুষের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা কি হতে পারে একবার ভেবে দেখা উচিত ।
যে লোক পাঁচ দশহাজার টাকার জন্য সারা বাংলাদের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলছ সে আর যাই কিছু হউক মানুষ হতে পারেনা। সেকি কখনো ভাবেনা এই খাবার তার বৌ বাচ্চাও খেতে পারে । আমরা সব দেখি এবং সব শুনতে পাই কিন্ত কোথায় যেন আমাদের হাত বাঁধা। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমরা নীরব ভূমিকা পালন করছি। কিন্ত কেন ?