ঘি এর কেমিস্ট্রি এবং বাংলাদেশ ঃ পর্ব ২

in BDCommunity5 years ago
ঘি নিয়ে প্রথম পর্বের লিখাটা আমি আমার ফেইজবুক পেইজে ও দিয়েছিলাম। সেখানে অনেক জানতে চেয়েছেন যে, তৈল ও চর্বি জাতীয় খাবার খেলে কেন এসিডিটি বেড়ে যায় ? আমাদের দেশে যে সকল তৈল ও চর্বি জাতীয় সামগ্রী পাওয়া যায় তার বেশীর ভাগই হল রিফাইন করা । যে সব তৈলের অসম্পৃক্ততা বেশী হয় সেগুলি বেশী রিয়েক্টিভ হয়ে থাকে। ঐ সকল তৈল বা চর্বি জাতীয় সামগ্রী খেলে বেশী এসিডিটি হয়।

133975219_3651202331639108_8668885342511221817_n.jpg

এখন কথা হল, কিভাবে বুঝব যে কোন তৈলের অসম্পৃক্ততা বেশী না কম। এ ক্ষেত্রে আমরা আয়োডিন ভ্যালু টেস্ট করে সহজে তৈলের অসম্পৃক্ততা নির্ণয় করতে পারি। যে তৈল ও চর্বি জাতীয় খাবারের আয়োডিন ভ্যালু কম তার অসম্পৃক্ততা ও কম। আবার যে সকল তৈল ও চর্বি জাতীয় খাবারের আয়োডিন ভ্যালু বেশী তার অসম্পৃক্ততা ও বেশী। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, ঘি এর আয়োডিন ভ্যালু অন্যান্য তৈল যেমন সোয়াবিন, সরিষা ইত্যাদি থেকে অনেক কম। তাই ঘি শরীরের জন্য তুলনামূলক অনেক ভাল। কিন্ত আমাদের দেশে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর কারনে ঘিয়ের উপকারী দিকগুলি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

133865395_143183180744712_8092496215522420862_n (1).jpg

গতকাল একটা ঘি টেস্ট করেছিলাম যার মধ্যে ঘিয়ের কোন উপস্থিতি আছে কিনা সন্দেহ আছে। ঘিয়ের রিফ্রেক্টিভ ইন্ডেক্স আর আয়োডিন ভ্যালু দেখে মনে হয় পুরাটাই পাম ওয়েল দিয়ে তৈরি করা। এই পামওয়েল এ ঘিয়ের ফ্লেভার মিশিয়ে দিনের পর দিন অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের ঠকিয়ে আসছে। আজ এটা খুবই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কিভাবে আমার এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।