স্মৃতির পাতায়

in BDCommunity4 years ago (edited)

প্রায়ই আমার ক্যাম্পাসের ছবি গুলো ফোনে দেখি। কয়েক মাস আগের কথা প্রতিদিন প্রেজেন্টেশন আর এক্সাম দিতে হতো বলে খুব বিরক্ত লাগতো। তখন শুধু একটাই প্রার্থনা করতাম এ-সময়ে কোন ছুটি দিলে ভাল হতো।

CollageMaker_20190930_203106853.jpg

কেননা প্রেজেন্টেশনের জন্য দিন রাত আমি প্রাকটিস করতাম। আর এগুলো ভালো লাগতো না। মনে হয় আল্লাহ আমার প্রার্থনা শুনেছিল।

যখনই শুনলাম ক্যাম্পাস ১৫ দিনের জন্য বন্ধ।

তখনই আমি ব্যাগ গুছিয়ে রাখলাম। বাসায় আসার জন্য ভোর বেলা রওনা হলাম। বাসায় দিন ভালই কাটছিলো কিন্তু যখনই শুনলাম লোকডাউন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে তখনই খারাপ লাগতো। এই মহামারি না থাকলে মে মাসেই আমাদের সেমিস্টার শেষ হতো।

এত বেশি আনন্দিত ছিলাম বাসায় আসার সময় একটা বইও আনতে মনে ছিল না। আর এদিকে অনলাইনে এক্সাম নিচ্ছে স্যারেরা। তাতেও আমার দুঃখ নেই।

আমি হলে থাকি। সেখানে আমার সবার সাথেই অনেক ভাল সম্পর্ক। আর আমার অনেক ভাল স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেখানে। আমি পাঁচ তলায় থাকি। সিঁড়িতে উঠতেই বিরক্ত লাগতো। কিন্তু এখন পুরোনো দিনের এই কথা গুলো মনে পড়ে নিজেই হাসতে থাকি।

বেশ কয়েকদিন ধরে কয়েক ঘন্টার জন্য হল খোলা রাখা হচ্ছে। কারো প্রয়োজনীয় জিনিস -পত্র থাকলে আনতে পারবে। শুনলাম ২ একজন করে হলে যাচ্ছে তাদের জিনিস পত্র আনতে। তারা ফেসবুকে হলের ছবি পোষ্ট করছে। আমার প্রয়োজনীয় জিনিস বলতে কিছুই নাই।আছে শুধু সেখানে ফেলা আসা স্মৃতি গুলো। বিকাল হলেই জানালার পাশে বসে চা খেতাম। সবাই মিলে মধ্যরাত পর্যন্ত আড্ডা দিতাম। তখন নিজেকে কখনও একা মনে হতো না।

কিন্তু এখন প্রত্যেকটি দিন যেন গুরুত্বহীন হয়ে গেছে। আমার কথা শোনার মতো কেউ নেই। শুধু একটাই আশা নিয়ে আছি, আর মাত্র কয়টা দিনের ব্যাপার সব ঠিক হয়ে গেলে আমি আবার আমার প্রাণের ক্যাম্পাসে যেতে পারবো।

Sort:  

সব কিছু স্থবির হয়ে আছে। তবে সব কিছু খুলে দিলেও স্বাভাবিক হতে পারি নি আমরা।

মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলকে হেফাজত করুক।

This post earned a total payout of 10.092$ and 5.046$ worth of author reward that was liquified using @likwid.
Learn more.