আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি ভালো আছেন |আমিও ভাল আছি|আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি শেয়ার করব | এই রেসিপিটা আমার আম্মু রান্না করেছিল সেই রেসিপিটাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি | আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে | প্রথমেই বলে নেই রান্নাটা যে যার মতই করে যে যেমন খেতে পছন্দ করে | ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন | আম্মু প্রথমে পায়া গুলোকে সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলেন | তারপর রান্না করতে যেসকল উপকরণ আমাদের লেগেছে সেগুলো হচ্ছে
খাসির পায়া চারটা
হলুদ গুড়ি, লাল মরিচের গুঁড়ি, ধনিয়া গুড়ি, জিরা গুড়ি
আদা বাটা ,রসুন বাটা
দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ
তেজপাতা, গোলমরিচ
বেরেস্তা করার জন্য পেঁয়াজ
রান্না করার জন্য পরিমাণ মতো তেল
ধনিয়া পাতা কুচি
কাঁচা মরিচ
স্বাদমতো লবণ
ধুয়ে পরিষ্কার করা পায়া গুলোকে আম্মু প্রেসার কুকারে দিয়েছে যাতে করে খুব তাড়াতাড়ি রান্নাটা হয়ে যায় | কারণ নেহারির হার গুলা অনেক বেশি শক্ত থাকে নরম না হলে খেতে স্বাদ লাগেনা | আম্মু প্রেসার কুকারের মধ্যে সব মসলাগুলো একসঙ্গে দিয়ে দেয় মরিচের গুড়ি, এক চা চামচ দিয়েছে, হলুদ গুঁড়ি পরিমাণ মতো দিবেন যে যেমন রং পছন্দ করেন. ধনিয়া গুড়ি এক চা চামচ, জিরার গুঁড়ি এক চা চামচ, দারচিনি দিয়েছে তিন চার টুকরা, এলাচ দিয়েছে তিনটা, লবঙ্গ দিয়েছিল চারটা, গোলমরিচ দিয়েছিল চারটা, তেজপাতা দিয়েছিল দুটো তেজপাতা চার টুকরো করে দিয়েছিল, স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়েছিল | তারপর সয়াবিন তেলের পরিমাণটা খুবই কম ছিল এক টেবিল চামচ বলতে পারেন | তারপর প্রেশার কুকারের মধ্যে সব মসলা এবং পানি দিয়ে ভাল করে নেড়ে আম্মু প্রেসার কুকারের মুখটা বন্ধ করে দিয়েছিল | পনেরোটা বাঁশি দিয়েছে প্রেসার কুকারে | প্রেসার কুকারের মুখ খুলে নিয়েছে তারপর কিছুক্ষণ আবার চুলায় রান্না করেছে পাঁচ মিনিটের মত | তারপর বেরেস্তাগুলো উপর থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ধনিয়া পাতা উপর থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিবেশন করেছে | চটপট ঝোলদি হয়ে গেল আমার মায়ের হাতের খাসির পায়রা রান্না | আমরা সবাই মিলে রাতের খাবার এ গরম রুটির সাথে খাসির পায়া খেয়েছিলাম অনেক মজা লেগেছিল |যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতে আমাকে জানাতে ভুলবেন না | আজ আসে আবার দেখা হবে অন্য কোন কনটেন্টের সাথে ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন | আপনার আমার পাশে থাকবেন এটাই আমার কাম্য |