যখনই কোন শিশু জন্ম নেয় ঠিক তখন থেকেই তার জীবন নিয়ে পরিকল্পনার আরম্ব করে দেয় তার পিতা-মাতা । শিশু এই পৃথিবীতে আসার আগ থেকেই তারা এই পরিকল্পনার বীজ বুনতে শুরু করে। তারা ঠিক করে রাখে যে তাদের সন্তান বড় হয়ে কি হবে । শুধুমাত্র পিতা-মাতা না বাসার অন্যান্য সকল মুরব্বীরা বিভিন্ন স্বপ্ন দেখে ঐ শিশু কে নিয়ে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ঐ শিশুকে সম্মুখীন হতে হয় অনেক পরিক্ষার। পিতা-মাতা'র ইচ্ছা সন্তানকে মস্ত বড় ডাক্তার বানাবে। তাই ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের চর্চা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শিশুটি লক্ষ্য করে যে সে অংকে খুব কাঁচা, এবং বিজ্ঞান তার মাথায় ঢুকে না। কি করবে সে ? তাকে তো ডাক্তার হতে হবে, আর ডাক্তার হতে হলে অবশ্যই বিজ্ঞান এ পারদর্শী হতে হবে। অপর দিক দিয়ে সাহিত্য, দর্শন, মনোবিজ্ঞান ও রাস্ট্রবিজ্ঞানে তার খুব আগ্রহ। সে এখন মহা বিপাকে একদিকে পিতা-মাতা'র স্বপ্ন অন্য দিকে নিজের ভালো লাগা।

Source
এমন অবস্থার সম্মুখীন হলে যা করতে হবে তাহচ্ছে, নিজের স্বপ্নকে অগ্রধিকার দেওয়া। আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী সেটা আগে নিশ্চিত করুন এবং আপনার পিতা-মাতাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। প্রতিকুল অবস্থা জয় করার জন্য নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগান।
পিতা-মাতা হোক আপনার প্রিয় বন্ধুঃ
সবসময় চেষ্টা করুন পিতা-মাতার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে। এমনটাও হতে পারে একজন খুব ব্যস্ত থাকে যদি এমন হয় তাহলে অন্তত একজনের সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলুন যে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবে। সাধারণত পিতা সব সময় বাহিরে নানা কাজে ব্যস্ত থাকে তাই মা'র সাথেই বন্ধুত্ব করা উত্তম । আপনার মা'র সাথে আপনার সব কথা শেয়ার করুন। আপনি কোন বিষয়ে দুর্বল এবং কোন বিষয়ে পারদর্শী তা তাকে বুঝান। আপনি কোনটি পছন্দ করেন এবং কোনটি পছন্দ করেন না সেটি তাকে জানান। সে যখন আপনার সমস্যা বুঝতে পারবে তখন অবশ্যই আপনার পাশে দাঁড়াবে এবং আপনার স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করবে ।
পিতা-মাতা'র মতামত এর প্রাধান্য দেওয়া এবং বিবেচনা করাঃ
নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কখনোই আপনার পিতা-মাতা'র মনে আঘাত দিবেন না। মনে রাখবেন তারা সবসময় আপনার ভালোটা নিয়েই চিন্তা করে। তাই নিজের স্বপ্নের পাশাপাশি আপনাকে নিয়ে আপনার পিতা-মাতা'র স্বপ্নেরও বিবেচনা করুন। সম্ভব হলে তাদের স্বপ্ন পুরন করার চেষ্টা করুন, আর যদি না পারেন তাহলে তাদেরকে আপনার সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলুন নিশ্চই তারা বুঝবে।
সমাজের কথায় ধ্যান না দেওয়াঃ
"লোকে কি বলবে" - এ কথা চিন্তা করবেন না। বন্ধু-বান্ধব বা আঙ্কেল-আন্টিরা কি বলবে সেটা নিয়ে কখনো চিন্তা করবেন না। সমাজের চোখে ঐ বিষয়টাই দামি হয় যে বিষয়ে কেউ সফলতা পায়। হয়তো আপনার বিষয় নতুন বলে এখনো কেউ সফলতা পায় নাই, তাই তারা সেটিকে ভালো চোখে দেখে না। তাই বলে তো আর নিজের স্বপ্নকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া যায় না, কেউ পায়নি তাতে কি হয়েছে ? আপনি সফলতা বয়ে আনবেন। দেখবেন তখন সবাই আপনাকে মূল্যায়ন দিতে শিখবে ।

পিতা মাথার স্বপ্ন অন্যদিকে নিজের ভাল লাগা,,এই সিদ্ধান্তটা নিতে আমার অনেক বিপদে পড়ে থাকি,,তার পর আর কী বাস্তবতা মেনে নিতে হয়,
পিতা মাতার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে কেউ কেউ নিজের জীবন শেষ করে দেয়।
আপনার কথা গুলোর সাথে একমত হতে কোন সমস্যা রইলোনা। আসলেই সত্যিকারের পিতামাতা কখনোই সন্তানের খারাপ চায়না এমনি কল্পনাও করেনা। আমাদের সন্তাদের উচিৎ পিতামাতাদের সুন্দর করে বুঝিয়ে বলা যদি কোন ব্যাপারে তাদের মতের সাথে মিল না হয়।
পরের আর্টিকেলের অপেক্ষায় রইলাম। আপনার আর্টিকেল আমি খুব কম মিস করি ! ধন্যবাদ @zaku ভাইয়া