আমার একটা বন্ধু আছে IER এ পড়ে, মাঝে মাঝে ওর সাথে কথা হলে বুঝতে পারা যায় কতশত পরিবর্তন আনা বাকি, কতশত চ্যালেঞ্জ সে পথে।
কিছুদিন আগে একটা প্রাইভেট কলেজের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলাম বেতন স্কেল যেখানে ১৫-২০ হাজার। আমার বোধগম্য নয় যে এই বেতনে ওনি ক্লাসে কি শিক্ষা দেওয়ার মন মানসিকতা রাখবেন আর কতটুকুই তিনি শিক্ষার্থীদের ওনার প্রাইভেট ব্যাচে না টেনে রাখবেন।
অন্য একটি বিষয় হলো আমাদের বাজে রাজনীতির প্রভাব। বর্তমানে স্কুল পর্যায়েও এই ছাত্র-রাজনীতির বাজে প্রভাবটা দেখতে পাচ্ছি খুব বেশি। রাজনীতির চর্চা ভালো কিন্তু আমাদেরটা খুব বাজে।
আমার এই দুই পয়েন্টের মূল বিষয় হলো, ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো খুব সুন্দর কিন্তু এত্ত বাজে পরিস্থিতির পরিবর্তন আনাটা খুবই কঠিন। তাও আশা রাখছি একটা সুন্দর সমাজব্যবস্থার প্রতি।
একদম ঠিক পয়েন্টগুলা নিয়ে আসছিস, আমার ফ্রেন্ডরা ২০ হাজার দিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে পড়াচ্ছে।
আমার নিজের বোনই IER এর,ওর টিচারই এই নতুন কারিকুলামের কাজ করলো, প্রায়ই ওর থেকে ইনফরমেশন নিয়ে আপডেট থাকার চেষ্টা করি। এছাড়া আমার সাবজেক্টও এসবের সাথে অনেক রিলেভেন্ট ছিলো, তাই আগ্রহটা শুরু থেকেই আছে।
এখন যে পরিবর্তনটা আসছে এটা তাও কিছুটা ইমপ্লিমেন্ট করা যেতো যদি টিচাররা এই ধরণের পড়া ধরতে পারতো। কিছু ভালো স্কুল ছাড়া অনেক শিক্ষকই বুঝতে পারছে না কিভাবে পড়াতে হবে। আমার পরিচিত যেই স্কুল টিচারকেই জিজ্ঞেসা করছি তাড়া কেউই এর আগামাথা ঠিক করতে পারছে না, কারণ তাদের ট্রেনিং-এর কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি।
এরপরেও ওই তোর মতন আশাবাদী, কারণ কিছুটা হলেও তো ভালোর পথে আগাচ্ছে!