চোখে চোখ পরিয়াছিলো অনেকবার। কিন্তু, কশ্বিন-কালেও ভাবিয়া কুলাইয়া উঠিতে পারি নাই, তাহারে লইয়া জীবনের অন্তিমক্ষন অবধি ঘর করিবার সাধ আমার হ্রদয় মন্দিরে জায়গা করিয়া লইবে৷ হরিণির ন্যায় চপল চাহুনি দিয়া জখনই আমার সম্মুখ দিয়া গমন করিতো, মনের মাঝে ঈষৎ চিনিক করিয়া উঠিতো মোর৷ সেই নয়ন জুগলে আমি অধিক ক্ষন দৃষ্টি রাখিবার দুঃসাহস করিবার পারিতাম নে ; পাছে রিদয় ভাঙিয়া যায়।
শরতের প্রথম প্রভাতে তোমায় যেদিন দেখিয়াছিলাম, তুমি তখন শিউলি আহরনে ভীষন ব্যাস্ত। সে এক অন্যরকম অনুভুতি৷ কারো চোখের দিকে তাকিয়ে জে, হাজার বছর বাচিবার ইচ্ছে জাগতে পারে, তোমায় না দেখলে বোধহয় এ জীবনে বেচিবার সাধ টাই থাকতো না।
তোমায় আমি চপলা কইতে পারি নে । খুবই ধীরস্থির, মিষ্টি চাহুনি আর ওষ্টজুগল বেদানার কুয়ার ন্যায় রাঙানো।
হাটিলে মনে হইতো, কুনু এক পাতিহাঁস বুঝি, নরম পালকে পানি নাড়িয়ে ধীরভাবে সাম্নের দিকে এগিয়ে চলেছে৷ তওমার সেই চপলা চলন, তোমার সেই রিদয়কাপানো মুচকি হাসি, খুব বেশি মনে পরছে আজ।
এই বরষায় অজস্র কদম লুকাইয়া রইয়াছে তাহাদের সবুজ শাড়িটি পড়ে৷ এখন আমার আর কদম ভালো লাগে না৷ আমি এখন বকুল এর ঘ্রান খুজে ফিরি। এখন আমার রজনী গন্ধা বেশ ভালো লাগে৷ প্রতিটি জোতস্না রাতে রজনীর মৃদু ঘ্রান ছুয়ে দিয়ে যায় আমার হ্রিদয়ের একোন থেকে ওকোন।
আমার আর হরিনী ধরা হলো না। সেই অধরা সপ্নের বীজ বুনা হলো না। জানি পৃথিবীর অজস্র কদম ঝরে পরবে প্রতি বরষায়। জানি, শিউলির ঝরে জাওয়া প্রভাত আর ততোটা কমল হবে না। আমার কল্পনায় আজো সেই বিস্তীর্ণ ছায়া এসে খেলা করে জেখানে সকল দিবসের রক্তিমতা ভীর জমায় আর, জেখানে আকাশ এসে পৃথিবীর সাথে মিলিয়ে গিয়েছে, সেই মিতালির পানে দৃষ্টি দিয়ে আমি আজো তোমার অস্তিত্ব খুজে পাই৷
Nice one 👌👌, keep it up brother.
Thank you bro.
আমার আর হরিনী ধরা হলো না। সেই অধরা সপ্নের বীজ বুনা হলো না। জানি পৃথিবীর অজস্র কদম ঝরে পরবে প্রতি বরষায়। জানি, শিউলির ঝরে জাওয়া প্রভাত আর ততোটা কমল হবে না। আমার কল্পনায় আজো সেই বিস্তীর্ণ ছায়া এসে খেলা করে জেখানে সকল দিবসের রক্তিমতা ভীর জমায় আর, জেখানে আকাশ এসে পৃথিবীর সাথে মিলিয়ে গিয়েছে, সেই মিতালির পানে দৃষ্টি দিয়ে আমি আজো তোমার অস্তিত্ব খুজে পাই৷
শেষ প্যারাটা দারুণ লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই। খানিকটা চেষ্টা করেছি, এই আর কি।
সাধু ভাষার লেখা সচরাচর পড়া হয় না। তবে আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি সাধুভাষার মধ্যে যে গাম্ভীর্য এবং প্রগাঢ় উপলব্ধি থাকে, সেটা চলিত ভাষায় কিংবা আঞ্চলিক ভাষায় লেখার মাধ্যমে কখনও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না।
তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো সাধু ভাষায় না লিখলেও সাধু ভাষার শব্দ মালাকে খুব বেশি ফিল করি। এবং পড়ার সময় খুব বেশি শিহরিত হই।
অত্যন্ত আবেগপূর্ণ লেখা ছিল। বেশ কিছু শব্দের বানান ভুল ছিল। সে দিকে একটু দৃষ্টি দিলে আরো ভালো হয়।
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। আমার লেখা কেও পড়ে এটা ভাবতেই ভালো লাগলো। লেখার আগ্রহ পেলাম৷
ফোনে অভ্র দিয়ে টাইপ করি তো, সে কারনে কিছু বর্ন খুজে পাই না৷ সে কারনে বানান কিছুটা ভূল লিখতে হয় অনিচ্ছা সত্তেও। নেক্সট টকি আরো সচেতন থাকার ট্রাই করবো৷ ধন্যবাদ।
ভালো লিখেছেন। চালিয়ে যান।
ওকে ব্রো।
This post earned a total payout of 11.350$ and 5.675$ worth of author reward that was liquified using @likwid.
Learn more.