গল্পের বাকিটা না বলা গল্প হয়ে থাকলে কেমন হয়?
ছোট্ট দুই বন্ধর ছোট কালের একটা প্রেমের গল্প লেখার সময়ে গল্পটা শেষ করতে না পারায় লেখক ছোট্ট একটা বিরতি নিয়েছিল ইচ্ছা ছিল পরদিন গল্পটার সমাপ্তি ঘটাবে। গল্পের প্রধান চরিত্র ছিল উষ্ণ আর সাগর আর তাদেরই ভবিষ্যতের বান্ধবি অধরার সাথে গল্পের লেখকের বন্ধুত্ব ছিল। লেখক তার লেখাটা অধরাকে দিয়েছিল পড়ার জন্য। সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, কয়েক ঘন্টা যাওয়ার পরেও অধরা তেমন কিছু বললো না গল্পটার ব্যাপারে। তো লেখক মোটামুটি সিউর যে অধরা তখনও গল্পটা পড়ে নাই কারন সে জানে,যদি অধরা গল্পটা পড়তো তাহলে অবশ্যই কিছু একটা বলতো। তো... লেখক অধরা কে ভার্চুয়্যালি খোচানো শুরু করলো।
লেখকঃ কিরে... কি করস?
অধরাঃ মা** খাই।
লেখকঃ আচ্ছা, খাওয়া শেষ হলে গল্পটা পড়িস কিন্তু আর মন্তব্য করিস।
বেশ কিছুক্ষণ পর...
লেখকঃ পড়স নাই?
অধরাঃ কেবলই খাওয়া শেষ করে ফ্রি হলাম, এখন পরবো।
লেখকঃ কি বলিস? এতক্ষন মা** খাইলি? ;)
অধরাঃ আরেহ ধুর, রাতের খাবার খেলাম।
লেখকঃ ওহ আচ্ছা। ঠিক আছে, মন চাইলে পড় আমি আর কিছু কমু না।
বেশ কিছুক্ষন বিরতির পর...
অধরাঃ বিরতি শেষ হয় নাই?? বাকিটুকু কখন পামু? সাগর কে? কারো কাল্পনিক নাম??
লেখকঃ
বাকিটুকু কখন পামু?
লেখক এখনো সিউর না।
সাগর কে? কারো কাল্পনিক নাম??
তুই ই না নাম টা দিছিলি? তোর দেওয়া নাম তুই ই ভুলে গেলি? আর তাছাড়া, উষ্ণর অতো কাছের বন্ধু কে হতে পারে সেটাও তো তোর বুঝার কথা। গল্পটা কিন্তু সত্য।
অধরাঃ না, এই নাম তো আমি কাওরে দেই নাই।
লেখকঃ ওহ থুক্কু, মনে পড়ছে। নামটা তো উষ্ণই দিছিলো অর বেস্ট ফ্রেন্ড রে।
আসমানিঃ আমারেই আজ পর্যন্ত কেউ স্পেশাল কোন নাম দিল না।
লেখকঃ আরেহ তুই নিজেই তো স্পেশাল, নাম দিয়ে কি হবে?
(BTW, লেখক কিন্তু তোকে স্পেশাল একটা নাম দিয়ে দিছে আজকে, নামটা কেমন? অধরা? তোর বিয়েতে যেন করিম WEDS অধরা থাকে নইলে মারুম)।
অধরাঃ বেশিক্ষন ওয়েট করাইস না, গল্পটা ভালো লাগছে, বাকিটা তারাতারি লিখে ফেল।
লেখকঃ ভাবছিলাম কালকে লিখবো, কিন্তু যেহেতু পাঠক এর কাছ থেকে আকুতি জানতে পারলাম তো গল্পে একটা টুইস্ট দেই, কি বলিস?
অধরাঃ কি টুইস্ট?
লেখকঃ বাকিটা না লিখি... তুই ভাবতে থাক :D :D :D ;D ;D ;D
অধরাঃ তুই একটা *********।
লেখকঃ ওকে।
কিছুক্ষন কথা বলার পর লেখক মাঝরাতে বসলো গল্প লিখতে। বিরতির পরের গল্পটা কিন্তু না। এখন যে গল্প টা পড়লেন/ পড়ছেন সেই গল্প।
লেখক হয়তো বিরতির পরের অংশ টা আজ লিখতো কিন্তু তার উপর দিয়ে যে বিশাল ঝড় যাচ্ছে।
কি ধরনের ঝড়?
লেখকের শাশুড়ি আসছে বিদেশ থেকে ২/৩ দিন হলো। সে অসুস্থ, মাথায় টিউমার ধরা পড়ছে (সবাই দোয়া করবেন অসুস্থ মানুষটার জন্যে যাতে এই জাত্রায় আল্লাহ ভালভাবে রেখে যায়), তো তারে নিয়ে লেখকের একটু দৌড়ের উপরে থাকা লাগছে খুব সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। বিকেলে এসে একটু রেস্ট নিতে চাইলো আর কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুম ভাঙলো তার বউয়ের ফোনে আর উঠে দেখে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। উঠার পর থেকে আর ভালো লাগতেছে না, ঘড় টা যেন বিষের মতো লাগছিল। নামাজের পর গাছে পানি দিয়ে জলদি করে বের হয়ে গেল। তারপর কিছু বন্ধুর সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলো। বাসায় বউ নাই, লেখকের মা অফিস থেকে আসবে দেরি করে, তো লেখকই রান্নার কাজটা শুরু করে দিল। সে কিন্তু একটা সময়ে খুব ভালো রান্না করতো, কিন্তু বিয়ের পর রান্না করা হয়ে উঠে নাই তাই ভালো হবে কিনা সে একটু চিন্তিত এই ব্যাপারে। আবার তার মাকেও তার হাতের রান্না প্রথম খাওয়াবে তো চাচ্ছিল যাতে একটু ভালো হয় খাবার টা। তো এসব করতে করতে আর লেখা টা লেখা হয়ে উঠলো না যদিও এই গল্পটা লেখা হলো শেষ পর্যন্ত। রান্না টা শেষের দিকে কিন্তু এখনো লেখক সিউর না যে তরকারি টা খাওয়ার যোগ্য কিনা। ঝোল টেস্ট করে তো লেখকের কাছে ভালো লাগলো না, কিন্তু তার মা বললো ঠিকই নাকি আছে। যদিও লেখক বুঝতে পারছে যে তার মা হয়তো সান্তনা দিচ্ছে তাকে। যাই হোক, রান্না শেষের দিকে, ক্ষুধাও লাগছে বলা যায়। টেস্ট করে দেখতে হবে খাবার খাওয়া যায় কিনা। তো ওই গল্পের বাকি অংশটা পরে লিখবে কিনা তা এখনো লেখক ভাবছে। ভাবছে... "গল্পের বাকিটা না বলা গল্প হয়ে থাকলে কেমন হয়?"
Hi @ashikstd, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Congratulations @ashikstd! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 8250 replies.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz: