আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ , হাইভ পরিবারের সকল বন্ধুবান্ধব আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আজকে আমার কাছে একটি জিনিস হুট করেই চোখে বাঁধলো তাই ভাবলাম বন্ধুদের কাছে শেয়ার করি ।
আমরা বাঙালি জাতি , আমাদের অনেক কয়টি বৈশিষ্ট্য আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া । আমরা খুব ভোজন রশিক হয়ে থাকে সাধারণত এটা আমাদের কথা না এটা বহির্বিশ্বে থেকেই আমাদের এই পদবি দিয়া হয়েছে ।
মূলত খাওয়া-দাওয়া আমরা খুব সচেতন হয়ে থাকি কোন ব্যাপারে সচেতন এটি একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে অনেক ধরনের মসলা দিয়ে অনেক সুন্দর করে কষিয়ে অনেক ঝোল করে কিংবা মসলা পরিমাণ অনেক বেশি দিয়ে খাওয়া টা সুস্বাদু করার চেষ্টা করি । এ ব্যাপারে বাঙালি নারীদের কোনো জুড়ি নেই ।
খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে আমরা খুব মসলাজাতীয় খাবার কিংবা ভাজাপোড়া খুব পছন্দ করে থাকি। আর পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের থেকে সম্পন্ন ভিন্নধর্মী , তারা খাবারের স্বাদ এর থেকে খাবারের মান নিয়ে কিংবা প্রোটিন নিয়ে বেশি চিন্তিত , কোনটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে তারা সেটাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় ।
কিন্তু আমরা এশিয়া দেশের মানুষরা এই ব্যাপারে কি একটু সচেতন নাকি সম্পূর্ণরূপে উদাসীন আমাদের দেশের কথা বলতে গেলে বেশিরভাগ মানুষ আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে উদাসীন যার কারণে দিন যত যাচ্ছে তত্ত্ব রোগীর সংখ্যা বাড়ছে একটু খেয়াল করলে দেখতে পারবেন বন্ধুরা । প্রত্যেকটি পরিবারের কেউ-না-কেউ খুব জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।
আমার আজকে একথা বলার পিছনে একটি কারণ আছে কারণ আমি আজকে যেটা দেখেছি সেটা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে হ্যাঁ আমরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সবাই একরকম না আমাদের দেশের গরিবের সংখ্যাটা অনেক বেশি কিন্তু তাই বলে কি যেকোনো খাবার খাব এই সচেতনতা এখনো আমাদের ভিতরে আসেনি যার কারণে আমরা আজকে এত বেশি অসুস্থতা ভোগ করছি ।
যদি আমাদের পরিবারের কেউ এই ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে সেই পরিবারের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে পুরো পরিবারটা যেন অসুস্থ হয়ে পড়ে কেউ যদি হসপিটালে ভর্তি থাকে তাহলে যেন পরিবারটি তার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে কখন সুস্থ হবে । সুস্থতা আপনার উপরই নির্ভর করে । যদি বলেন কিভাবে তাহলে আমি একটু সংক্ষেপে বলি দেখেন মিলে যায় কিনা ?
আমি আজকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম তখন আমার সামনে একটি ভ্যানগাড়িতে অনেক মসলা মাখানো পিয়াজু আলুর চপ বেগুনি মাখিয়ে মাখিয়ে রাখছে গরম তেলে ভাজবো আমি একটু সামনে গেলাম তেলের অবস্থা দেখতে , দেখে মনে হল তেলটা অনেক বার ব্যবহার করা হয়েছে কারণ তেলটি সম্পূর্ণরূপে কালো হয়ে গিয়েছে তেল মূলত কাল থাকেনা ।
এবং দেখলাম ওই তেলের ভিতরে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ধুলোবালি তো উড়ছেই শত শত গাড়ি চলাচল করছে এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে যেগুলা মসলা দিয়ে মাখিয়ে রেখেছিল সেগুলো হচ্ছে এবং সেগুলো খাওয়ার জন্য মানুষ কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছে দেখে স্বাধীনতা আমার মনে নাড়া দিলো এত ধুলোবালি মাখা অবস্থায় একটি মানুষ এটি এখন খাবে , সেকি খাচ্ছে সে নিজে জানে ? এটা তার কি করতে পারে তার কি ধারনা আছে ?
থাকতো তাহলে হয়তো না আমি শতভাগ নিশ্চিত সে এভাবে দাঁড়িয়ে রাস্তার ওপর বানানো শুধু ভাজাপোড়া না রাস্তার পাশে যেগুলা খোলা জায়গায় বিক্রি হয় সেগুলো কিছুই সে খেত না ।
হয়তোবা আমার কথাগুলা বন্ধুরা আপনাদের কাছে ভাল নাও লাগতে পারে কিন্তু আমি আপনাদের কাছে এটাই বলতে চাই এরকম খোলা জায়গায় ভাজাপোড়া খেলে খুব অচিরেই আপনার দেহে সব মূল্যবান শরীরের অংশ গুলো অকেজো হয়ে যাবে এবং আপনি খুব জটিল রোগের মধ্যে নিপাতিত হবেন ।
এই ব্যাপারগুলা খুব সাধারণ কিছু না নিত্যদিনই এগুলো আমাদের চোখের সামনে হরহামেশা ঘটে যাচ্ছে তাই এই একটু হলেও আমাদের সচেতন হতে হবে এবং আমাদের সাথে যারা আছে তাদের সবাইকে এই জিনিসটার ব্যাপারে বুঝাতে হবে কান আমরা কেউ চাইবো না কারো জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে ।
Congratulations @mofijul! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 4000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!